মায়ের বিয়ের খবরটা প্রথম শুনে ছিলাম মোক্ষদা মাসির ছেলে বঙ্কুর কাছ থেকে প্রায় দু বছর আগে। মোক্ষদা মাসি আমাদের বাড়িতে ধোয়ামোছা আর রান্না বান্নার কাজ করে। বয়স প্রায় ৪০। মায়ের থেকে বছর চারেকের বড়। গায়ের রঙ ময়লা। কিন্তু দারুন গ তর। দু দুটো বড় ডাবের মত মা ই আর তার সাথে ভারি প্রসস্থ একটা পা ছা। নাক চ্যাপ্টা, মোটা ঠোট, মুখ দেখেই বোঝা যায় একটু কা মু কি টাইপের। স্বামী মারা গেছে বছর দশেক আগে। চরিত্র ভাল নয়। সুযোগ পেলেই এর ওর সাথে সাথে শু য়ে পরে।
শ্বশুর শ্বাশুড়ি আগেই মারা গেছে তাই কেউ কিছু বলার নেই। স্বামী মারা যাবার পরও দু দু বার পো য়া তি হয়েছে। একটা মেয়ে আগেই হয়েছিল এখন আবার আর একটা মেয়ে কোলে। কে বাবা কেউ জানেনা। জিগ্যেস করলে হাসে বলে উপরওলা দিয়েছে। কোন লজ্জ্যা সরম নেই। মুখের ও কোন বাধন নেই। ওর ছেলে বঙ্কু আমার থেকে এক বছরের বড়। ওর সাথে বেশ ঘনিস্ট বন্ধুত্ব ছিল আমার। একদিন খেলার মাঠে বঙ্কু আমাকে ডেকে বলে,
বঙ্কু - টুকুন একটা খবর আছে। কিন্তু ভাবছি তোকে বললে তুই রেগে যাবি নাতো?
আমি - রেগে যাব কেন? এমন কি খবর যে রেগে যাব?
বঙ্কু – খবরটা আসলে তোর মার সম্বন্ধ্যে।
আমি - একটু অবাক হয়ে মার সম্বন্ধ্যে আবার তুই কি খবর পেলি?
বঙ্কু - তুই রাগ করবিনা কথা দে?
আমি - আচ্ছা বাবা আচ্ছা.. কথা দিচ্ছি রাগ করবো না.. তুই আগে বল।
বঙ্কু - সেদিন মা আর পাশের বাড়ির চম্পা মাসি তোর মাকে নিয়ে গল্প করছিল আমি শুনে ফেলেছি। তোকে বলছি কিন্তু তুই আর কাউকে বলিসনা।
আমি - না বাবা বলবো না। তুই আগে বল কি খবর? তুই তো আমার টেনশন করে দিচ্ছিস।
বঙ্কু - (ফিসফিস করে) জানিস তোর মা আবার বিয়ে করবে।
ওর কথা শুনে তো আমি আকাশ থেকে পড়লাম। এইতো মাত্র বছর দুয়েক আগে জমি জমা সক্রান্ত এক গ্রাম্য বিবাদের জেরে আমার বাবা খুন হয়েছেন। শুধু বাবা নয় বাবার সাথে আমার মেজ কাকাও খুন হয়েছেন। অবশ্য যাদের সঙ্গে বিবাদ তারা সবাই এখন জেলে যাবজ্জীবন সাজা খাটছে। ঠিক বুঝতে পারছিলাম না বঙ্কু ঠিক কি বলতে চাইছে। এই তো সবে আমরা বাবা আর মেজকাকার শোক কাটিয়ে উঠলাম এর মধ্যেই মা আবার কার সাথে বিয়ের পিড়ি তে বসতে রাজি হয়ে গেল?
আমার মা দেখতে ঘরোয়া। গায়ের রঙ ফর্সা। শুনেছি আমার জন্মের সময় দেখতে একবারে ছিপছিপে ছিল, শেষ পাঁচ ছয় বছরে বেশ মুটিয়েছে। বুক পাছা বেশ ভারি হয়েছে। মার বয়স তখন প্রায় ৩৬ এর মতন। মা কচি খুকি নয় যে এই বয়েসে বিয়ে আবার করতেই হবে, না হলে একা সারা জীবন কাটাবে কি করে। মার আবার ফুল শয্যা হবে, নতুন স্বামীর আদর খেয়ে পে টে বাচ্ছা আসবে এসব ভাবতেই আমার মাথাটা বনবন করে ঘুরে উঠলো। মা কে তো সারাদিন ঘরের কাজ, আমার পড়াশুনা আর রান্না বান্না নিয়েই ব্যাস্ত থাকতে দেখি। মাকে দেখে তো মনে হয়না যে মার মনে আবার বিয়ে করার বা নতুন করে সংসার পাতার সাধ আছে। আমার ৩৬-৩৭ বছর বয়সি গিন্নি বান্নি মা আবার বিয়ে করতে চলেছে এটা কিছুতেই বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছিলনা। তাই বঙ্কু কে বললাম,
আমি - ধুর কি যা তা বলছিস।
বঙ্কু - না রে সত্যি, আমি নিজের কানে শুনলাম। তোর ঠাকুমা নাকি অনেক দিন থেকেই তোর মার পেছনে পরে আছে বিয়ে দেবার জন্য। কিন্তু তোর মা কিছুতেই রাজি হচ্ছিলনা। তাই তোর ঠাকুমা আমার মাকে তোর মাকে বোঝানোর দায়িত্ব দিয়েছিল। বলেছিল তোর মাকে রাজি করাতে পারলে এবার পুজোয় মাকে তিন তিনটে দামি শাড়ি কিনে দেবে।
এসব শুনে আমি হেসে ওকে বললাম,
আমি - বঙ্কু তুই কি শুনতে কি শুনেছিস। আমার ঠাকুমা নিজের বড় ছেলের বিধবা বউয়ের আবার বিয়ে দিতে যাবে কোন দুঃখ্য? এইতো তো সবে মাত্র দু দুটোছেলের বিয়োগের শোক সামলে উঠলো ঠাকুমা। আর দেখ আমার ঠাকুমা অত্যন্ত বিষয়ী আর ধান্দাবাজ টাইপের মানুষ। উনি এত উদার টাইপের কোনদিন ছিলেননা আর হবেনও না। আর আমার দিদিমা আবার মার বিয়ে দিতে চাইলে তাও বুঝতাম। যতই হোক পেটের মেয়ে বলে কথা। কিন্তু আমার দিদিমা অত্যন্ত সেকেলে টাইপের গ্রামগঞ্জের মানুষ। দিদিমা তো মাকে প্রায়ই বলেন, নমিতা তোর শ্বশুরবাড়িতে থাকতে কোন অসুবিধা হলে তুই আমার কাছে এসে থাক। কিন্তু দিদিমা মাকে এই ৩৬ বছর বয়েসে আবার বিয়ে করতে চাপ কখনোই দিবে না।
বঙ্কু - (মাথা নেড়ে) না তোর দিদিমা নয় এটা তোর ঠাকুমারই বুদ্ধি। তুই ঠিকই বলেছিস তোর ঠাকুমা একখানি মা ল, এক নম্বরের বিষয়ী মানুষ। তোর ঠাকুমাই অনেক ভেবে মাথা থেকে এই প্ল্যান বার করেছে।
আমি ওর দিকে অবাক হয়ে তাকাতে বললো,
বঙ্কু - দাঁড়া তোকে ব্যাপারটা আগে একটু বুঝিয়ে বলি, নাহলে তুই বুঝতে পারবিনা। তুই তো জানিস তোদের যে এখন এত বিঘা জমি জমা আছে তার বেশির ভাগটাই তোর মামাবাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে পাওয়া। তোর মামারা তোর মার বিয়ের সময় এই গ্রামে এসে ওই জমি কিনে তোর মায়ের নামে করে দিয়েছিল। আর যৌতূক হিসেবে পাওয়া তোদের ওই অত বিঘা জমি সবটাই তোর মায়ের নামে আছে।
আমি - হ্যাঁ সেটা একবারে ঠিক বলেছিস। আমার ঠাকুরদার একটা পুকুর আর অল্প কিছু জমি জমা ছিল জানি কিন্তু মায়ের নামে যতটা আছে তার থেকে অনেক অনেক কম।
বঙ্কু বলতে লাগলো - ঠিক বলেছিস…যাই হোক যেটা বলছিলাম সেটা হল…এখন তোর ঠাকুমার মনে ভয় ঢুকেছে যে তোর মা যদি কোন কারনে তোর মামার বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করে তাহলে তোর মামারা ওই জমি কায়দা করে নিজের নামে করে নেবে। তোর মেজকাকিমা যেমন তোর মেজ কাকা খুন হবার পর তোর ঠাকুমার সাথে ঝগড়া করে পাশের গ্রামে নিজের বাপের বাড়ি গিয়ে আছে সেরকম। মার কাছে শুনেছি তোর মেজকাকিমা বিয়েতে যে জমি জমা যৌতূক হিসেবে পেয়েছিল সেটা নাকি এখন তোর মেজকাকিমার বাবা ফেরত চাইছেন। অবশ্য তোর মেজকাকিমার নামে জমি জমা খুব বেশি একটা নেই তাই তোর ঠাকুমা হয়তো বাধা দেবেননা। কিন্তু তোর মার নামে তোদের বর্তমান সম্পত্তির প্রায় আশিভাগ জমি আছে। তাই বংশের জমি বংশের নামে রাখতে তোর ঠাকুমা তোর ছোটকাকার সাথে তোর মার আবার বিয়ে দেবার প্ল্যান করেছে।
আমি ছোটকার নাম শুনে বিরাট ধাক্কা খেলাম। কি যে ব্যাপারটা ঠিক হতে চলেছে কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না। তাই বঙ্কু কে বললাম,
আমি - ধুর ছোটকার কি বিয়ে করার বয়স হয়েছে নাকি! আমার থেকে তো মাত্র কয়েক বছরের বড়। ছোটকা তো এই সবে মাত্র কলেজে ভর্তি হয়েছে আর মার তো প্রায় ৩৬ - ৩৭ বছর বয়েস। মা কি করে ছোটকা কে বিয়ে করবে।
বঙ্কু - আরে সেই জন্যই তো তোর মা প্রথমে বিয়ে করতে চাইছিল না। আমার মাকে বলে ছিল আমার শ্বাশুড়ির মাথাটা বোধহয় একবারে খারাপ হয়ে গেছে মোক্ষদা, তুই বল নিজের পেটের ছেলের বয়সি দেওরের সাথে কোন মুখে আমি রোজ রাতে দরজা বন্ধ করে শুতে যাব। কিন্তু আমার মা নাকি তোর মাকে কি সব বুঝিয়েছে, যাতে শেষ পর্যন্ত তোর মা রাজি হয়েছে।
আমি - বলিস কিরে? মোক্ষদা মাসি মা কে কি এমন বোঝালো যে মা শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে গেল?
বঙ্কু - আমার মা কে তো তুই জানিস। সে ক্স ছাড়া আর কিছুই বোঝেনা। বাবা নেই বলে যার তার সাথে যেখানে সেখানে শুয়ে পড়ে। তোর মাকে সে ক্স ফে ক্স নিয়ে অনেক কিছু বুঝিয়েছে। বলেছে " মাথাটা তোমার খারাপ হয়েছে বউদি তোমার শ্বশুড়ির নয়। দু বছর হল বিধবা হয়েছ এই বয়েসে আবার একটা বিয়ে করার সুযোগ যখন পেয়েছ তখন ছাড়তে যাচ্ছ কোন দুঃখ্যে? কলেজে পড়া একটা ক'চি ছেলেকে বিছানায় তোলার এমন সুযোগ পেলে কেউ ছাড়ে। ক'চি দেওরটারে যেমনে খুশি এমনে খাইতে পারবা।" এসব বলে বলে তোর মার মাথাটা খারাপ করে দিয়েছে আরকি।
আমি - এসব যে বলেছে তুই কি করে জানলি।
বঙ্কু - বললাম না চম্পা মাসির সাথে মা গল্প করছিল আমি শুনে ফেলেছি। মা তো বলছিল সামনের বছর আমার তিনটে শাড়ি একবারে পাকা আর বখশিশ ও ভালই জুটবে।
আমি বলি -চম্পা মাসিটা কে রে?
