#গল্পঃ দিদির ভালোবাসা
#পর্বঃ ১৬
দুজনেই পটাপট নিজের জিন্সের বোতাম খুলে জিন্স আর আন্ডারপ্যান্ট নামিয়ে দিলাম হাঁটু অব্দি!দিদি পিছন ঘুরে কমড এর উপরে জলের পাইপ ধরে পা ফাঁক করে দাঁড়ালো! আমি পিছন থেকে এক ধাক্কায় গোটা বাঁড়াটা ঢুকিয়ে দিলাম ওর গুদে!ছোট যায়গা! দুজনে ঠিক করে দাঁড়াতেই পারছিলাম না! কোনও রকমে কোমর আগু পিছু করে চুদতে লাগলাম!
দিদি- ওহ ফাক!! ওহ গড!! আহহহহহ!!
আমি- আওয়াজ করিস না!
দিদি- জানি কিন্তু কন্ট্রোল হচ্ছে না!
আমি ওর কোমরটা এক হাতে জড়িয়ে ধরলাম ,আর একটা হাত দিয়ে চেপে ধরলাম ওর মুখটা যাতে আওয়াজ বাইরে না যায়!দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চুদতে লাগলাম ডগিতে!ও আমার হাত কামড়ে ধরেছিল শীৎকার আটকাতে! আমার হাত জলছিল কিন্তু সেদিকে পরোয়া করার মত অবস্থায় ছিলাম না!
৫-৭ মিনিট এভাবে চুদেছি হঠাৎ ও আমার হাতটা ভীষণভাবে কামড়ে ধরে উমম উমম উমম করে ঘন ঘন গোঙাতে লাগলো! গুদের ভিতর ভীষণভাবে কামড়ে ধরল আমার বাঁড়াটা!! জল খসালো ও! নিস্তেজ হয়ে পরল খানিকট্তা…আমি বাঁড়াটা বের করে নিতে যাচ্ছিলাম…
দিদি- দিয়ে দে ভেতরে…আমি নিতে পারব! তোরও তো হয়ে এসছে…
মিনিট দুয়েক থাপিয়ে গুদ ভাসিয়ে দিলাম দিদির…
দুজনেই ভীষণ ঘেমে গিয়েছিলাম। কোনও রকমে প্যান্ট ঠিক করলাম নিজেদের। দিদি আগে বেরিয়ে সবদিকে দেখে গ্রিন সিগন্যাল দিল, আমি বেরিয়ে এলাম চট করে! আর মুভি থিয়েটারে ফিরে গেলাম না, যে কাজের জন্য টিকিট কেটেছিলাম তার ১০ গুন ওভারডোজ হয়ে গিয়েছে!
গাড়িতে ফিরে এলাম দুজনে…মিনিট দুয়েক পুরো নিস্তব্ধতা, দুজনের কেউ জানেনা কি বলবে…
দুজনে দুজনের দিকে তাকিয়ে রইলাম। আমি কিছু একটা বলতে গেলাম কিন্তু দিদি আমায় থামিয়ে আমার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো। না, সকালের মত উন্মত্ত যৌনতাভরা চুম্বন হলনা এটা…পরস্পরের ঠোঁটে ঠোঁট ছুইয়ে অনেকক্ষণ রইলাম দুজনে…দিদি ঠোঁট তুলল আস্তে আস্তে, ওর চোখের চাউনিটা তখন কামের নয়, ভালবাসার!
সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে আমরা কাছে একটা রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করলাম।সারাদিনের প্রচণ্ড উদ্দাম যৌনতার ফলে দুজনেরই শরীরে শক্তি প্রায় ছিলনা, ভালো খাওয়াদাওয়ার পর সেটা অনেকটা ফিরে পেলাম। লাঞ্চ সেরে বেরলাম যখন প্রায় ৩টে বাজে ।
দিদি- নেক্সট প্ল্যান কি এবার?
আমি – আমার গার্লফ্রেন্ড কোথায় যেতে চায়?
দিদি- সে কিছু জানেনা।আজ তুই যেখানে নিয়ে যাবি সেখানেই সে চলে যাবে তোর হাত ধরে…
আমি- রগরগে সেক্স তো হল, এবার কি একটু দুষ্টু মিষ্টি প্রেম চলতে পারে?
দিদি-একদম…কোথায় যাব তবে?
আমি-কলকাতায় কাপেল দের ফাইনাল ডেসটিনেশন…
দিদি- সেটা আবার কোথায়?
