Type Here to Get Search Results !

মায়ের প্রেম বিবাহ ( পাঠ ৩ )


 #গল্পঃ মায়ের প্রেম বিবাহ

#পর্বঃ ১১

আগে ভালবাসা বুঝে নেব তারপর ওসব। যেরকম ভালবাসা দেবে সেরকম দু ধ পাবে। এবার আবার কিছুক্ষন চু মু খওয়ার শব্দ ভেসে আসতে লাগলো ভেতর থেকে। শব্দ শুনেই বুঝলাম এগুলো ঠোঁ টে চু মু খাওয়ার শব্দ।

এর পর মা বললো - কি গো আজ করবেনা? আমার কি আর কাজ নেই তোমার সাথে লাইন করা ছাড়া। করবে তো কর, না হলে ছাড়, আমার অনেক কাজ আছে।

ছোটকা বললো - কি ব্যাপার গো? আজ সূর্য কোনদিকে উঠলো, তুমি আমাকে চো দার তাড়া দিচ্ছ।

মা আদুরে গলায় বললো - কি করবো বল? আজ সকাল থেকেই মনটা খুব চো দাই চো দাই করছে।

মার আদুরে গলা থেকেই বুঝলাম ছোটকাকে চোঁ দ বার জন্য মা ভেতরে ভেতর কি ভীষণ উদ গ্রীব। আসলে গত কয়েক দিনে মা আর ছোটকার দুজনেরই চো দা চু দি করে করে চোঁ দ নের নেশা ধরে গেছে। একটু পরেই ঘরের ভেতরের খাট থেকে ক্যাঁ চ কোঁ চ শব্দ শুরু হল আর মাঝে মাঝে মার বোঁজা গলায় উ উ ও ও আ হ  শব্দ ভেসে আসতে লাগলো। বুঝলাম মা ছোটকার সাথে মি লিত হচ্ছে। এদিকে আমার প্যান্টটাও ভিজে গেল। আমি আর দেরি না করে তলায় নেবে এলাম।

কিন্তু কপাল খারাপ, ছাত থেকে নামতেই একবারে ঠাকুমার মুখোমুখি পরে গেলাম আমি। ঠাকুমা আমাকে দেখেই বলে,

ঠাকুমা - কি রে তুই আজ মাঠে খেলতে যাসনি? আর এই সময়ে ছাতে গিয়েছিলি কেন? তোকে যে সেদিন এত বার করে এই সময় ছাতে যেতে বারন করেছিলাম তাও গেলি। মোক্ষদাও বোললো সেও একদিন তোকে ছাতে যেতে বারন করেছে।

আমি হাতে নাতে ধড়া পরে যাওয়ায় মুখ কাচুমাচু করে দাঁড়িয়ে রইলাম।

ঠাকুমা কর্কশ গলায় ধমকে উঠলো - সারাক্ষণ মায়ের পোঁ দে পোঁ দে ঘোরা তোমার বন্ধ করতে হবে দেখছি। বড্ড পেকে গেছ তুমি মনে হচ্ছে? সামনে পরীক্ষা, পড়াশুনোর বালাই নেই, আর মাথায় বদ মাশি বুদ্ধি ষোলআনা।

আমি কোন কথা না বলে চুপ করে চো রের মত দাঁড়িয়ে রইলাম। ঠাকুমা এতে আরো খেপে গিয়ে ভীষণ জোরে চেঁচিয়ে উঠলো,

ঠাকুমা - ছাতে কি করতে গেছ তুমি আগে বল? মা কি করে দেখতে? উত্তর দাও?

