#গল্পঃ সুখ নাকি ধর্ম
#পর্বঃ ১১
আমি মার কথা বুঝতে পেরেও না বুঝার ভাব নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
- মুখে কি দিছিন! এইটার কি নাম নাই?
মা তখন মুচকি হেসে বলল,
- মা ল
আমিও তখন মুচকি হেসে বললাম,
- না, মা ল খাইলে কোন সমস্যা হয়তো না। বাচ্চা কাচ্চাও হয়তো না।
মা তখন বলল,
- তাহলে ঠিক আছে।
আমি আবার কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
- মা ল খাইতে কেমন লাগে?
মা সাথে সাথেই উত্তর দিল,
- আমি কি খাইছি নাকি যে বলতাম কেমন লাগে।
বলেই মা উঠে চলে যেতে লাগলো তখন আমি বললাম,
- আরে মা শুনো কি বলি?
মা তখন আবার এসে বিছানায় বসলো। তাই দেখে জিজ্ঞেস করলাম,
- মা, কার এইটা বেশি বড়? কার সাথে বেশি মজা করতে।
আমার কথা শুনে মা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল,
- কবিরের টা বেশি বড় আর মোটা। তোর বাবার সাথে বিয়ের পরে প্রথমে অনেক মজা পেতাম কিন্তু তুই হওয়ার পরে আর মজা পাইনি, তবে এখন কবিরের কাছে আসল মজা পাইতেছি। উ ফ যেমন মোটা তেমন বড়। একদম আমার বাচ্চাদানি পর্যন্ত চলে যায়।
মার কথা শুনে আমি মুচকি হাসি দিলাম তখন মা আবার বলতে শুরু করলো,
- তোরে অনেক ধন্যবাদ বাবা, আমাকে আর কবিরকে এক করে দেওয়ার জন্য।
বলেই মা আমার কপালে একটা চুমু দিল। তখন আমি বললাম,
- তোমাদের দুজনকে একত্রে দেখলে আমার ভালো লাগে, তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে তোমাদের দুজনের করা করি দেখলে।
আমার কথা শুনে মা অনেক লজ্জা পেল। তবুও মুচকি হেসে বলল,
- মাকে কাপড় ছাড়া দেখতে ভালো লাগে! অসভ্য একটা।
আমি মার কথা শুনে বললাম,
- কাপড় ছাড়া না, তোমাকে সুখ পেতে দেখতে অনেক ভালো লাগে।
মা বলল,
- তাহলে তোর যখন মন চাই তখনি দেখতে যাইস। আমি জানালা খোলা রাখবো তোর জন্য।
মার কথা শুনে অনেক খুশি হয়ে গেলাম আর বললাম,
- সত্যিই মা তুমি অনেক ভালো আর অনেক সুন্দরী।
মা মুচকি হেসে জিজ্ঞেস করলো,
- আমি সুন্দরী এটা তো আগে কোনদিন বলিস নি! আজকে হঠাৎ কেনো!?
আমি মুচকি হেসে বললাম,
- আগে তো কোনদিন কাপড় ছাড়া দেখিনি তাই বলিনি।
মা সাথে সাথেই বলল,
- যা অসভ্য! কি এমন সুন্দর আছে?
বলেই আমাকে আলতো করে একটা চড় দিল। আমি আবার বললাম,
- সবচেয়ে বেশি সুন্দর তোমার ঐটা
বলেই আমি চুপ করে গেলাম। ভাবলাম মা হয়তো রাগ করবে। আমার চুপ করে থাকা দেখে মা বলল,
- ঐটা কোনটা?
আমি তখন মুচকি হেসে বললাম,
- তোমার নিচের গিরিখাত টা, একদম বিদেশিদের মতো গোলাপি গোলাপি।
মা আমার কথা বুঝতে পেরে লজ্জায় উঠে চলে গেল ঔষধ নিয়ে। আর যেতে যেতে বলে গেল,
- তোর নতুন বাবার সাথে দেখা কর গিয়ে, তোরে খোঁজতেছে বোধহয়।
মা চলে যাওয়ার পরেই আমি রুমে থেকে বের হয়ে কবির মির্জাকে খুঁজতে খুঁজতে ছাদে তার রুমে চলে গেলাম। কবির মির্জা রেডি হয়ে আমার জন্যই অপেক্ষা করছিল। তারপরে কবির মির্জাকে নিয়ে গিয়ে একটা FZ বাইক কিনলাম মার দেহের বিনিময়ে। বাইক নিয়ে ফিরার পথে কবির মির্জা আমার পিছনেই বাইকে বসে ছিল। তখন আমি কবির মির্জাকে বললাম,
- বাবা, চলো আমরা কোথাও ফ্যামিলি টুর দেই?
কবির মির্জা বলল,
- আচ্ছা ঠিক আছে, তুমি প্ল্যান করো, কবে কোথায় যেতে চাও। এই সুযোগে আমি আর তোমার মা হানিমুন টাও করে ফেলবো নে।
আমি তখন আবার বললাম,
- ফ্যামিলি টুর মানে বুঝতো? সব সময় কিন্তু আমরা একত্রে থাকতে হবে।
কবির মির্জা বলল,
- হুম, আচ্ছা একত্রেই থাকবো।
আমি মুচকি হেসে বললাম,
- বাবা, একত্রে থাকলে হানিমুন কেমনে করবা?
কবির মির্জা আমার পিঠে আলতো চড় দিয়ে বলল,
- তোমার সামনেই হানিমুন করবো!
আমি তখন বললাম,
- তাহলে তো টুর টা অনেক মজার হবে।
কবির মির্জা বলে,
- হুম, অনেক মজা হবে। সারারাত তোমার মায়ের কান্না শুনতে পারবা।
আমি কিছুটা মন খারাপ করে বললাম,
- শুরু কি শুনতে পাবো! দেখতে পাবো না?
কবির মির্জা হাসতে হাসতে বলল,
- অবশ্যই দেখতে পাবা।
আমি তখন বললাম,
- তাহলে চলো বাবা আমরা কালকে বের হয়। কালকে আমার অফিস বন্ধ, পরে শুক্রবার আর শনিবার তো এমনেই বন্ধ।
কবির মির্জা বলল,
- আচ্ছা ঠিক আছে, কালকেই যাব।
আমি আর কবির মির্জা কথা বলতে বলতে বাসার কাছে চলে এলাম। কবির মির্জাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আমি বাইক নিয়ে বেরিয়ে গেলাম পূজার সাথে দেখা করতে। রেস্টুরেন্টে গিয়ে পূজাকে কিস আর কয়েকবার দু ধ টিপে দিয়ে ডিনার শেষ করে দুজনে বের হলাম।
পূজাকে তার বাসার কাছে নামিয়ে দিয়ে আমি বাসায় আসতে আসতে রাত তখন ৯ টা বাজে। বাসার মাঝে বাইক তুলার সময় বাইকের শব্দ শুনে মা তার রুম থেকে বের হয়ে আসলো। মা বের হয়ে আসতেই মাকে দেখে তো আমি অবাক হয়ে গেলাম কারণ মার পরনে ছিল তখন শুধু একটা পেটিকোট।
#চলবে