বঙ্কু - আমাদের পাশের বাড়িতে থাকে, স্বামীটা মুম্বাইতে খাটের দোকানে কাজ করে। মা তো সারা দিন সময় পেলেই চম্পা মাসির সাথে গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর করে। চম্পা মাসির চরিত্রও সেরকম, বলেনা রতনে রতন চেনে। কম বয়সি ছেলে দেখলে দুজনের একসঙ্গে পানি পরে। জানিস মা কাছে না থাকলে চম্পা মাসি আমার দিকেও এমন ভাবে তাকায় যেন মনে হয় সুযোগ পেলেই ছিঁড়ে খাবে। যাই হোক ছাড় চম্পা মাসির কথা। আসল বিপদের কথাটা হল যে তোর মা নাকি আমার মার কথায় শেষ পর্যন্ত রাজি হয়েছে।
আমার মাথা আর কাজ করছিলনা। যে ছোটকা আমার থেকে মাত্র কয়েক বছরের বড়, যে ছোটকা আর আমাকে ছোটবেলায় মা নাং'টো করে একসঙ্গে চান করিয়েছে, সেই ছোটকা কে মা কিনা শেষে বিয়ে করতে যাচ্ছে। অদ্ভুত ব্যাপার কারন আমি জানি এখন মা ছোটকা কে খুব একটা পছন্দও করেনা। এই তো সেদিনও পাশের বাড়িরই অপর্ণা পিসি কে বলছিল, আমাদের পিকুটা ভীষণ এঁচোরে পাকা হয়ে যাচ্ছে বউদি, গ্রামের যত বদ ছেলেগুলো হয়েছে ওর বন্ধু।
যাই হোক প্রায় একবছর এসব নিয়ে আর কোন কথা কারুর কাছ থেকে আমার কানে আসেনি। বঙ্কুও তেমন কোন নতুন খবর আর দিতে পারেনি। সত্যি বলতে কি মার মধ্যেও এমন কোন পরিবর্তন আমি দেখিনি যা দেখে মনে হয়েছে মা বঙ্কুর কথা মত সত্যি সত্যি আবার বিয়ে করতে রাজি হয়েছে। ছোটকাও সিনেমা, ক্রিকেট, পড়াশুনা আর গেঁজান নিয়ে আগের মতই ব্যাস্ত ছিল। আর আমি তো ব্যাপারটা একবারে প্রায় ভুলেই গেছিলাম।
সেদিন সকাল দশটা নাগাদ মা আমাদের বাড়ির উঠনের পাশের কলতলাটায় কাপড় কাচতে বসলো। আমাদের ছাত থেকে উঠনের কলতলাটা পুরোপুরি দেখা যায়। ছোটকা ওর বন্ধুদের সাথে ছাতে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিল। আমিও ছাদে ছিলাম। ওদের থেকে একটু দূরে চিলেকোঠার ঘরের ভেতর বসে একটা মাসিক পত্রিকা পড়ছিলাম আর মাঝে মাঝে চিলেকোঠার ভেজান দরজার ফাঁক থেকে ওদের ঘুড়ি ওড়ানো দেখছিলাম। মাকে কলতলায় কাপড় কাচতে দেখে ছোটকার একটা বন্ধু বলে উঠলো,
- ওই দেখ পিকু তোর বউ ‘নমিতা ‘এসে গেছে।
আমি পত্রিকা পড়াতেই বেশি ব্যাস্ত ছিলাম, কিন্তু হটাত ছোটকার বন্ধুদের মুখে আমার মায়ের নাম শুনে অবাক হয়ে ওদের দিকে তাকালাম। ওরা জানতোই না যে আমি ওদের আগেই ছাতে এসেছি আর চিলেকোঠার ঘরের ভেজান দরজার ভেতর বসে আছি। ওরা আসলে কেউ আমাকে ছাতে উঠতে দেখেনি। ছোটকার আর একটা বন্ধু দিলুদা বললো,
দিলুদা - কি রে তোর বউদি কাম হবু বউ দেখি তোর দিকে একবার তাকিয়েই দেখলো না। এসেই কাপড় কাচতে বসে গেল। কোথায় তোর দিকে তাকিয়ে তোর নমিতা বউদি একটু মিষ্টি করে হেঁসে দু একটা ফ্লাইং কি স ফি স দেবে, আমরা দেখবো, তা না তুই ছাদে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিস জেনেও তোর দিকে একবার তাকালো না।
এসব শুনে লজ্জায় ছোটকার মুখটা একবারে লাল হয়ে গেল।
ছোটকা - দাঁড়া সবে তো বউদিকে পটাতে শুরু করেছি, আগে ভাল করে তুলতে তো দে”।
দিলুদা - তুই কি করে বউদি পটাচ্ছিস আগে শুনি?
ছোটকা - আমার তো একটাই স্টাইল। সারাদিন সুযোগ পেলেই বউদির চোখের দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকা।
দিলুদা - কাজ হচ্ছে?
ছোটকা - হ্যাঁ মনে তো হচ্ছে বউদি ভাল ভাবেই উঠছে?
দিলুদা - কি করে বুঝলি নমিতা বউদি উঠছে , চোখে চোখ রাখলে লজ্জাটজ্যা পাচ্ছে বুঝি?
ছোটকা - (মাথা নেড়ে) হ্যাঁ রে, আগে বউদির চোখের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকলে বিরক্ত হয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিত অথবা কটমট করে আমার দিকে তাকাতো। এখন কয়েকমাস তো দেখছি বিরক্ত তো হচ্ছেই না উলটে লজ্জায় মুখ নামিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া যখন রোজ সকালে চান করে খালি গায়ে উঠনে দাড়িয়ে গা মুছি বউদি তখন রান্না ঘর থেকে রান্না করতে করতে আমার দিকে ঝাড়ি মারে।
দিলুদা বলে - তাহলে তো মা ল সত্যি সত্যি উঠছে রে। শোন পিকু আগে ভাল করে খেলিয়ে তোল, এখুনি খাব খাব করিস না। আগে ভাল করে ফাঁসিয়ে নে তারপর খাওয়া দাওয়া তো আছেই।
অরুপদা নামের ছোটকার আর একটা বন্ধু বলে উঠলো,
অরুপদা - আরে এত তোলাতুলির কি আছে। আর তো একটা মাত্র বছর। দাঁড়ানা আগে সামনের বছর আমাদের পিকু গ্রাজুয়েসনের পরীক্ষাটা ভাল করে দিয়ে নিক। ওর মা তো বলেইছে যে পিকুর গ্রাজুয়েসনের পরীক্ষাটা হয়ে গেলেই নমিতা বৌদির সাথে ওর বিয়েটা সেরে নেবে। ওদের কথা শুনে যেন মাথায় বাজ পরলো আমার।
#গল্পঃ মায়ের প্রেম বিবাহ
#পর্বঃ ১
#চলবে?
পরবর্তী পর্ব দ্রুত আসবে...
#গল্পঃ মায়ের প্রেম বিবাহ
#পর্বঃ ২
পিকুর গ্রাজুয়েসনের পরীক্ষাটা হয়ে গেলেই নমিতা বৌদির সাথে ওর বিয়েটা সেরে নেবে। ওদের কথা শুনে যেন মাথায় বাজ পরলো আমার। অরুপদা ইয়ার্কি মেরেই চললো,
অরুপাদ - তারপরতো 'বউদির ব্লাউজের ভেতর' মিষ্টি ওই দুটো আমাদের পিকুই খাবে।
দিলুদা অরুপদার কথা শুনে খি হেঁসে বললো,
দিলুদা - কোন মিষ্টিগুলো আমাদের পিকু খাবে সেগুলো একটু বল অরুপ...আমরা শুনি।
অরুপদা - কেন নমিতা বৌদির ডা ব কা দু ধ দুটোর ওপরে লাগানো বাদামী রাজভোগ' আর দু পায়ের ফাঁকের লাল মৌচাক'।
ছোটকার বাকি এঁচোড়ে পাকা বন্ধুগুলো এসব হেসেই সারা।
দিলুদা - সত্যি মা ই রি তোর বৌদি নিজের বু কের সাইজ যা বানিয়েছেনা একবারে যেন লাউ ঝুলছে .আর বিশেষ করে যখন ভিজে কাপড়ে বউদি পুকুর থেকে চান ফেরে আর বউদির নি পি ল দুটো ভিজে কাপর ঠেলে ফুটে ওঠে, তখন মনে হয় সত্যি সত্যি ওগুলো রাজভোগই বটে। আমরা তো মাঝে সাঝে কখনো সখনো বৌদিকে দেখি আর তাতেই আমাদেরই মন উথাল পাথাল করে। আর তোরা ভাব সেখান নমিতা বৌদি তো সারা দিনই আমাদের পিকুর সামনে নিজের বু কে র লাউ দুটো দুলিয়ে ঘুরছে পিকু নিজেকে কিভাবে সামলায় কে জানে।
অরুপদা - আমাদের পিকু সংযম কারন আমাদের পিকু জানে ফুলশয্যার রাতে নমিতা বউদিকে পিকুর সামনে ব্লাউজ খুলতেই হবে।
ছোটকা - লজ্জায় ধ্যাত।
অরুপদা ছোটকার সাথে খুনসুটি করতে করতে বলে,
অরুপদা - ধ্যাতের কি আছে, আমি তো এখনই দেখতে পাচ্ছি ফুলশয্যার রাত... বন্ধ ঘরে নমিতা বউদি বেনারসি পরে লজ্জায় মুখ নামিয়ে বসে আছে আর আমাদের পিকু বু ক থেকে কাপড় সরিয়ে আস্তে আস্তে একটা একটা করে বউদির ব্লাউজের হুক খুলছে।
দিলুদা বলে –তারপর কি? থামলি কেনরে হতভাগা, কারেন্ট চলে গেল নাকি তোর... বল?
আরুপদা - হাঁসতে হাঁসতে তারপর আর কি বলবো পুরো অ্য ডা ল্ট সিন বুঝলি, পিকু নমিতা বৌদির ব্লাউজ আর ব্রে স্টি য়াল খুলে দিতেই লাউ এর মতন ম্যা না দুটো বেরিয়ে থপ করে ঝুলে পরলো। তারপর আমাদের পিকু সারা রাত নমিতা বৌদির নরম বু কে ডুবিয়ে দু ধ খেল।
দিলুদা - হাঁসতে হাঁসতে বিয়ের পর পিকুর কি শুধু বৌদির দু দু খেয়ে মন ভরবে, রোজ রাত্তিরে বৌদির তল পেটের নিচের মৌচাকের মধুও তো ওই খাবে। আর বৌদিকে দেখিস রোজ পিকু ওর সব রি কলা খাইয়ে দিবে। বলেই সবাই হাসতে লাগলো এর মধ্যে ছোটকার বন্ধু সন্তুদা বড়দের মত পাকা পাকা গলায় বলে,
সম্ত্তদা - দেখিস বাবা পিকু, ডাগর ডোগর বিধবা মেয়েছেলে বলে কথা, এই একবছরের মধ্যে কাউর সাথে ভেগে না যায়। কবে বিয়ে হবে বলে থাকিসনা যত তাড়াতাড়ি পারিস তোর বউদি কে নাং টা কর। দু বছর হয়ে গেল তোর দাদা মারা গেছে, আর কত দিন সে ক্স না করে থাকবে বউদি।
দিলুদা - হ্যাঁ, এক আগে মাঝে মাঝেই বিকেলের দিকে পুকুরপারে তোর দাদার ওই বন্ধুটার সাথে গল্প করতে যেত। ভাগ্যিস তোর মার কানে খবর চলে গেল নাহলে এতো দিনে কোথাও পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে আবার বাচ্ছা ফাচ্ছা বার সংসার ফেঁদে বসে থাকতো।
আমি বুঝলাম ওরা কার কথা বলছে, বাবার বন্ধু সানু কাকু। বাবার মৃত্যুর পর সানু কাকুই আমাদের উকিল ঠিক দিয়েছিল, আর সানু কাকুর পরামর্শেই মা কোর্টে শেষ পর্যন্ত লড়ে যায় আর বাবা কাকার হত্যাকারীরা সাজা পায়। সানু কাকু মাকে বোন ডাকতো। বাবা বেঁচে থাকতেই মাকে ভাইফোঁটার দিন সানু কাকুকে ভাইফোঁটাও দিতে দেখেছি। বুঝলাম পাড়া পড়শিরা সানু কাকুর সাথে গল্প করতে দেখে ভুল বুঝিয়েছে ঠাকুমাকে।
অরুপদা - অত সহজ, আমি এখন সব সময় ওর বউদিকে চোখে চোখে রাখি। আর তোরা তো জানিসনা পিকুর মা জানলো কি করে, আসলে আগের বার তো আমিই আমার ঠাকুমাকে দিয়ে পিকুর মাকে খবর পাঠিয়ে ছিলাম। তখনই তো ওর মা ডিসিশন নিল যে ঘরের ইজ্জত ঘরে রাখতে গ্রাজুয়েসনের পরীক্ষাটা হলেই বৌদির সাথে ওর বিয়ে দিয়ে দেবে। তাছাড়া ওর বৌদির বাপের বাড়ি থেকে পাওয়া সম্পত্তির পরিমানও তো কম নয়। ওর বউদি আবার কোথাও বিয়ে ফিয়ে করে ভেগে গেলে বৌদির বাপের থেকে যৌতুক হিসেবে পাওয়া সব জমিজমা আর সম্পত্তিও ওদের পরিবারের হাতছাড়া হয়ে যাবে।
সন্তুদা - আমাদের পিকুই কি কম? আগে আমরা কেউ বউদিদের নিয়ে র গ র গে আলোচনা করলে পিকু বলতো বাজে কথা বলিস তোরা, বউদি হল মায়ের মত, আর যেই ওর মা বিয়ের কথা পারলো অমনি পিকু বৌদির দু দু খেতে রাজি গেল।
ছোটকা - হেসে উঠল আরে মায়ের মত মনে করি বলেই তো বৌদির দু ধ খেতে রাজি হয়েছি।
সন্তুদা - হাঁসতে হাঁসতে হ্যাঁ মায়ের মত মনে করে বু কে র দু ধ খাবি আর বউয়ের মত মনে করে পা ফাঁক করিয়ে গু দ মারবি।
সবাই সন্তুদার শুনে হো হো করে হেঁসে উঠলো
অরুপদা - হাঁসতে হাঁসতে ও তোরা যাই বলিস, তোরা দেখে নিস সামনের বছর থেকে রোজ রাতে আমাদের পিকুই নমিতা বৌদির সা য়া র দড়ি খুলবে। ছোটকার এক মহা শয়তান বন্ধু সুনিল বলে ওঠে
সুনিল - রাতে তোর বৌদির সা য়া তোলার পর কি করবি রে পিকু?