আমি আর কি করবো মুখ নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলাম। ঠাকুমা রাগে গজগজ করতে করতে নিজের ঘরে ফিরে যেতে যেতে বললো,

ঠাকুমা - তোমাকে এখান থেকে সরাতে হবে দেখছি।

আমি অবস্থা সুবিধের নয় বুঝে চুপ করে নিজের ঘরের দিকে চলে গেলাম। একটু পরে মা ছাত থেকে নামতেই ঠাকুমা মা কে নিজের ঘরে ডাকলো। আমি আর ঘরে থাকতে পারলাম না চুপি চুপি একটু রিক্স নিয়েই ঘর থেকে বেরিয়ে ঠাকুমার ঘরের সামনে গিয়ে আড়ি পাতলাম।

দেখি ঠাকুমা মাকে ধমকে বলছে,

ঠাকুমা - নমিতা তোমরা যা করছো কর, আমি তো তোমাদের কোন বাধা দিই না, কিন্তু একটু আড়াল রেখে করলেই তো পার। টুকুন এই একটু আগে ছাত থেকে নামলো। আজ আমি হাতে নাতে ধরেছি ওকে। আগেও একদিন ওকে ছাতে ওঠার সময় ধরেছিলাম। শুধু আমি নয় একদিন মোক্ষদাও ওকে ছাতের সিঁড়িতে ধরেছিল। ও বুঝলো কি করে তুমি কেন পিকুর কাছে যাও? সব দেখেছে বোধহয়?

মা তাড়াতাড়ি বললো,

মা - না মা... আমরা দরজা জানলা বন্ধ না করে ওসব করিনা, আপনি বিশ্বাস করুন। ও কিছু দেখতে পায়নি... তবে কিছু শুনে থাকতে পারে হয়তো।

ঠাকুমা রাগে গজগজ করতে করতে বললো,

ঠাকুমা - ওইটুকু ছেলে ঠিক বুঝেছে মা ছাতে পিকুর কাছে চো দাই তে গেছে। পেকে একবারে ঝুনো হয়ে গেছে।

মা আমতা আমতা করে বলে,

মা - কি করবো মা, আপনার ছেলেকে তো রোজ বলি, একটু ধৈর্য ধর, টুকুনের এখন স্কুল ছুটি চলছে, একটু সমঝে চল, কিছুতেই শুনতে চায়না। কত করে তো ওকে বললাম বিয়েটা আগে হোক তারপর না হয় ওসব হবে, শোনেনা মা ,আপনার ছেলে কে তো আপনি জানেন। প্রতি দিন তিনবার করে আমাকে করবেই করবে সে। জোর করলে বলে তুমি রোজ তিনবার করে আমার কাছে না এলে আমি কিছুতেই পরীক্ষায় বসবোনা। জানেন তো কি একগুঁয়ে স্বভাব ওর। না করতে পারিনা, ভাবি যা করছে করুক, পরীক্ষাটা তো অন্তত ভাল করে দিক।

ঠাকুমা বলে - সেটা আমি বুঝি মা, কিন্তু তুমি বয়েসে বড়, তুমি যদি পিকুকে একটু বোঝাতে না পার, তুমি যদি নিজে একটু সতর্ক না হতে পার, তাহলে কি করে চলবে বল?

মা এবার বেশ একটু রেগে যায়, ফুঁসে উঠে বলে,

মা - মা আপনি এরকম করে বলছেন যেন শুধু আমি চাই বলেই ওসব হয়, আপনার ছেলেকে গিয়ে বোঝান না। ওর চা হিদা মেটাতে গিয়ে আমার যে এদিকে লজ্জ্যায় মাথা কাটা যায়। আপনি একদিন লোকানোর কথা বলছেন, বিয়ের পরে কি হবে বলুন দেখি? বলুনতো কি ভাবে টুকুনের সামনে বেনারসি পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসবো আমি? কি করেই বা টুকুনের সামনে দিয়ে পিকুর সাথে ফুলশয্যা করতে আমার ঘরে ঢুকবো, কি করেই বা ওর বাচ্ছা পেটে নেব? এখনই আপনার ছেলেকে সামলাতে পারছিনা, বিয়ের পরে তো ও আরো খুল্লম খুল্লা হয়ে উঠবে। এরকম করলে কিন্তু আমি পারবোনা মা। তাহলে আমায় ছেড়ে দিন। আমার লজ্জা শরম যে একটু বেশি সেতো আপনি জানেন মা। এই নিয়ে আগে অনেকবার আপনার সাথে আমার কথা হয়েছে ।