আমি –চল না দেখতেই পাবি…বরের সাথে নিশ্চয়ই গেছিস , একবার আমার সাথে চল…
৩.৩০ নাগাদ নেক্সট লোকেশানে পৌঁছলাম। পাথক/পাঠিকা যারা কলকাতায় প্রেম করেছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন জায়গাটi…ঠিকই ধরেছেন…প্রিন্সেপ ঘাট…কলকাতায় থেকে এখানে প্রেম করেননি এরম বোধহয় একটিও প্রেমিক যুগল খুঁজে পাওয়া যাবে নঠে
রাস্তার উল্টো দিকে গাড়ি পার্ক করে দুজনে হাত ধরে রেললাইন পেরিয়ে পার্কে ঢুকলাম। বিকেলের রোদ তখনও পড়েনি…একটু ছায়া আর নিরিবিলি দেখে একটা বেঞ্চ খুঁজে নিয়ে বসলাম দুজনে…গঙ্গার ঠাণ্ডা হাওয়ায় মন জুরিয়ে যাচ্ছিল। নদীর উপর এদিক ওদিক বেশ কয়েকটা নৌকোয় কপোতকপোতিরা ভেসে বেড়াচ্ছে গঙ্গার বুকে
দিদি- আমার মনেই হচ্ছিল তুই এখানে নিয়ে আসবি…
আমি-এসেছিস তো আগে নিশ্চয়ই…
দিদি- হ্যাঁ এসেছি গতবছর একবার কিন্তু পুরো এক্সপিরিএন্সটা নেওয়া হয়নি…
আমি- কি বাকি ছিল?
দিদি- ওর অফিস থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যে বেলা এসছিলাম, নৌকোয় করে ঘোরা হয়নি…
আমি- জামাইবাবুকে থ্যাংকস, আগের বার তোকে দেরি করে নিয়ে আসার জন্য। আমার সাথেই তুই প্রথম বার এক্সপিরিএন্স করবি…
দিদি-তুই আগে নৌকোয় চেপেছিস কারও সাথে?
আমি – না রে আমারও প্রথম বার…আমি খুব লাকি যে আমিও প্রথম বার তোর সাথে নৌকোয় উঠবো…
দিদি- একটু দাঁড়িয়ে যা, রোদটা একটু কমুক…
জামাইবাবুর ফোন এলো…
দিদি- হ্যালো…এই একটু বেরিয়েছি ভাইয়ের সাথে…না সামনেই মার্কেটে ঘুরছি একটু, সেরকম কোথাও যাইনি…তোমার ডিলটা কমপ্লিট হল?…বাহহ…এখন কি করছ?…ঠিক আছে বাই…
দিদি ফোন কেটে দিল…
আমি- মিথ্যে বললি ? যদি বলতি আমার সাথে এখানে এসছিস কিছু সন্দেহ করত?
দিদি- জানিনা, হয়ত করত না, তাও লজ্জা লাগলো বোলতে…নিজের গোপন প্রেমের কথা কি স্বামীকে বলা যায়…
আমি- তাহলে প্রেম করছি আমরা সেটা মেনে নিচ্ছিস?
দিদি- এই দুদিন তো করছি ডেফিনিটলি…
আমি- আর তারপর? তোর বর ফিরে এলে কি হবে?
দিদি- জানিনা রে, ভাবতে চাইনা আমি এখন সেটতা…এখন শুধু প্রাণ ভরে এঞ্জয় করব আজ আর কাল তোর সাথে…তার পরেরটা পরে ভাবা যাবে…
আমি- আমরা ভীষণ ক্লোজ হয়ে গেছি রে এই কটা দিনে…আমি জানিনা আমি কিকরে তোকে ছাড়া থাকবো এসব হয়ে গেলে… তবে তোকে জোর করব না, তুই যা বলবি সেটাই হবে…
দিদি কিছু না বলে আমার কাঁধে মাথা রাখলো…আমি ওর হাত শক্ত করে ধরে বসে রইলাম কিছুকখন…আস্তে আস্তে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে এসছে…ঘাটে গিয়ে নৌকো ভাড়া করলাম, ৫০০ টাকায় এক ঘণ্টা ঘোরাবে…দুজনে নৌকোয় উঠে বসলাম…নৌকো ভেসে চলল আমাদের নিয়ে গঙ্গার বুকে, আমরা দুজনে হাত ধরে বসেছিলাম একে অপরের চোখে চোখ রেখে…দুজনকেই লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে দিয়েছিল।
দ্বিতীয় হুগলী সেতুর নীচ দিয়ে ভেসে চলেছিলাম আমরা…নৌকোর ভিতরে একটা ছোট যায়গা মত আছে যেখানে একান্তে সময় কাটানো যায়…ভীষণ ইচ্ছে করছিল ওই ভিতরটায় ঢুকে প্রেম করি, কিন্তু পাছে পাড়ে নিয়ে গিয়ে ঝামেলা করে তাই সাহস পাচ্ছিলাম না.এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম কিছুটা এক্সট্রা টাকা দিলে মাঝিরা একটু আধটু ফষ্টিনষ্টি করলে কিছু বলে না। সাহস করে মাঝির হাতে আরও ২০০ টাকা গুঁজে দিলাম, মাঝি কিছু বলল না শুধু মুচকি হাসল একবার। আমিও গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে দিদিকে নিয়ে নৌকোর ভেতরটায় ঢুকে পড়লাম।
দিদি- কিরে, এখানেও?
চলবে...