ছোটকা মজা পায় সুনিলের দুষ্টুমিতে, কিন্তু লজ্জায় কিছু বলেনা, অরুপদা ওর হয়ে বলে,
অরুপদা - তারপর আর কি প্রথমে ওপর চড়বে তারপর "মা র পকা পক নমিতার গু দে।"
সুনিলদাও দমবার পাত্র নয় হেঁসে জিজ্ঞেশ করে - তারপর?
ছোটকার বন্ধুরা সবাই হাঁসতে থাকে। অরুপদা তার মধ্যেই বলে,
অরুপদা - তারপরের ষ্টেজ তো তোরা জানিস "মা র গু দ জল বউদির গু দে... চি ড়ি ক চি ড়ি ক।
দিলুদা - তারপর।
সুনিলদা - "তারপর আর কি কিছুদিনের মধ্যেই বেচারি নমিতা বউদির মা সি ক বন্ধ। একদিন হটাত ওয়াক করে খুব বমি করবে। আর কয়েক মাসের পেট ফুলে জয় ঢাক হবে।
স্বপনদা - ই শ নমিতা বউদির খুব কষ্ট হবে নারে? ঘরের সব কাজ তো বউদিই করে শুনি। বউদির পে টে যখন পিকুর দাদার বাচ্ছা এসেছিল তখন তো বউদির বয়স কম ছিল, সব সামলে নিয়েছিল, আর এখন এই ৩৬ - ৩৭ বছর বয়েসে আবার পিকুর আ দ রে পেট হলে কি যে করবে কে জানে? কি করে যে এতবড় পেট নিয়ে ঘরের সব কাজ করবে বেচারি।
অরুপদা - আর আমাদের পিকুতো এমনি এমনি নমিতা বউদিকে ছেড়ে দেবেনা। অন্তত দু দু বার তো পো য়া তি করাবেই ওর বউদিকে।
দিলুদা - ছেড়ে দেবার প্রশ্নই নেই। বৌদির পেটে নিজের বাচ্চা না ঢো কা লে পিকু ওকে কিছুতেই বস করতে পারবে না। তকন দেখবি বউ পাবার বদলে মাথায় সিঁদুরওলা আর একটা মা পেয়েছে । সারাক্ষন পিকুকে জ্ঞান দেবে আর ওর দাদার বাচ্ছার ভবিষ্যত নিয়েই সারাদিন ব্যাস্ত থাকবে।
ছোটকা - হাঁসতে হাঁসতে ও নিয়ে তোরা চিন্তা করিসনা, চাষের জমিতে রোজ রাতে নিয়ম করে লাঙ্গল চালালে আর বী জ ফেললে ফসল তো ফলবেই।
ছোটকাট কথা শুনে সবাই মিলে অস ভ্যের মত হি হি করে হাঁসতে লাগলো। এতো সহজে মাকে নিয়ে আজে বাজে বলছিল ওরা দেখে মনে হল মাকে নিয়ে এসব কথা প্রায়ই বলে।
পরের দিন সকালেও একই ঘটনা। ছোটকা দুপুরে বাড়ির সামনের মাঠে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলছিল। আমি একটু দূরে দাঁড়িয়ে ওদের খেলা দেখছিলাম। এমন সময় দেখি মা পাশের পুকুর থেকে চান করে ভিজে কাপরে বাড়ি ফিরছে। বাড়িতে ঢোকার মুখে মা ওদের দেখে গামছাটা ভাল করে বু কে ওড়নার মত জরিয়ে নিল।
সন্তুদা - একিরে, এদেখ পিকু দেখ তোর বউ তোকে দেখে বু ক ঢাকছে।
অরুপদা - ঢাকতে দে ঢাকতে দে, বললাম না আর তো মাত্র একটা বছর, তারপর কি এত তেজ থাকবে, তারপর তো রোজ রাত্তিরেই আমাদের পিকুর পাশে উ দা ম হয়ে বু ক খুলে শুয়ে থাকতে হবে।
মা অবশ্য ওদের কথা শুনতে পায়নি তাড়াতাড়ি বাড়ি ঢুকে গেল। আমি আর থাকতে পারলাম না, সেদিন রাতে শোবার সময় সাহস করে মাকে জিগ্যেস করেই ফেললাম মনের কথাটা।
আমি - মা বাবা তো মারা গেছেন প্রায় দু বছর হল, তুমি বিয়ে করবেনা?
আমার মুখে আচমকা এই কথা শুনে একপলকের জন্য যেন মনে হল মা একটু অপ্রস্তুত পরলো, মার চোখে কয়েক সেকেনডের জন্য লজ্জা যেন ঝিলিক দিয়ে উঠলো। কিন্তু তারপরেই মা সামলে নিয়ে হাই তুলে বিছানায় শুতে শুতে বললো,
মা - ব্যাপারটা কি, রাতদুপুরে হটাত মা আবার বিয়ে করবে কিনা চিন্তা মাথায় এল? তোর মা তোরই থাকবেরে বোকা, তোকে ছেড়ে কোথাও কখনো যাবেনা, নে এখন শুয়ে পড়, অনেক রাত হয়েছে।
মার কথা শুনে মনটা আশ্বস্ত হল। যাক মা যখন নিজের মুখে আমাকে বলেছে তখন নিশ্চই এ বিয়েতে রাজি হবেনা। মা মিথ্যে কথা খুব কমই বলে, সেই ছোট থেকেই দেখে আসছি। মা দিনে দুবার চান করে, একবার সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর আর একবার করে দুপুরে ভাত খাওয়ার আগে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মা চান করে আর আগের দিনের বাসি কাপড়চোপড়গুলো ছেড়ে বাথরুমেই জড় করে রাখে। পরে দুপুরে চান করার আগে ওগুলো কেচে ছাতে শুকোতে দিয়ে দেয়।
একদিন সকালে এরকমই মা চান করে বাথরুম থেকে বেড়িয়েছে এমন সময় দেখি ছোটকা টুক করে আমাদের বাথরুমের ভেতর সেঁধিয়ে গেল। এমনিতে ছোটকা ওদের ভাগের বাথরুমটাই ইউজ করে আর আমরা আমাদের ভাগের, তবে নিজেদেরটায় কেউ ঢুকে থাকলে অথবা জোরে বাথরুম পেয়ে গেলে একে অন্যরটা ব্যাবহার করি। ছোটকার এদিক ওদিক কেউ আছে কিনা দেখেনিয়ে সুরুত করে আমাদের বাথরুমের ভেতর সেঁধিয়ে যাওয়া দেখে আমার মনে কিরকম যেন একটা সন্দেহ হল।
আমি পা টিপে বাথরুমে কাছে গিয়ে দেখি বাথরুমের দরজা আধা ভেজান। ভেজান দরজার ফাঁক দিয়েই দেখা যাচ্ছে ছোটকার এক হাতে মার ব্লাউজ আর অন্য হাতে মার একটা সা য়া। বুঝলাম সকালে ছেড়ে রাখা মার বাসি কাপড় চোপড় ওগুলো, ছোটকা একবার এহাতে সা য়া তে নাক লাগিয়ে শুঁকছে তো কখনো অন্য হাতের মার ব্লাউজে মুখ লাগিয়ে শুঁকছে। একবার তো মার ব্লাউজটাতে নাক ডুবিয়ে এমন বুঁদ হয়ে শুঁকছিল মনে হচ্ছিল যেন জগৎ সংসার ভুলে গেছে।
আমি আর কি করবো ওখান থেকে লজ্জায় পালিয়ে এলাম। মনে মনে ভাবলাম যতই মার সায়া ব্লাউজ শোঁক ছোটকা আর বন্ধুদের সাথে মার শরীর নিয়ে নং রা নং রা আলোচনা কর, মার সাথে রাতকাটানো তোমার ক ম্ম নয়। তবে মনে খটকা লাগছিল। সেদিন রাতে যখন মাকে আবার বিয়ের কথাটা প্রথমে বললাম, একপলকের জন্য হলেও মার চোখে লজ্জ্যা আর মুখে একটু যেন অপ্রস্তুত ভাব লক্ষ্য করেছিলাম। মনের খটকাটা প্রবল হল দিনের ছোট্ট একটা ঘটনা চোখে পরাতে।
সেদিন দুপুরে ঠাকুমার আগেই খাওয়া হয়ে গিয়েছিল। ছোটকা সবে মাত্র খেয়ে উঠচে, তারপর আমি আর মা খেতে বসেছি। ঠাকুমা কি যেন একটা করতে খাবার ঘরে এসেছিল, হটাত ছোটকার ভাতের থালায় চোখ পরতে বললো,
ঠাকুমা - দেখ নমিতা... পিকু দুটো মাছই একটু খেয়ে ফেলে দিয়ে গেছে। আলুর তরকারিটাও পুরো খায়নি, কি ভাবে যে খাবার নষ্ট করে এরা, এসবের কত টাকা নষ্ট হয় বল? আর এইভাবে খাবার ফেললে বাড়ির লক্ষিশ্রীও নষ্ট হয় জানতো। এত বড় বড় দুটো মাছের পিস, একটু ভেঙ্গে খেয়ে উঠে গেল। এবার তো আমাকে এগুলোকে ফেলে দিতে হবে, যদি খিদে না থাকে তাহলে পাতে দেবার সময়ই বলে দেওয়া উচিত ছিল বল?