ঠাকুমা এবার একটু ঘাবড়ে যায় মার রুদ্রমূর্তি দেখে। মাথা নেড়ে মেনে নেওয়ার ভঙ্গিতে বলে,

ঠাকুমা - হুম,

তারপর একটু হেঁসে মা কে ঠাণ্ডা করার ঢঙে বলে - আসলে পিকুর বয়েসটা কম তো আর তোমার যা ডাগর ডগোর গ তর হয়েছে নিজেকে বোধহয় সামলাতে পারেনা। কম বয়েসের এটাই ধর্ম মা।

মা এবার একটু ঠাণ্ডা হয়, মাথা নিচু করে। ঠাকুমা বোঝে মা প্রশংসা শুনে খুশি হয়েছে, এগিয়ে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে বলে,

ঠাকুমা - আমার কথায় তুমি রাগ কোরনা মা, আমি যে তোমাকে প্রথমদিন থেকেই আমার বউ এর মত নয় আমার মেয়ের মতন মনে করি সে তো তুমি জানই। তারপর মায়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে - তুমি বল আমার পিকু তোমার কথা শোনেনা, বিয়েটা একবার হতে দাও, তোমার বু ক দুটো যা বড় বড় হয়েছে না... দেখবে বিয়ের পর আমার পিকু কেমন তোমার কথায় কান ধরে ওঠ বস করে।

মা অবশেষে রাগ ভুলে ঠাকুমার কথা শুনে ফিক করে হেসে ফেলে। তা দেখে ঠাকুমা বলে,

ঠাকুমা - তুমি চিন্তা কোরনা মা, আমি ভেবে নিয়েছি, তোমার বিয়ের সময়ে আমি কিছুদিন টুকুনকে সোমার বাড়ি পাঠিয়ে দেব।

মা এবার একটু ঘাবড়ে যায় ঠাকুমার কথা শুনে, বলে

মা - মানে?

ঠাকুমা বলে - আমি চাই তোমার বিয়ের সময় ও কিছুদিন ওর পিসি পিসেমশায়ের বাড়িতে গিয়ে থাকুক। ওদের বাচ্ছা কাচ্ছা নেই, একদম সময় কাটেনা, আর জানই তো সোমার বর অঙ্কের মাস্টার, ওখানে টুকুনের পড়াশুনোটাও ভাল হবে। অন্য কোন দিকে মনও যাবেনা। ওর ও তো সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা আসছে নাকি? আর ওদের বাড়িতো বেশি দুরে নয়, এখান থেকে মাত্র তিনটে স্টেশান দুরে, তোমার যে দিন দেখতে ইচ্ছে করবে সেদিনই চলে আসতে পারবে। তাছাড়া টুকুনের স্কুলটাও তো সোমাদেরই গ্রামে, যাতায়াতের সময়টাও বেঁচে যাবে, এখান থেকে তিন তিনটে স্টেশান পেরিয়ে রোদ ঝড় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বেচারা কে নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। আমি কালই সোমার সাথে কথা বলবো। সোমা খুব খুশি হবে, টুকুনকে ভীষণ ভালবাসে ও।

মা আমতা আমতা করে বলে,

মা - সে ঠিক আছে মা, কিন্তু টুকুনকি আমাকে ছাড়া থাকতে চাইবে।

ঠাকুমা বলে - ওর কথা শুনলে কি তোমার চলবে মা? মনটা একটু শক্ত করতে হবে তো। ও এখানে না থাকলে তুমি নিশ্চিন্তে পিকুর সাথে বিয়েটা সেরে নিতে পারবে। তোমার তো আবার বিয়ের ব্যাপারে ভীষণ লজ্জ্যা। আর তাছাড়া তোমারও তো একটু স্বাদ আহ্লাদ আছে নাকি? নতুন সংসার হচ্ছে, স্বামী হচ্ছে, বিয়ের পর পিকু তোমাকে নিয়ে একটু এদিক ওদিক বেড়াতে যাবে। সব দিক ভেবেই আমি এসব ঠিক করেছি। টুকুন কদিন পিসির বাড়ি গিয়ে থাকলে তুমি আর পিকু সেই সুযোগে তোমাদের সংসারটাকে তোমাদের মত করে গুছিয়ে নিয়ে বসতে পারবে।

মা বলে - হ্যাঁ সেটা ভালই কিন্তু টুকুনকে কি ভাবে বলবো? যদি ও না যেতে চায়?

ঠাকুমা বলে - না যেতে চাইলে ধমক ধামক দিয়ে পাঠাতে হবে। তোমার নিজের সুখের দিকটাও তো তোমাকে একটু দেখতে হবে নাকি?

তারপর মাকে কাছে টেনে নিয়ে মার কানে কানে আদুরে গলায় ঠাকুমা বলে,

ঠাকুমা - বিয়ের পর আমাদের পিকুকে দেখাতে হবে না যে আমার বউমাও বিছানায় কম দস্যি নয়। টুকুন এখানে থাকলে কি আর সারা দিন যখন ইচ্ছে তখন দরজা বন্ধ করে পিকুর সাথে দস্যিপনা করতে পারবে।

মা লজ্জ্যা পেয়ে যায় বলে,

মা - আপনি না মা...আমার লজ্জ্যা লাগে।

ঠাকুমা মাকে ছাড়েনা, মার কপালে চুমু দিয়ে বলে,

ঠাকুমা - আমার কি আর বিয়ে হয়নি? আমি কি আর জানিনা বিয়ের পরে প্রথম বছরটা কিরকম যায়? সকালে বিকেলে সারাদিন খালি লাগাই লাগাই বাই ওঠে তখন।

মার মুখটা লজ্জ্যায় একবারে টকটকে লাল হয়ে যায়, মা বলে

মা - ই শ মা... আপনি না দিনকে দিন মোক্ষদার মতন হয়ে যাচ্ছেন। আমার কি এটা প্রথম বিয়ে যে অমন করবো।

মা ঠাকুমার বাঁধন থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে কিন্তু ঠাকুমা মাকে ছাড়েনা। মার লজ্জ্যায় লাল হয়ে যাওয়া রাঙ্গা গাল টিপে দিয়ে বলে,

ঠাকুমা - ই শ...ন্যাকামো আর করতে হবে না, বিয়ের আগেই রোজ তিনবার করে হচ্ছে আর বিয়ের পর আমার পিকুকে কি তুমি এমনি এমনি ছেড়ে দেবে। তখন তো দিনে রাতে যখন পারবে তখনই ওকে দুইবে।

মা লজ্জ্যায় বলে - ই শ এমন করে বলবেন না মা। আমি কিন্তু বিয়েতে রাজি হই নি প্রথমে, আপনি জোর করলেন বলেই। ঠাকুমা আদুরে গলায় বলে,

ঠাকুমা - যত ঢং, শরীরে ভর্তি যৌ ব ন টসটস করছে, ওসব না করে সারা জীবন থাকতে পারতে?

তারপর নিজেকে একটু সামলে নিয়ে বলে,

ঠাকুমা - যাই হোক আসল কথাটা হল তুমি ভেতরে ভেতরে একটু শক্ত হও, ছেলে যেতে রাজি না হলে তোমাকে এখন একটু নিস্ঠুর হতে হবে। নিজের সুখের কথা ভেবে দরকার হলে ওর গায়ে দু ঘা দিয়ে দেবে। দেখে নিও এতে তুমি পিকু টুকুন সকলেরই ভাল হবে। এখানে তোমাদের বিয়ের সময় থাকলে টুকুনের পড়াশুনো মাথায় তো উঠবেই উলটে বিয়ের পর তোমাদের দেখে মনে নানা রকম খারাপ প্রভাব পরতে শুরু করবে। আমার বয়স হয়েছে তো মা, আমি অনেক কিছু বুঝি।

মা বলে - হুম। আমি একটু ভেবে দেখি মা কি করা যায়।

.