মা - ছেড়ে দিন মা আমি নিয়ে নিচ্ছি, খাবার নষ্ট করা আমারও পছন্দ নয়।
ঠাকুমা - খুশি হয়ে তুমি নেবে মা, সেই ভাল, নষ্ট হবেনা।
ঠাকুমা ঘর থেকে বেরিয়ে যেতেই আমাকে অবাক করে মা ছোটকার থালা থেকে এঁটো মাছ দুটো আর না খাওয়া তরকারিটা নিজের থালায় ঢেলে নিল। আমি তো অবাক। মাকে ছোট থেকে কোনদিন কারো এঁটো কিছু খেতে দেখিনি, একবারে ছোট বেলার কথা বাদ দিলে বড় হয়ে যাবার পর আমার এঁটোও মাকে কোন দিন খেতে দেখিনি, এমন কি ছোটবেলায় বাবার এঁটো করা বা ফেলে দেওয়া খাবার মা তার থালায় ঢেলে খাচ্ছে তাও দেখেছি বলে মনে পরেনা। আবাক হয়ে দেখলাম মা নির্দ্বিধায় ছোটকার এঁটো আধ খাওয়া মাছদুটো তৃপ্তি করে খাচ্ছে। ওমনি মনে খারাপ চিন্তার উদয় হল, তাহলে কি মা ভাবলো যে বিয়ের পর রাতে ছোটকার মুখে মুখ দিয়ে হা মু খেতেই হবে তাহলে এখন আর এঁটো খেতে দোষকি। মনটা খারাপ হয়ে গেল, কিন্তু তারপরে ভাবলাম ধুর এরকম একটা ছোট ঘটনার ওপর বেস করে ছেলে হয়ে মার সম্বন্ধ্যে ভাবা উচিত নয়।
কিন্তু এর কিছুদিন আরো একটা ব্যাপার চোখে পড়লো আমার, যেটা দেখে আমি মনে মনে সন্দেহ করতে শুরু করলাম যে মা হয়তো সেদিন আবার বিয়ে নিয়ে যা বলেছিল তা আমার মন বোঝানোর জন্যও হতে পারে। আগে মোক্ষদা মাসি ছোটকার জামা কাপড় সব কেচে দিত, তার জন্য অবশ্য পয়সাও নিত আলাদা করে। তবে ছোটকার গেঞ্জি জা ঙি য়া টা কাচতে চাইতো না মোক্ষদা মাসি। ওগুলো ছোটকা রোজ চান করার সময় কেচে ছাতে শুকোতে দিত।
একদিন মা নিজের কাচা সায়া শাড়ি ব্লাউজ ব্রে স্রি য়ার এইসব বালতিতে নিয়ে ছাতে শুকোতে দিতে যাচ্ছে, আর আমি ছাত নামছি, হটাত আমার ছোখে পরলো মার হাতের বালতিতে মার কাচা ছায়া শাড়ীর সাথে ছোটকার কাচা গেঞ্জি জা ঙি য়া টাও উঁকি দিচ্ছে। ভাবলাম হতে পারে ছোটকা কোন কারনে ভুলে গেছে দেখে হয়তো মা নিজেই নিয়ে নিয়েছে ছাতে শুকোতে দেবার জন্য। কিন্তু এর পর থেকে খেয়াল করলাম মা রোজই প্রায় নিজের ছায়া শাড়ী ব্লাউজের সাথে চোটকার গেঞ্জি জা ঙি য়া টাও ছাতে শুকোতে দিচ্ছে। ভাল করে খেয়াল করতে চোখে পরলো মা দুপুরে চান করার আগে যখন নিজের বাসি সায়া শাড়ি ব্লাউজ কাচাতে বসে তার ঠিক আগে রোজই একবার টুক করে ছোটকার ঘরে ঢুকে পোরে আলনা থেকে ছোটকার বাসি গেঞ্জি জা ঙি য়া টা কাচার জন্য নিয়ে নিচ্ছে।
মনে মনে ভাবলাম এমন কি ঘটে গেল বাড়িতে যে মা ছোটকার গেঞ্জি জা ঙি য়া টাও নিজের ছায়া শাড়ির সাথে কেচে দেওয়া শুরু করলো। মনে আবার নানা খারাপ চিন্তা আসা শুরু হয়ে গেল। ভাবলাম মা কি তাহলে ভাবছে বিয়ের পর রাতে ছেটকার সাথে জড়া জড়ি ধামসা ধামসি তো হবেই আর তখন স্বাভাবিক ভাবেই ছোটকার শরীরের ঘামও গায়ে লাগবে। তাহলে এখন হবু স্বামীর ঘেমো গেঞ্জি কাচতে লজ্জা কি। অথবা ছোটকার ধ ন টাও বিয়ে পর রোজই নিজের শরীরের ভে'তরে নিতে হবে, এমনও হতে পারে ধ ন টাও রোজ খেতে হবে। তাহলে এখন ছোটকার নং রা জা ঙি য়া কাচতে অসুবিধে কোথায়।
#চলবে?
পরবর্তী পর্ব রাত ৮ টাই দেওয়া হবে।
কাল থেকে প্রতিদিন রাত ৮ টাই নতুন পর্ব দেওয়া হবে।
ধন্যবাদ
#গল্পঃ মায়ের প্রেম বিবাহ
#পর্বঃ ৩
ছোটকার ধ ন টাও বিয়ে পর রোজই নিজের শরীরের ভে'তরে নিতে হবে, এমনও হতে পারে ধ ন টাও রোজ খেতে হবে। তাহলে এখন ছোটকার নং রা জা ঙি য়া কাচতে অসুবিধে কোথায়। এইভাবে দিন কাটতে লাগলো। দেখতে দেখতে ছোটকার পরীক্ষার দিন এগিয়ে আসতে লাগলো ওপর থেকে কিছু বোঝা না গেলেও আমার কেমন যেন মনে হতে লাগলো যে ঠাকুমা তলে তলে ছোটকার আর মার বিয়ের ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে আর একাজে ঠাকুমা কে সাহাজ্য করছে ওই মোক্ষদা মাসি।
মায়ের সঙ্গে মোক্ষদা মাসির হটাত যে এত ঢলাঢলি কেন হল বুঝতে পারতামনা। রাগ ধরে যেত মোক্ষদা মাসির উপর। আসলে বিয়ে বিয়ে করে মার মাথাটা ওই মোক্ষদা মাসিই খারাপ করে দিচ্ছিল। কারন বঙ্কুর মুখে আগেই শুনেছিলাম ঠাকুমার প্রস্তাবে মা প্রথমটায় ভীষণ রেগে গিয়েছিল। আসলে মোক্ষদা মাসি রোজ সুযোগ পেলেই মার সাথে গুজুর ফুসুর ফুসুর কানে যৌ ন তা র বিষ ঢালতো। এমনিতে কতগুলো ছোটখাট দৃষ্টিকটু ব্যাপার স্যাপার ছাড়া এতো দিন ধরে মাকে ছোটকার ব্যাপারে নিরাসক্তই দেখেছিলাম। ছোটকা নানারকম দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা সত্বেও মা ছোটকার সঙ্গে ছোট যেরকম গুরুজনের মত ব্যাবহার করতো সেরকমই করতে লাগলো।
কিন্তু ছোটকার পরীক্ষার ঠিক তিন চার মাস আগে থেকে মার ব্যাবহারটা একটু করে কেমন যেন পালটে যেতে লাগলো। একদিন সকালে ছোটকা বাজার নিয়ে এসে বাজারের ব্যাগটা রান্না ঘরে রেখে উঠনে বসে খবরের কাগজ পড়ছে। মা বাজারের ব্যাগ থেকে কাঁচালঙ্কা খুজে না পেয়ে বললো,
মা - হ্যাঁগো তুমি কাচালঙ্কা কোন ব্যাগে এনেছো গো?
আমি মার কাণ্ড দেখে অবাক হয়ে গেলাম। কারন মাকে তো চিরকাল ছোটকাকে তুইতোকারি করতে শুনেছি। মা করে 'তুমি' ছোটকার সঙ্গে কথা বলছে কেন রে বাবা? যতদিন বাবা বেঁচে ছিল ততদিন মাকে বাবার সাথে এইভাবে বলতে শুনেছি। মা এভাবে ডাকাতে ছোটকা মার কথা শুনতে পেলেও বুঝতে পারেনি। মা এবার উঁচু গলায় আবার ডাকলো,
মা - হ্যাঁগো শুনছো কি বলছি? কাঁচালঙ্কাটা কোন ব্যাগে রেখেছো তুমি আমি খুঁজে পাচ্ছিনা? এদিকে এসে একটু দেখিয়ে দিয়ে যাওনা গো?
ছোটকার মুখে একটা মিচকি হাঁসি দেখা দিল ‘হ্যাঁগো’ ওগো’ ডাক শুনে। আর আমার গাটা রাগে জ্বলে পুরে যেতে লাগলো।
ছোটকা - (শুধু) যাচ্ছি।
আরো একটা জিনিস খেয়াল শুরু করলাম আমি, আমাদের বাড়িতে ভাজাভুজি খাবার খুব চল ছিল। সকালে রাতে দু বেলাই ভাত খাবার সময় কিছুনা কিছু ভাজা ভুজি খাওয়ার চল ছিল। ভাজাভুজি বলতে হয় আলু ভাজা, পটল ভাজা কিংবা বড়ি ভাজা... এই সব টুকিটাকি ভাজাই আরকি। কদিন ধরে খেয়াল করলাম মা চেষ্টা করে ভাজাভুজিটা ঠিক ছোটকার খাওয়ার সময় শুরু করতে। কেমন যেন মনে হল ছোটকা যাতে খাবার সময় একবারে গরম গরম ভাজা পাতে পায় তাই। আগে কোনদিন এরকম ঠিক ছোটকার খাবার সময়ে ভাজতে বসতে দেখিনি। এছাড়া রোজ ভাত বাড়ার সময়ও মনে হত ছোটকার পাতে মাছের সবচেয়ে বড় পিসগুলো মায়ের হাত থেকে পড়ছে। যাই হোক এসব আমার মনের ভুলও হতে পারে ভেবে পাত্তা দিলাম না।
ছোটকা আগে সন্ধ্যে বেলায় গোয়ালা দু ধ দিয়ে গেলে আমার মতই এক গেলাস করে দু ধ খেত। মাঝে একবছর দু ধ খাওয়া বন্ধ দিয়েছিল। বলতো ভাল লাগেনা আমার। তবে আমি রোজই খেতাম। একদিন ঠাকুমা মাকে বলে,
ঠাকুমা - আমাদের পিকুটা দিন দিন কেমন যেন রোগা হয়ে যাচ্ছে দেখেছো? ঠিক মত খাওয়া দাওয়াও করেনা রোজ খাবার ফেলে, সামনে পরীক্ষা আসছে শরীরে তাগদ না এলে রাত জেগে পড়াশুনো করবে কি করে? অসুস্থ হয়ে যাবে যে? বউমা তুমি ওকে আগের মত রোজ বিকেলে একগ্লাস করে দু ধ পাঠিয়ো তো।
মা - আচ্ছা মা।
সেদিন বিকেলে ঘোয়ালা দু ধ দিয়ে যাবার পর মা একগ্লাস দুধ মোক্ষদা মাসির হাত দিয়ে ছোটকার ঘরে পাঠালো। মোক্ষদামাসি ছোটকার ঘরে দু ধের গ্লাসটা নিয়ে ঢূকতে ছোটকা বিরক্ত হয়ে বলে উঠলো,
ছোটকা - না না এখন দু ধ খেতে ভাল লাগছেনা। মোক্ষদামাসি দু ধের গ্লাসটা নিয়ে ফিরে আসতে মা বিরক্ত হয়ে বললে
মা - আর একবার যাও.. গিয়ে বল দু ধ না খেলে মা রাগারাগি করবেন।
মোক্ষদামাসি আবার গেল কিন্তু আবার ফিরে এসে বললো,
মোক্ষদামাসি - ছোড়দা খাবেনা বলছে, বলছে মা চেঁচামেচি করলে করুক।
মা তখন চাল ধুচ্ছিল, মোক্ষদামাসির দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হেসে মা বললো,
মা - আচ্ছা আর একবার যাও আর এবার গিয়ে বল বউদি পাঠিইয়েছে।
মোক্ষদাও মায়ের ইশারা বুঝতে পেরে খি খি করে হাঁসতে হাঁসতে আবার দু ধের গ্লাস নিয়ে ছোটকার ঘরের দিকে গেল। আমি রান্না ঘরের পাশেই উঠনে ছিলাম। মা যেই বললো এবারে গিয়ে বল আমি পাঠিয়েছি, ওমনি আমি মোক্ষদার পেছুপেছু ছোটকার ঘরের দিকে গেলাম। নম্বরের ঢেম না মেয়ে ছেলে এই মোক্ষদা, ছোটকার ঘরে গিয়ে বলে,
মোক্ষদামাসি - নাও তোমার বউদি তোমার জন্য দু ধ পাঠালো।
ছোটকা এবার আর না বলে না, মুচকি হেঁসে মোক্ষদার হাড থেকে দু ধের গ্লাসটা নিয়ে এক চুমুকে ফাকা করে দেয়। তারপর মোক্ষদামাসিকে চোখ টিপে বলে,
ছোটকা - বউদি কে বোল গরুর দু ধ খেতে আমার আর ভাল লাগেনা, আমার এখন মেয়েছেলের দু ধ খেতে ইচ্ছে করে।
মোক্ষদামাসির তো এই সব নং রা নং রা কথা খুব পছন্দ, সে আনন্দে খি খি করে হাসে। তারপর ফাঁকা গ্লাসটা ছোটকার হাত থেকে নিয়ে ছোটকাকে পাল্টা চোখটিপে বলে,
মোক্ষদামাসি - এই তো লক্ষি ছেলে, বউদি পাঠিয়েছে শুনেই কেমন টুক করে খেয়ে নিলে, এখন কদিন গরুর দু ধ খাও, বিয়ের পরেতো একবারে টাট কা খাটি মা গির দু ধ পাবেই। তখন আর গ্লাস থেকে খেতে হবেনা রোজ রাতে বউদির মা ই তে মুখ গুজে চু ষে চু ষে খেয়ো।
ছোটকা - হেঁসে সে এখনো অনেক দেরি মোক্ষদামাসি, কবে বউদি বিয়েতে রাজি হবে, করে বউদির পে টে আমার বাচ্ছা আসবে, তারপরতো।
মোক্ষদা - ততদিন না হয় গরুর দু ধ খেয়ে খেয়ে শরীরের তাগদটা বাড়িয়ে নাও, তোমার বউদির যা গ ত র, শরীরে তাগদ না থাকলে বিয়ের পর বউদিকে কোলে নেবে কি করে। ছোটবেলায় তুমি নং টো পোঁ দে তোমার বউদির কোলে চড়ে ঘুরতে, আর বিয়ের পর রোজ রাতে বউদি নং টো পোঁ দে তোমার কোলে উঠবে।
ছোটকা - লজ্জায় ধ্যাত।
মোক্ষদামাসি - ধ্যাতের কি আছে! বউদিরও তো ইচ্ছে হয় নাকি বিয়ের পর সমর্থ স্বামীর কোলে চাপতে। আমি তো তোমার মেসো বেঁচে থাকতে প্রায়ই তোমার মেসোর কোলে উঠতাম। স্বামীর কোলে ওঠাতে মেয়েদের যে কি আনন্দ তা বুঝবে না।
এবার দুজনেই একসঙ্গে হাহা হেসে উঠলো। এরপর মোক্ষদামাসি মুখে সিরিয়াস ভাব এনে বলে,
মোক্ষদামাসি - মুখে যতই গম্ভীর গম্ভির ভাব আনুক, ভেতরে ভেতরে তোমাকে নিয়ে বউদির অনেক চিন্তা জান?