চলবে

পরবর্তী পর্ব পড়তে সবাই লাইক কমেন্ট করে উৎসাহ দেন।

ধন্যবাদ





#গল্পঃ মায়ের প্রেম বিবাহ

#পর্বঃ ১২

বিয়ের পর তোমাদের দেখে মনে নানা রকম খারাপ প্রভাব পরতে শুরু করবে। আমার বয়স হয়েছে তো মা, আমি অনেক কিছু বুঝি।

মা বলে - হুম। আমি একটু ভেবে দেখি মা কি করা যায়।

সেদিন রাত থেকে দেখি মা আর আমার সাথে কোন কথা বলছেনা। একবারে গুম মেরে সারাক্ষন কি যেন একটা চিন্তা করে চলেছে। বুঝি আমাকে এখান থেকে সরিয়ে দেবার ব্যাপারে মন স্থির করার চেষ্টা চালাচ্ছে মা। যতই হোক নিজের পেটের ছেলেতো, মন মানছেনা আমাকে এখান থেকে সরিয়ে দিতে। আথচ মনে বিয়ে করার ইচ্ছেও এখন প্রবল। ঠিক বুঝতে পারছেনা কি করবে? এদিকে ছেলের চোখের সামনে নির্লজ্জ্যের মত বিয়ে করতেও লজ্জ্যাও হচ্ছে। বুঝতে পারছে ছেলে সামনে থাকলে বিয়ের মজা অনেকটাই তেঁতো হয়ে যাবে। ভাবছে কি ভাবে গুছিয়ে আমাকে বলবে ছোটকাকে বিয়ে করার কথা বা এখান থেকে আমাকে সরিয়ে দেবার কথা।

আমি তো জানতাম কি হতে যাচ্ছে, কিন্তু তবু শুধু মার মুখ থেকে শুনবো বলেই জিগ্যেস করলাম,

আমি - তুমি আমার সাথে কথা বলছোনা কেন মা?

মা খেঁকিয়ে উঠলো - একটা টেনে থাপ্পর মারবো তোমার গালে। কি করতে তুমি ছাতে গিয়েছিলে আজ? তোমাকে সবাই বারন করার পরেও কেন গিয়েছিলে বল?

আমি মিনমিন করে বললাম - এমনি।

মা - এমনি না নিজের মাকে নেং টো দেখার সাধ হয়েছিল বলে?

আমি জানতাম মা আমাকে বকাবকি করবে, কিন্তু এরকম করে খেঁকিয়ে খেঁকিয়ে নং রা কথা বলে বলে বকবে সেটা আমি ভাবতেই পারিনি। মা থামলো না বলেই চললো।

মা - কি হল বল? নিজের মাকে নেং টো দেখার সখ কি তোমার? তাহলে বল, সব খুলে দিচ্ছি প্রানভরে দেখ।

আমি চুপ করে রইলাম। আমার চোখ দিয়ে টপটপ করে জল পড়তে লাগলো।

মা বললো - পড়াশুনায় মন নেই, পেকে একবারে ঝুনো হয়ে গেছ তুমি।

আমি কিছু না বলে মাথা নিচু করে ফোঁপাতে থাকলাম। বাবা নেই, কাছের লোক বলতে শুধু আমার মা আর ঠাকুমা। ওরাই যদি আমাকে এখান থেকে সরিয়ে দিতে চায় তাহলে আর কার কাছে গিয়ে দুঃখ করবো আমি। নিজের মা ঠাকুমার সাথে লড়ে কি আর পারা যায়। ওরা এখন যা চাইছে তাই আমাকে মুখ বুঁজে মেনে নিতে হবে।