ছোটকা ওমনি লাফিয়ে ওঠে বলে,
ছোটকা - তাই নাকি, তাই নাকি, কি করে বুঝলে?
মোক্ষদামাসি - এই তো কদিন আগেই বলেছিল আমাদের পিকুটা খুব রোগা হয়ে যাচ্ছে, ঠিক মত খাবার দাবার খায়না, ওর জন্য খুব চিন্তা হয় সামনে পরিক্ষা আসছে।
মনে মনে খুব এক চোট খি স্তি দিলাম মোক্ষদা কে। এক নম্বরের খা ন কি একটা, দিব্বি ঠাকুমার কথাটা মায়ের বলে চালিয়ে দিল। এসব বলে বলে দুজনের কানেই বিষ ঢালছে মা গি টা।
ছোটকা - ধুর, সত্যি বলছো, বউদি ভেতর ভেতর আমার জন্য এতো চিন্তা করে? কই আমিতো ওপর থেকে একদম বুঝতে পারি না। তবে একটা ঠিক আছে আগে বউদির চোখে চোখ রাখলে লজ্জা পেত কিন্তু এখন বউদির চোখে চোখ রাখলে আগের মত লজ্জাতো পায়ইনা উলটে আমার চোখ থেকে নিজের চোখও সরায় না।
মোক্ষদামাসি - তবেই বলো, তাছাড়া দেখতে পাওনা এখন সবচেয়ে বড় মাছের বা মাংসের পিসগুলো তোমার পাতেই পরে। তোমার শরীর নিয়ে বড় চিন্তা বউদির। একবার নিজের স্বামী হারিয়েছে তো, তোমাকে আর হারাতে চায়না, পেলে একবারে বুকে আগলে রাখবে।
ছোটকা - তুমি সত্যি বলছো মোক্ষদা, আমার কিন্তু বিশ্বাস হচ্ছেনা।
মোক্ষদামাসি - মেয়েদের মনের কথা তোমরা পুরুষেরা কবে থেকে আর বুঝতে শিখলে। তোমার জন্য বু'কের মধ্যে অনেক ভালবাসা বউদির। আসলে আমাদের নমিতা বউদি একটু চাপা টাইপের, সকলের কাছে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেনা। শুধু আমার কাছে মনের কথা বলে। ছোটকার মুখটা আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে বলে,
ছোটকা - তাহলে বলছো বউদি বিয়েতে মন থেকে রাজি হবে, মায়ের চাপে নয়।
মোক্ষদামাসি - হ্যাঁ গো, এখন একেবারে মন থেকে রাজি। তুমি ওর ছেলের বয়সী বলে তোমার কাছে খুব লজ্জা পায়। কিন্তু ভেতরে ভেতরে তোমাকে নিজের করে পাবার জন্য বউদি এখন একেবারে তৈরি।
ছোটকা৷ - তাহলে বিয়ের জন্য একবারে হ্যাঁ বলে দিচ্ছেনা কেন বউদি, বার বার সময় চাইছে কেন?
মোক্ষদামাসি - আসলে ছেলেটা বড় হয়েছে তো, টুকুন কেমনভাবে ব্যাপারটা নেবে সেটা ভয় পাচ্ছে। তাছাড়া মা হিসেবে নিজের ছেলের চোখের সামনে তারই সমবয়সি কাউর সাথে আবার পিড়িতে বসা, ঘর বাধা, বাচ্ছা নেওয়া, এসবে লজ্জা তো লাগবেই। তুমি চিন্তা করনা খুব তাড়াতাড়ি হ্যাঁ বলে যাবে। তোমাকে হ্যাঁ বলাটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আমি সবসময় বউদির পেছনে লেগে আছি।
ছোটকা - তুমি যেমনে পারো বৌদিকে আমার খাটে তুলে দাও। বিনিময়ে তুমি যা চাও তাই পাবে।
এসব শুনে আমার মনে হল এতক্ষণ ভাবছিলাম মোক্ষদামাসি মিথ্যে বলছে, কিন্তু এটা তো ঠিক এখন সবচেয়ে বড় মাছে বা মাংসের পিসগুলো মায়ের হাত থেকে ছোটকার পাতেই পরে। তাহলে কি মা সত্যি সত্যি ছোটকার সাথে আবার ফুলশয্যা করতে তৈরি, শুধু আমার সামনে ছোটকাকে বিয়ে বা নতুন করে সংসার পাততে লজ্জা পাচ্ছে? আর সেই জন্যই কি মা এখোনো ঠাকুমাকে পুরোপুরি হ্যাঁ বলেনি। মায়ের মুখ দেখে বোঝা মুস্কিল। মুখ দেখে তো মনে হয় ছোটকার বাপারে মা আগের থেকে একটু দুর্বল হলেও বিয়ে করতে এখনো একবারেই রাজি নয়। কে জানে শেষ পর্যন্ত কি হবে।
এর কিছুদিন পর থেকে লক্ষ করলাম ছোটকা বাড়িতে থাকলে ছোটকার চোখ এখন আর শুধু মার চোখে চোখে নয় বরং মার বু কে, পেটে বা পা ছা য় ঘুরে বেড়াতে শুরু করেছে। মা বা ঠাকুমা দুজনেই ব্যাপারটা লক্ষ করলেও কেউই মুখ ফুটে কিছু বলছে না। আমার কিন্তু ভেতর ভেতর খুব রাগ হচ্ছিল, কিন্তু দেখলাম মা বা ঠাকুমা সবাই ব্যাপারটা যেন দেখেও দেখছেনা। তবে একদিন মোক্ষদামাসি রান্নাঘর থেকে এঁটো থালা বাসন নেবার সময় মুচকি হেসে মাকে বললো,
মোক্ষদামাসি - দেখেছো বউদি সুযোগ পেলেই তোমার বুক দুটোকে সারাদিন কেমন হ্যাঁ করে গিলছে। একদিন ধরে তোমার একটু দু দু খাইয়ে দিতে পারো না? মনে হচ্চে বিয়ের পরে তোমার মা ই দুটোকে কাঠঠোকরার মত ঠুকরে ঠুকরে খাবে।
#চলবে
পরবর্তী পর্ব পেতে সবাই সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ
#গল্পঃ মায়ের প্রেম বিবাহ
#পর্বঃ ৪
দেখেছো বউদি সুযোগ পেলেই তোমার বুক দুটোকে সারাদিন কেমন হ্যাঁ করে গিলছে। একদিন ধরে তোমার একটু দু দু খাইয়ে দিতে পারো না? মনে হচ্চে বিয়ের পরে তোমার মা ই দুটোকে কাঠঠোকরার মত ঠুকরে ঠুকরে খাবে।
মোক্ষদামাসির কথাবাত্রার কোন ছিঁড়িছাদ নেই, মুখে যা আসে বলে দেয়, নং রা নং রা কথা বলাতেও ওর জুড়ি মেলা ভার। তবে আমি ভেবেছিলাম মা ছোটকার ব্যাপারে বিরক্ত হয়ে অন্তত কিছু একটা মোক্ষদা মাসিকে বলবে। বা অন্তত মোক্ষদা মাসিকে নং রা নং রা কথা বলার জন্য ধমক টমক দেবে। মোক্ষদামাসি নং রা কথা বললে এর আগে মাকে অনেকবার আমি এরকম ধমক দিতে দেখেছি। মোক্ষদামাসি অসভ্যতা করলেই মা ফুঁসে উঠতো, বলতো
মা - মোক্ষদা আমার সামনে ছোটলোকের মত কথা বলবেনা। বয়েস হচ্ছে তোমার, মুখে একটু আগল দিতে শেখ।
মোক্ষদামাসি ওমনি চুপ করে যেত। অবশ্য এমন ধমক মোক্ষদামাসি ঠাকুমা বা আমার মেজকাকির কাছেও নিয়মিত খেত। মা কিন্তু এবারে আমাকে নিরাশ করলো, মোক্ষদাকে তেমন কিছু বললো তো নাই উলটে একটু মৃদু হাসলো তারপর বললো,
মা - বয়স কম তো, তাই এতো খা'ই খা'ই বাই।
মোক্ষদামাসি - পশ্রয় পেয়ে হেসে এখন তো খুব খা'ই খা'ই করছে কিন্তু বিয়ের পর তুমি যখন রোজ রাতে তোমার ওই গতর নিয়ে ওর কোলে উঠবে তখন এত খা'ই খা'ই থাকলেই হলো।
মা মোক্ষদা মাসির কথা শুনে কিছুই বললো না শুধু মুচকি একটু হাসলো। এই দেখে মোক্ষদা মাসি বলে,
মোক্ষদামাসি - বৌদি বিযের আগেই পিকুকে একটু চে টে দেখবে নাকি? তুমি বললে আমি কিন্তু পিকুর কোলে চাপার বন ব্যবস্ত করে দিতে পারি?
মা - এবার একটু গম্ভির হয়ে, আমি কিন্তু এখনো বিয়ের বাপারে রাজি হইনি মোক্ষদা। মায়ের কাছে ভাববার জন্য একটু সময় চেয়েছি মাত্র।
মোক্ষদামাসি - মুচকি হেসে তেষ্টায় গলা শুকিয়ে কাঠ আর সামনে জলের কুয়ো, দেখি কদিন জল না খেয়ে থাক। যাকে বলে পেটে খিদে মুখে লাজ।
মা উত্তরে কিছু বলেনা শুধু একটু মুচকি হেসে নিজের হাতের কাজ সারতে থাকে। সেদিনই বুঝলাম আমি যতই চাই বা না চাই মার সাথে ছোটকার বিয়ে হচ্ছেই। কারন ছোটকার বাপারে মার মন কোনভাবে একটু নরম হয়েছে। তবে মনে আশা ছিল মা বোধহয় সকলের চাপেই এই বিয়েতে নিমরাজি হয়েছে, আর একটু সুযোগ পেলেই আবার বেঁকে বসবে। মার জন্য মনে একটু সহানুভুতিও ছিল। স্বামীহারা বিধবা আমার মাটা সংসারে আর কত জনের বিরুদ্ধে একা লড়বে। মা তো আর অর্থনৈতিক ভাবে ইনডিপেনডেনট নয়। যতই জমি জমা নিজের নামে থাকুকনা কেন মায়ের নিজের ইনকাম বলতে তো আর কিছু নেই।
তাছাড়া চাষবাস করাতে তো মাকে ছোটকা আর ঠাকুমার হেল্প নিতেই হত। আসলে আমার ঠাকুমা নিজে চাষির মেয়ে ছিলেন বলে জমিজমা, চাষবাস , ফসল বিক্রি এসবের বাপারে দারুন অভিজ্ঞ ছিলেন। বাবা বা মেজকাকা বেঁচে থাকতেও দেখেছি, সংসারের বা চাষাবাদের বাপারে সব ডিসিশন আমার ঠাকুমাকেই নিতে । সত্যি কথা বলতে কি আমাদের বাড়িতে ঠাকুমার আদেশই ছিল শেষ কথা। একমাত্র আমার মেজকাকিকেই ঠাকুমা বেশ একটু ভয় করে চলতেন। মায়ের মত বড়লোকের ঘরের মেয়ে না হলেও অসম্ভব রূপসী আর শিক্ষিত ছিল বলে মেজকাকি সবসময় ধড়া কে সরা জ্ঞান করতো।
অবশ্য আমার মেজকাকি ঝুমা কে শুধু মাত্র রূপসী বললে কম বলা হবে। দুধে আলতা গায়ের রং, প্রায় পাঁচ ফুট আট ইনচি লম্বা আর অনেকটা দীপিকা পাড়ুকোনের মত ছিপছিপে ফিগার।চোখ নাকও গ্রিক মহিলাদের মত কাটা কাটা। সুন্দরি তো অনেকই হয় বাঙালিদের মধ্যে, কিন্তু এরকম টাইপের সুন্দরি মহিলা আমাদের গাঁ গঞ্জের বাঙালি ঘরে বড় একটা দেখা যায়না। গ্রামের লোকেরা অনেক সময় মেজকাকার সম্মন্ধ্যে মজা করে বলতো বানরের গলায় মুক্তোর মালা। ঠাকুমা অনেক চেষ্টা করেও শিক্ষিতা অসম্ভব রূপসী আর অহঙ্কারী আমার মেজকাকিকে বস করতে পারেননি।
তাছাড়া মেজকাকি আমার মেজকাকার থেকেও বয়েসে অনেক ছোট ছিল। মেজকাকা কে তো সারাক্ষন প্রায় নিজের পোষা কুকুর বানিয়ে রাখতো। মেজকাকির থেকে বয়েসে অনেক হলেও, মাকেও দেখেছি কখোনো মেজকাকির বিরুদ্ধে না যেতে। ওদের দুজনের মধ্যে বেশ ভাবও ছিল। মা অনেক ব্যাপারেই আমার মেজকাকির পরামর্শ প্রায় চোখবুজে মেনে নিত। মেজকাকিও তেমনি বাড়ির মধ্যে একমাত্র আমার মাকেই একটু পাত্তা দিত আর কাউকে নয়। মাকে দিদি দিদি করে ডাকতো কাকি। আসলে মা বোধহয় ঠাকুমার বিপরীতে মেজকাকিকে পেছন থেকে সাপোর্ট করতো।
মেজকাকা খুন হবার ছয় মাসের মধ্যেই মেজকাকি একদিন ঠাকুমার সাথে ঝগড়াঝাটি করে পাশের গ্রামে নিজের বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করে। আর এখন তো শুনছি মেজকাকির বাবা বিয়ের সময় যৌতূক হিসেবে অল্প যা কিছু জমিজমা আমাদের গ্রামে কিনে মেয়ের নামে করে দিয়েছিলেন তা এখন ফেরত চাইছেন। তবে সেটার পরিমান খুব বেশি নয়। ভীষণ ডাঁটিয়াল ছিল বলে আমি মেজকাকিকে সকলের মত একটু এরিয়েই চলতাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছিল মেজকাকি এবাড়ি তে থাকলে কিছুতেই মার সাথে ছোটকার বিয়ে হতে দিতনা। তখন বয়স কম ছিল, মাথায় অত বুদ্ধি আর বাস্তববোধও ছিলনা, তাই ভগবান কে মনে মনে ডাকছিলাম যেমন করে হোক মেজকাকিকে একবার এবাড়ি তে ফিরিয়ে দাও ঠাকুর। কারন আমি জানতাম ঠাকুমা আর মোক্ষদামাসিকে মেজকাকি একাই সিধে করে দিতে পারে।
এর কিছুদিন দিন পর একদিন রাতে বকুল মাস্টারের কাছে টিউশন সেরে বাড়ি ফিরছি, দেখি বাড়িরই ঠিক বাইরেটাতে ছোটকা ওর বন্ধুদের সাথে দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুঁকছে আর গুলতানি মারছে। আমি একটু দূরে অন্ধকারে দাঁরিয়ে ওদের কথা শোনার চেষ্টা করলাম। ওরা প্রথমে কি যেন একটা সিনেমা নিয়ে আলোচনা করছিল, কিন্তু বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলনা, একটু পরেই মায়ের প্রসঙ্গ চলে এল। দিলুদা বললো,
দিলুদা - আর বল? তোর বউদির সাথে লাইন ফাইন কেমন চলছে?
ছোটকা - লাইন ভালই চলছে, সারা দিনই বাড়ির সকলকে এরিয়ে দুজনার চোখে চোখ।
দিলুদা - জিও...গুরু জিও।
ছোটকা - মুচকি হেসে আগে তো সারাক্ষণ গুরুজনের মত গম্ভির গম্ভির ভাব করে থাকতো আর এখন ঘর ফাঁকা থাকলেই গা ঘেঁসে এসে -হ্যাঁগো শুনছো বলে বকর বকর করা শুরু করে। অবশ্য পুরোটাই সংসারিক কথাবাত্রা। ছুটিতে কোনদিন বাড়ি থাকলে সারা দিন এটা এনে দাও, ওটা এনে দাও, হয় এটা শেষ হয়ে গেছে, নাহয় ওটা শেষ হয়ে গেছে এই সব। এখন থেকেই পুরদস্তুর সংসার করতে শুরু করেছে বউদি আমার সঙ্গে। সারাক্ষন কেমন যেন একটা বউ বউ ভাব।
ছোটকার কথা শুনে ওর বন্ধুরা একসাথে হেসে উঠলো। ওদের কথা শুনে আমার গাটা রাগে রি রি করে উঠলো। মনে মনে ভাবলাম ছোটকা গুল দিতে ভালই শিখেছে দেখছি। এর পর ওরা মা কে ছেড়ে অন্য প্রসঙ্গে চলে যাওয়াতে আমি ওখান থেকে সরে পড়লাম।
এর মধ্যে একদিন সকালে স্কুলে পৌঁছতেই হটাত ছুটি ঘোষনা হয়ে গেল। আমাদের এক সহপাঠি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল সেই জন্য। আমার স্কুল আমাদের গ্রামের থেকে তিনটে স্টেশান মাত্র দুরে ছিল। তাড়াতাড়ি ফেরার ট্রেন পেয়ে যাওয়ায় দুপুর দুপুরই বাড়িতে ফিরে গেলাম। বাড়ির কাছে এসে দেখি বাড়ির সদর দরজা হাট করে খোলা। বোধহয় ছোটকা কলেজ যাবার পর মা বা ঠাকুমা দরজা দিতে ভুলে গেছে। বাড়িতে ঢুকে দেখি ঠাকুমা নিজের ঘরে ঘুমচ্ছে, ঠাকুমার ঘরের দরজাও খোলা। আমাদের ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখি দরজা ভেতর থেকে বন্ধ, কি মনে করে আমাদের ঘরের দরজায় ধাক্কা দিতে গিয়েও দিলাম না।
বুকের ভেতরে জোর ধুকপুক ধুকপুক শুরু হল, তাহলে কি ছোটকা কলেজ যায়নি বা আমার আগেই কলেজ থেকে ফিরে এসেছে। মা আর ছোটকা কি তাহলে দরজা বন্ধ করে ঘরের ভেতর ওসব আরাম্ভ করে দিয়েছে। দুরুদুরু বুকে দরজায় কান পাতলাম। না ভেতরে থেকে তো কোন শব্দ পাচ্ছিনা। মনে হচ্ছে মা ঘরে একাই আছে, বোধহয় ঘুমিয়ে পড়েছে। উঠনের জানলার দিকে এলাম, জানলাটা খোলা, পা টিপে টিপে জানলার ধারে এসে ঘরের ভেতর উকি দিলাম।
দেখি মা শুধু সায়া আর ব্লাউজ পরে এলোচুলে বিছানায় উবুর হয়ে শুয়ে একমনে কি যেন একটা ডাইরি মতন পড়ছে। মনে হচ্ছে সদ্য পুকুর থেকে চান করে এসেছে। কারন মার চুলটা একটু যেন ভিজে ভিজে রয়েছে বলে মনে হল। মা উপুর হয়ে বিছানায় বুক চেপে শুয়ে আছে আর ডাইরিটা মায়ের সামনে খোলা। মায়ের পা দুটো হাঁটু থেকে ভাঁজ হয়ে শুন্যে খাড়া। পা দুটো খাড়া থাকায় মায়ের সায়াটা মায়ের থাইয়ের কাছে এসে জড় হয়ে আছে। মা শুন্যে নিজের পা দুটোকে নিয়ে আসতে আসতে নারাচ্ছে আর একমনে ডাইরিটা দেখেছে। মায়ের দুপায়ের পুরুষ্টু ডিমদুটো নজরে পরলো। খুব সুন্দর লাগছে মাকে ওই ভঙ্গিতে। কি ডাইরি পড়ছেরে বাবা এতো মন দিয়ে, দরজা টরজা একবারে বন্ধ করে। আবার পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে ফিক করে হেসেও ফেলছে।
ভাল করে চেয়ে দেখি ওটা ডাইরি নয় ওটা একটা ছবির এ্যালবাম। ওরকম অনেকগুলো এ্যালবাম আমার ঠাকুমার কাছে আছে। কোন এ্যালবামে শুধু আমি মা আর বাবার ছবি, কোনটাতে মেজকাকা আর মেজকাকিমার ছবি, কোনটাতে আবার শুধু ঠাকুমা আর ঠাকুরদার ছবি। আমার মেজ কাকা খুব ভাল ছবি তুলতে পারতো। বেশিরভাগ ছবিই মেজকাকার ক্যামেরায় তোলা। দেখেতো মনে হল এটা ঠাকুমার কাছে থাকা অনেকগুলো এ্যালবামের একটা। মা দেখলাম এক একটা ছবি অনেকক্ষণ ধরে ধরে দেখছে। একটা ছবিতে তো দেখলাম চুক করে একটা চু মুও খেল। বুঝলাম ওটা আমার ছোটবেলাকার কোন একটা ছবি হবে। আমি মাকে আর ডাকলাম না চুপচাপ ছাতে উঠে গেলাম।
ছাতে উঠে সোজা একবারে ছাতের চিলেকোঠায়, যেটা কিনা আমার সবচেয়ে পছন্দের জায়গা। বেশ কিছুক্ষণ একটা মাসিক পত্রিকা পড়ার পর আবার নিচে নেবে এলাম। এবার দেখি মায়ের ঘরের দরজা খোলা। মা বিছানায় শুয়ে ঘুমচ্ছে। তবে পরনে এবার একটা শাড়ি। বিকেলে মা রান্না ঘরে ঢুকতেই আমি আমাদের আলমারিটা চাবি দিয়ে চুপি চুপি খুললাম। বেশ খানিক্ষন খোঁজার পর এ্যালবামটা চোখে পরলো, তবে একটা নয় দুটো, মায়ের একটা পাট করে রাখা শাড়ীর মধ্যে সযত্নে রাখা। এ্যালবাম দুটো হাতে নিয়েই মনে হল এটা ঠাকুমার কাছে থাকা এ্যালবামগুলোর মধ্যেকার দুটো। একটা এ্যালবামটা খুলতেই উ ত্তে জনায় আমার বুকটা ধকধক করে উঠলো। পুরো এ্যালবামটাই ছোটকার ছোটবেলাকার ছবিতে ভর্তি। বেশির ভাগ ছবিতেই ছোটকা নেং টো পোঁ দে এর ওর কোলে চেপে আছে।
কয়েকটা ছবি স্কুলের উঁচু ক্লাসের, আবার কয়েকটা খুব রিসেন্ট ছোটকা কলেজে ভর্তি হবার পরের। এ্যালবাম দুটো হাতে ধপ করে বিছানায় বসে পড়লাম আমি। মা তাহলে রোজ দুপুরে ঘুমনোর আগে লুকিয়ে লুকিয়ে ছোটকার ছবি দেখে। পরের এ্যালবামটা খুললাম। এটাতে কিন্তু শুধু আমি মা আর বাবার ছবি ভর্তি। এবার মনটা একটু আশ্বস্ত হল। মা হয়তো আমাদের ছবিগুলোই দেখছিল। এ্যালবামটা যথাস্থানে রেখে আলমারি চাবি বন্ধ করে দিলাম। মনটা কিন্তু খচখচ করতেই লাগলো। মা যে ছবিটায় চু মু খেল সেটা কার আমার, বাবার না ছোটকার?
এর কিছুদিন পর আবার একদিন রাতে ঠিক ওই আগের দিনের মত সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ বকুল মাস্টারের কাছে টিউশন সেরে বাড়ি ফিরছি, বাড়ির প্রায় কাছাকাছি এসে বাড়ির মুখেই ছোটকার বন্ধুদের জটলা দেখে দাঁড়িয়ে গেলাম। ভাবলাম দেখি মাকে নিয়ে আবার কিছু আলোচনা হয় নাকি ওদের মধ্যে। আমি ওদের থেকে একটু দুরে একটা বট গাছের আড়ালে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে ওদের কথা শোনার চেষ্টা করছিলাম। প্রায় আধঘণ্টা দাঁড়ানোর পর দিলুদা আবার মায়ের প্রসঙ্গ পারলো।
দিলুদা - বউদির খবর কিরে? তোদের প্রেম কত দূর?
ছোটকা - বউদির মাথায় সিদুর দেওয়া এখন আর শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
দিলুদা - সেকিরে, তাহলে নমিতা বউদি পুরো পটে গেছে কি বল?
ছোটকা মাথার চুলে আঙুল চালিয়ে সিনেমার হিরোর মত ভঙ্গি করে বললো,
ছোটকা - পটে গেছে কি বলছিসরে দিলু... প্রেম আমাদের একবারে জমে ক্ষী র, জানিস আগে তো আমাকে তুই তোকারি করতো আর এখন মুখে শুধু ‘ওগো’ আর ‘হ্যাঁগো’। নিজের ডবল বয়েসি মেয়েছেলে এভাবে পটানো কি চাটটিখানি কথা রে... ক্যালি লাগে ক্যালি...বুঝলি।
প্রবিরদা বলে ছোটকার একটা বন্ধু ছোটকার হিরোগিরি পছন্দ না করে বলে,
প্রবিরদা - ওসব ক্যালি ফ্যালি ছাড়, আসলে তোর বউদি বুঝতে পারছে তেজ দেখিয়ে লাভ নেই আর কিছু দিন পরেইতো তোর সামনে রোজ রাতে নং টো হতে হবে। তাই আস্তে আস্তে লজ্জা ফজ্জা ভেঙ্গে বউদি দেওরের পবিত্র সম্পর্ক থেকে বেরনোর চেষ্টা করছে।
প্রবিরদার কথাটা মনে ধরলো আমার ওসব প্রেম ফ্রেম, লাইন ফাইন, যতো সব ছোটকার বাজে আর বানানো কথা। পেটের ছেলের বয়সি দেওরের সাথে কেউ কখনো প্রেম করে?
এদিকে ছোটকাও ছাড়ার পাত্র নয়,
ছোটকা - ও তোদের একটা খবর তো দেওয়াই হয়নি। এক দিন বিয়ে ফিয়ে আর সে ক্স ফে ক্স নিয়ে খোলাখুলি অনেক কথা হল বউদির সাথে।
ওমনি ছোটকার বন্ধুরা হই হই করে ওঠে – সেকিরে, কবে হল এসব কথা? বলিসনি তো? তারমানে আমাদের কাছে চেপে যাচ্ছিলি? ছিঃ ছিঃ আমরা না তোর নং টো বেলাকার বন্ধু? কি কথা হল শিগগিরি বল?
ছোটকা - জানিস একদিন মা একটা বিয়ের নেমতন্ন খেতে যাবে বলে আমাকে একটা গিফটের শাড়ি কিনতে দিয়েছিল। আমি দেখলাম এই সুযোগ নমিতাকে একা পাবার। আমি ওমনি বুদ্ধি করে বললাম
- দেখ মা ওসব শাড়ি ফারি আমি ভাল চিনিনা, তুমি বউদি কে যদি আমার সঙ্গে দাওতো যাব, না হলে যাবনা। কি কিনতে কি কিনে নিয়ে আসবো, তোমার পছন্দ হবেনা, তুমি তখন চেঁচামচি করবে, আমাকে তখন আবার পালটাতে যেতে হবে।
মা তখন বউদি কে বললো,
- নমিতা তুমি কি পিকুর সাথে একবার যাবে? বউদি অমনি এক কথায় রাজি। সেজে গুজে আমাকে বললো,
- তোমার দাদার বাইকটা বের কর নাগো। নাহলে আবার রিক্সা করতে হবে। দাদার বাইকে করেই দাদার মা ল নিয়ে বেরলাম। নমিতা আমার কোমর জরিয়ে পিঠে মা ই ঠেকিয়ে বসলো, ঠিক যেমন দাদার সাথে বসতো। সুযোগ পেলেই ব্রেক মারছি আর পিঠে বউদির নরম নরম মা ই থপ থপ করে এসে লাগছে।
এই পর্যন্ত শুনেই ছোটকার বন্ধুরা হই হই করে উঠলো, পারলে যেন ছোটকাকে মাথায় তুলে নাচে। আমি মনে মনে ভাবলাম ছোটকা গুল দিতে দিতে এবার না ‘গুলবাজ দ্যা গ্রেট’ খেতাব পেয়ে যায়।
যাই হোক হইহল্লা থামতে ছোটকা আবার শুরু করলো,
- দোকানে নিয়ে গিয়ে শাড়ি কেনার পর একটু ফুচকা খাওয়ালাম ওকে।
ফুচকা খেয়ে বউদি কি খুশি, বলে
- তোমার দাদা বেঁচে থাকতে খাওতো, অনেক দিন পর তুমি আজ খাওয়ালে। তারপর একটু জুবিলি পার্কে নিয়ে গিয়ে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসলাম। জুবিলি পার্ক কিরকম তাতো জানিস তোরা, বিকেলে সব জোড়ায় জোড়ায় বসে। একটু অন্ধকার হতেই দেখি চারপাশে চুক চাক কি স ফি স চলছে, মা ই টা ইতেও অনেকে হাত দিচ্ছে দেখলাম। প্রথমে ভাবলাম বউদি কে এই সুযোগে একবার কি স করি, কিন্তু পরে ভাবলাম থাকগে খেপে টেপে যেতে পারে। শেষে বউদির একটা হাত সাহস করে নিজের হাতে নিয়ে বসলাম। দেখি বউদি কিছু বললো না, হাতও সরালো না। কিছুক্ষণ গল্প করার পর মনে আরো একটু সাহস এল, একবার আদর করার ছলে বউদির গালটা টিপে দিলাম, বউদি লজ্জা পেয়ে আমার হাত সরিয়ে বললো,
- ধ্যাত অসভ্য কোথাকার। আমি বললাম - আমি অসভ্য, দেখ চারপাসে কি চলছে? নমিতা বললো – সত্যি এ কোথায় আমাকে নিয়ে এলে গো...ই স চারপাশে সবাই কিরকম নং রা মি করছে। মনে মনে বললাম বিয়েটা একবার হতে দাওনা তারপর রোজ রাতে লাইট নিবিয়ে তোমার সাথে এর থেকে কত নং রা মি করবো দেখবে।
#চলবে
পরবর্তী পর্ব পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন।
____ প্রতিদিন রাত ৮ টাই গল্প দেওয়া হবে।
ধন্যবাদ
#গল্পঃ মায়ের প্রেম বিবাহ
#পর্বঃ ৫
বিয়েটা একবার হতে দাওনা তারপর রোজ রাতে লাইট নিবিয়ে তোমার সাথে এর থেকে কত নং রা মি করবো দেখবে। ছোটকার বন্ধুরা আবার হই হই করে উঠলো, বললো - গুরু কি দিচ্ছিস তুই।
দিলুদা সবাই কে থামিয়ে বললো
দিলুদা - কি গল্প করলি সেটা আগে বল।
ছোটকা - স্মার্ট ভাব করে বলে - অনেকক্ষণ মিষ্টি মিষ্টি কথার পর অবশেষে সে ক্সে র প্রসঙ্গ এল। আমি খোলাখুলি জিগ্যেস করলাম - বউদি তোমার মা সিক টা সিক ঠিক মত হচ্ছে তো।
দিলুদা হ্যাংলার মত জিগ্যেস করলো,
দিলুদা - নমিতা বউদি কি বললো?
ছোটকা - বউদি প্রথমে খুব লজ্জা পেয়ে গেল মা সিকের কথা শুনে। বলে - ছিঃ এসব কথা কি কেউ কাউকে জিগ্যেস করে না বলে, আমি কিন্তু এখনো তোমার গুরুজন আছি...বুঝলে। আমি বললাম - দেখ বউদি তোমাকে এখানে নিয়ে এলাম তোমার সাথে একটু খোলা খুলি কথা বলবো বলে, বাড়িতে তো আর সব কথা খোলা খুলি বলা যায়না। আমরা এখানে যা আলোচনা করছি তা কি আর কেউ জানতে পারবে? তুমি শুধু শুধু লজ্জ্যা পাচ্ছ কেন? এসব বলাতে বউদির লজ্জা বোধহয় একটু ভাঙলো।
দিলুদা উ ত্তে জিত হয়ে ওঠে বললো,
দিলুদা - বউদি কি বললো সেটা বলবিতো?
ছোটকা দিলুদাকে নিশ্চিন্ত করার ঢঙে বলে - নমিতাতো বললো মা সিক টা সিক নিয়ম মেনে ভাল মতই হয়।
অরুপদা - অমন করে খোলা খুলি মা সিকের কথা জিগ্যেস করতে পারলি নিজের বউদিকে?
ছোটকা - এতে, লজ্জ্যার কি আছে? আর ক মাস পরেইতো ওকে বউদি থেকে আমার বউ বানাবো। তাছাড়া আমি খোলা খুলি বউদিকে বলে দিয়েছি - দেখ এসব জিগ্যেস করছি কারন বাচ্ছা টাচ্ছা নেবার ব্যাপারও তো আসবে একসময়।
অরুপদা - তোর বউদি কি বললো বাচ্ছার কথা শুনে?
ছোটকা - বউদি বললো - ও আচ্ছা তুমি আমার সাথে বাচ্ছা করবে বলে মা সিকের কথা জিজ্ঞেস করছিলে? ওসব নিয়ে তোমার কোন চিন্তা করতে হবে না, বিয়ের পর একটা বাচ্ছা যে ভাবেই হোক আমি তোমার জন্য করে দেব।
অরুপদা চিৎকার করে উঠে বলে,
অরুপদা - উ ফ আর পারিনা..... ভগবান আমাকে তুলে নাও।
দিলুদা - অরুপ থাম, আগে ভাল করে সব শুনতে দে।
ছোটকা - হাসি হাসি মুখে গর্ব করে বলে - বউদি কি বললো জানিস? বললো তোমার দাদাকে যখন বাচ্ছা বার করতে দিয়েছি, তখন তোমাকে বার করার সুযোগ না দিলে তুমি কি আর আমাকে ছেড়ে দেবে? বলবে বউদি আমাকে ঠকালো। তবে ওই একটাই বার কোর, এই বয়েসে আমাকে দিয়ে আর কিন্তু একটার বেশি বার করিওনা। আমার শরীর এখন আর একটার বেশি দুটো বাচ্ছা করার ধকল নিতে পারবেনা। আর একটা কথা, ছেলে বা মেয়ে যা বেরবে তাই কিন্তু তোমাকে মেনে নিতে হবে। আমি বললাম - বউদি আমার ওসব কোন ব্যাপার ট্যাপার নেই, ছেলে বা মেয়ে তুমি যা আমাকে ভালবেসে তোমার পেট থেকে বের করে দেবে...নেব।
দিলুদা ইয়ার্কি করে বলে - হ্যাঁ একটা কিছু না হলে বউদির বু কে দু ধ আসবে কি করে? মানে আমাদের পিকু নমিতার বু কের দু ধ খাবে কি করে?
দিলুদার কথা শুনে সবাই একসঙ্গে আবার চিৎকার করে উঠলো – ইয়ায়ায়ায়ায়ায়া করে, আর অরুপদা তো আনন্দে প্রায় ধেই ধেই করে নাচতে শুরু করলো।
প্রবিরদা - নমিতা বউদি ঠিকই বুঝেছে পিকু আসলে বু কের দু ধ খাবে বলেই বাচ্ছা বাচ্ছা করছে।
দিলুদা হেসে বলে - এই তোরা আমাদের অরুপকে দেখ, বু কের দু ধের কথা শুনেই কেমন ধেই ধেই করে নাচতে শুরু করে দিয়েছে। ওর যখন নিজের বাচ্ছা হবে তখন বেচারা কিছু খেতে পেলে হয়,? দেখা যাবে বাচ্ছার বাবাই বাচ্ছার মায়ের সব দু ধ খেয়ে নিচ্ছে। আবার একচোট হি হি করে হাসি।
তারপর দিলুদা - পিকু আর কি কি কথা হল বল?
ছোটকা - আরো অনেক কিছু জিগ্যেস করলাম। যেমন বউদির সে ক্স ফে ক্স ঠিক মত ওঠে কিনা? বউদি তো বললো –আমার সে ক্স টে কসের ইচ্ছে এখনো বেশ ভাল মতই আছে। তুমি যতক্ষণ দিতে পারবা, আমি ততোক্ষণই নিতে পারবো। তোমার দাদাকেও বিছানায় খুশি করতাম আশা করি বিয়ের পর তোমাকেও বিছানায় খুশি করতে পারবো। সে ক্সর টে কসের ইচ্ছে মরে গেলে কি আর এই বয়সে তোমার সাথে বিয়েতে রাজি হতাম বল? শুধু শুধু তোমার সর্বনাশ করে আমার লাভ কি? তোমার মা আর মোক্ষদা মিলে যখন আমাকে বিয়ে বিয়ে করে ধরলো, তখন আমি ভেবে দেখলাম ভগবান যখন এখনো আমার শরীরে ওসব ইচ্ছে টিচ্ছে গুলো জিইয়ে রেখেছেন তখন নিশ্চয়ই সব বুঝেই রেখেছেন। তারপরেই তো আমি রাজি হয়েছি। ভালোবাসা না থাকলে এমনি এমনি তুমি আমায় ভো গ করে বেশিদিন আনন্দ পাবেনা। মনের টান না থাকলে শুধু শরীরের টানে আমাকে বিয়ে করে তোমার কোন লাভ নেই। কারন আমার সে ক্স তো আর চিরকাল থাকবেনা, হয়তো আর বছর পনের। মনের টান না থাকলে এই অসমবয়সী সম্পর্ক কিছুতেই টিকবেনা।
প্রবিরদা - পিকু এটা কিন্তু ভাববার কথা। তোর বয়স যখন তোর বউদির মত হবে তখন কিন্তু তোর বউদির সব শুকিয়ে যাবে, আর তোকে ঢো কাতে দিতে পারবেনা। তুই জোর করে ঢো কাতে গেলে ব্যাথা পাবে।
ছোটকা - মুচকি হেসে, সামনে দিয়ে ঢো কাতে না দিতে পারলে ওর পোঁ দ দিয়ে ঢোকাবো। ওর ভেতর রোজ একবার করে ঢো কাতে না পারলে আমি মরে যাব। ছোটকার বন্ধুরা সব্বাই মিলে হি হি করে হাঁসতে থাকে ছোটকার কথা শুনে। প্রবিরদা ওদের সবাইকে অনেক কষ্টে থামিয়ে বলে,
প্রবিরদা- পিকু তুই বুঝতে পারছিসনা, ওরকম রোজ রোজ করা যায় নাকি, ওটা কে মেয়েদের স্বাভাবিক মি লনের জায়গা? একটু ভেবে দেখ, বয়েস হলে তোর সে ক্স লাইফ কিন্তু একবারে ডাল হয়ে যাবে আমি বলে দিচ্ছি।
ছোটকা নির্লজ্জ্যের মত বলে,
ছোটকা - সে তখন যা হয় হবে দেখা যাবে। আগে তো অন্তত বছর দশেক বউদিটাকে প্রান ভরে চু দে নি? আমি অবশ্য আগেই ভেবে রেখেছি.. বউদির গু দ শুকিয়ে গেলে কি করবো? সপ্তাহে দু দিন বউদিকে পোঁ দ দিয়ে দেব, মানে বউদির সাথে অ্যা না ল করবো.. .দু দিন ওকে দিয়ে আমার ধ ন চোষবো, আর দু দিন ওকে বলবো খিঁ চে খিঁ চে আমার মাল বার করে দাও, মানে যাকে ইংরাজিতে বলে হ্যান্ড জব।
ছোটকার কথা শুনে আবার সবাই খি খি করে হাঁসতে হাঁসতে এর ওর গায়ে ঢলে পরতে শুরু করে। প্রবিরদা কিন্তু ছোটকাকে বোঝাবার আপ্রান চেষ্টা করছিল,
প্রবিরদা - আমার কথা শোন পিকু, তোর ভালোর জন্যই বলছি, ব্যাপারটা একবার ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখ, বিয়েটা কিন্তু ছেলেমানুষী নয়। ছেলেদের কিন্তু পঞ্চাশ পঞ্চান্ন বছর পর্যন্ত সে ক্স থাকে। তোর যখন পঞ্চাশ পঞ্চান্ন বছর বয়স হবে তোর বউদি কিন্তু তখন থুড় থুড়ি বুড়ি, সেটা ভেবেছিস?
ছোটকা - ও তুই ভাবিস না প্রবির, সেরকম হলে ঘরের বউ ঘরে থাকবে আর বাইরের বউ বাইরে। সবাই আবার একসঙ্গে হেসে ওঠে ছোটকার কথা শুনে।
প্রবিরদা বিরক্ত হয়ে বলে,
প্রবিরদা - দেখ তোর জীবন, তুই যা ভাল বুঝিস কর, কিন্তু আমার পরামর্শ হল একটু ভেবে কর।
ছোটকা - দেখ প্রবির তোকে একটা সত্যি কথা বলি, যবে থেকে আমি সে ক্স কি বুঝতে পেরেছি, মানে আমার ধ ন দাঁড়াতে শিখেছে, তবে থেকে আমি বউদির কথা মনে করে খিঁচি। কত রাত যে বউদির কথা মনে করে করে হাত মে রে প্যান্ট ভিজিয়েছি তা শুধু আমিই জানি। কিন্তু আমি দাদাকে ভীষণ ভালবাসতাম তাই কোন দিন বউদির কাছে আসার চেষ্টা করিনি। এখন দাদাও নেই। ওপরওলা যখন বউদিকে নিজের করে পাবার এমন সুযোগ করে দিয়েছেন তখন আর ওকে ছাড়ছি না। নমিতাকে আমি আমার বিছানায় তুলবোই তুলবো। শুধু এক দু রাত নয়... সারা জীবন ধরে ওকে ভো গ করতে চাই আমি, তাতে যা হয় হোক।
প্রবিরদা - তাই বলে নিজের মায়ের বয়সি মহিলাকে এই ভাবে বিয়ে.. পিকু আমার কথা শোন...
ছোটকা প্রবিরদা কে চুপ করিয়ে দিয়ে বলে,
ছোটকা - দেখ প্রবির, নিজের থেকে বয়েসে অনেক বড় কোন মহিলাকে বিয়ে করা আমার অনেক দিনের স্বপ্ন। আমি সেই ছোটবেলা থেকেই এমন বউএর স্বপ্ন দেখতাম যে আমাকে গুরুজনেদের মত করে সারাদিন আগলে রাখবে, ভুলভ্রান্তি করলে বকাবকি করবে, এমনকি রেগে গেলে আমার গায়ে হাতও দেবে, আবার রাতে আমার সাথে নি র্লজ্জ্য ভাবে নং টো হয়ে সে ক্সও করবে। বউদি কে বিয়ে করলে আমার সেই স্বপ্ন কিছুটা পূর্ণ হবে। আর তাই বোধ হয় বউদিকে ছোটবেলা থেকেই মনে মনে কামনা করতাম আমি।
প্রবিরদা - কি জানি এটা কি করে একজনের কাছে এত ই'রোটিক মনে হতে পারে?
ছোটকা - ই'রোটিক নয় বলছিস? তুই ভাব যে বউদির কোলে চেপে আমি ঘুরে বেরিয়েছি, যে বউদির কোলে পে চ্ছাপ কোরে দিয়েছি, যে বউদি আমাকে খাইয়ে দিয়েছে, হি সু করিয়ে ধ ন ধুয়ে দিয়েছে, সেই বউদি বিয়ের পর রাতে আমার সাথে উ ল ঙ্গ হয়ে সে ক্স করবে, আমার বাচ্ছা পেটে নেবে, আমার ধ ন মুখে নিয়ে চু ষে খাবে। কি দারুন ব্যাপার হবে ভাব তোরা। আমারতো তো বিয়ের সময় বউদির সাথে শুভদৃষ্টি করছি, বা ফুল শ'য্যার রাতে বউদির সায়ার দড়ি খুলছি এসব ভাবলেই মাল পরে যায়।
দিলুদা এবার বলে ওঠে,
দিলুদা - পিকু প্রবিরের কথা ছাড়, তোর যে কালার তুই কোনদিনই নমিতা বৌদির মতো মেয়ে বিয়ে করতে পারবি না। এখন কার মেয়েরা কালো ছেলে পছন্দ করে না। তুই যখন সুযোগ পাইছিস নমিতার মতো মা ল হাত ছাড়া করিস না।
ছোটকা - হুম, এই জন্য তো বৌদিকে চোখে চোখে রাখি। যাতে ফাঁকি দিতে না পারে।
দিলুদা - নমিতাকে তারপর আর কি বললি বল?
ছোটকা - তখন আমি বললাম “দেখ বউদি, মা যবে থেকে আমাদের বিয়ের কথা পারলো তবে থেকেই তোমার কথা ভেবে ভেবে রাতে আমার ঘুম নেই। আর দিনেতো তোমাকে চোখের সামনে না পেলে বুকের ভেতরটা এমন উচাটন করে যে কি বলবো? তুমি চোখের সামনে এলে তবে মনে শান্তি ফেরে। তুমি এই বিয়েতে রাজি না হলে আমার মন একবারে ভেঙ্গে যেত বউদি, আর আমি এবারের পরীক্ষাতেও নির্ঘাত ফেল করে যাব।
বউদি আমার কথা শুনে মনে মনে একটু আশ্বস্ত হল, বললো - হ্যাঁ আমাকে যদি তোমার দাদার মত ভালবাসা দিতে পার তবেই আমায় ভো গ করে তোমার দাদার মত আনন্দ পাবে। তোমার দাদার মতো ভালোবাসা পাইলে, যখন যেখানে চাইবা তখন সেখানে সেভাবেই পাইবা। আমি বললাম – আর একটা কথা বউদি, তুমি আমার কাছে অত লজ্জ্যা পাও কেন বলতো? জানি ছোটবেলায় তুমি আমাকে আর টুকুনকে একসঙ্গে চান করিয়ে দিতে, ভাত খাইয়ে দিতে, এসব আমারো মনে আছে। বিয়ের পর কিন্তু অত লজ্জ্যা টজ্জা পেলে আর হবেনা।
বউদি বলে –দেখ তুমি প্রায় আমার ছেলের বয়সি। সকলের সামনে আমার দিকে সবসময় ওরকম হা করে তাকিয়ে থাকলে আমার লজ্জ্যা করেনা বল? এমনিতেই টুকুনের সামনে কি করে তোমার সাথে সেজে গুজে বিয়ের পিড়িতে বসবো এই ভেবে ভেবে রাতে লজ্জ্যায় আমার ঘুম আসেনা। তুমিই বল বিয়ের পর কি করেই বা টুকুনের সামনে দিয়ে তোমাকে নিয়ে রোজ রাতে শোবার ঘরের দরজা বন্ধ করবো আমি? লজ্জ্যা লাগেবেনা বল যখন ওর সামনে তোমার বাচ্ছা আমার পেটে আসবে? কি করেইবা ওর সামনে তোমার বাচ্ছাকে বু কের দু ধ খাওয়াতে বসবো আমি? তাছাড়া ও আমাকে রাতে রোজ জড়িয়ে ধরে ঘুমোয়, বিয়ের পর কি করে যে ওকে বলবো তুই অন্য ঘরে ঘুমো? ও তো মনে মনে ঠিকই বুঝবে যে এবার থেকে রাতে তোমাকে নিয়ে শোব বলেই আমি ওকে অন্য ঘরে যেতে বলছি। ও কি আর বাচ্ছা ছেলে আছে বল? বিয়ের পর তোমার সাথে আমার রাতে বিছানায় কি হবে সে তো ও ভালই বোঝে, ছেলের কাছে মায়েদের সে ক্স লাইফ নিয়ে যে কি লজ্জ্যা তা তুমি বুঝবে না। তার ওপরে তুমি সারাদিন ওইরকম আদেখলামো কর। কি দরকার আছে ওরকম হা করে সবসময় আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকার, বিয়েতে যখন রাজি হয়েছি তখন তোমার কাছে পুরোপুরি ধরা দেব বলেই তো রাজি হয়েছি। একটু অপেক্ষা করনা একে একে তো সব কিছুই পাবে।
আমি বলি – কি করবো বল বউদি? রোজ একটু করে তোমার চোখে চোখ রাখতে না পারলে আমার যে বুকে কষ্ট শুরু হয়। আচ্ছা বউদি বিয়ের পর আর আমার কাছে অত লজ্জ্যা টজ্জ্যা পাবেনা তো? বউদি বলে তুমি আমার থেকে বয়েসে কত ছোট তাতো জান, বিয়ের পর আমি যখন তোমাদের বাড়িতে এলাম তখন তুমি আমার কোলে চেপে ঘুরতে, কত বার আমার কোলে পে চ্ছাপ করে দিয়েছ তা তুমি জান? লজ্জ্যা টজ্জ্যা তো প্রথমে থাকবেই, সে আমি যতই তোমাকে না বলি, তবে দুই তিন বার পেডো পানি পড়ে গেলে তখন সব লজ্জ্যা ভেঙ্গে যাবে।
#,চলবে
___ প্রতিদিন রাত ৮ টাই পরবর্তী পর্ব পাবেন।
লাইক কমেন্ট করে সবাই উৎসাহ দেন।
ধন্যবাদ