মা বিছানা ঝাড়তে শুরু করলো। তারপর মশারী টাঙ্গিয়ে আমাকে বললো,

মা - আর কেঁদে কেঁদে ন্যাকামো করতে হবেনা, নাও এখন শুয়ে পর।

আমি শুয়ে পড়ার পর মা লাইট নিবিয়ে দিল। আমি অন্ধকারে মুখ বুজে কান্না চেপে শুয়ে আছি, মার চোখেও ঘুম নেই। এদিকে মার শরীরের গন্ধ আর ছোঁয়া না পেয়ে আমারো আর ঘুম আসছেনা। কিছুক্ষণ পর নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে মা একটু নরম গলায় বলে উঠলো,

মা - তোমার ঠাকুমা ঠিক করেছে এখন থেকে তুমি তোমার পিসির বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করবে। একদম গুইগাঁই করবেনা, ঠাকুমা যেদিন যেতে বলবে সেদিনই চলে যাবে।

আমি বুঝলাম মা আমার যাবার বাপারে মনস্থির করে ফেলেছে। অর্থাৎ ছেলের প্রতি মায়ের স্বাভাবিক দুর্বলতা নয় মার এই মানসিক দ্বন্দে শেষ পর্যন্ত নিশ্চিন্তে আবার বিয়ে করার ইচ্ছেটাই জিতে গেল। মাকে একটু কান্না ভেজা গলায় বললাম,

আমি - মা তুমি যে আমাকে সেদিন বলেছিলে তুমি আর বিয়ে করবেনা?

মা আবার আগের মত ঝাঁঝিয়ে ওঠে বলে,

মা - আমি আবার কবে তোমাকে বললাম বিয়ে করবো না? আমি শুধু বলেছিলাম তোমার মা তোমারই থাকবে, আর তোমাকে ছেড়ে কখনো কোথাও যাবেনা। আর সেটা আমি ঠিকই বলেছি। তুমি এখন থেকে পিসির বাড়ি গিয়ে থাকলে তোমারই পরীক্ষার রেসাল্ট ভাল হবে। পরীক্ষার পর তুমিতো আবার এখানে ফিরে আসবে। আমরা কি বলছি চিরকাল তোমাকে পিসির বাড়ি গিয়ে থাকতে? আমরা যা করছি তা তোমার ভালোর জন্যই তো করছি। আমি বা তোমার ঠাকুমা... আমরা কি তোমার পর যে তোমার ক্ষতি করবো? তারপর গলার স্বর নামিয়ে একটু সাগোগতির ঢঙে বলে - আর তোমাকে ছেড়ে আমিও বেশিদিন থাকতে পারবোনা।

মায়ের গলাটা আবার যেন একটু নরম শোনাল। ভাবলাম মায়ের কাছে যদি এই সুযোগে যদি একটু সহানুভুতি আদায় করা যায় তাই বললাম,

আমি - যখন ফিরে আসবো তখন কি আর তুমি এইভাবে রাতে আমাকে তোমার পাশে শুতে দেবে?

মা আবার খেঁকিয়ে উঠলো।

মা - দেখ টুকুন আমার মাথা গরম করিসনা। তুই খুব ভাল করেই জানিস তোর ছোটকা কে আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি। তারপর এই কথা জিগ্যেস করার মানে কি? তোর বয়স তো কম নয়? সামনের বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিস তুই। তোর যথেষ্ট বোঝার বয়স হয়েছে মানুষ কেন বিয়ে করে আর বিয়ের পর রাতে আমার আর তোর ছোটকার মধ্যে কি হবে।

আমি চুপ করে রইলাম। উ ফ মা বিয়ের বাপারে কোন বাধাই আর মানতে চাইছে না। মা আবার গজরে উঠলো,

মা - নাকি আজকের মত আবার চুপি চুপি আড়ি পেতে দেখতে চাস বিয়ের পর আমি আর তোর ছোটকা রাতে কি কি করি।

আমি এবার প্রায় কাঁদতে কাঁদতে বললাম,

আমি - না না তা নয়।

মা আবার ধমক দিয়ে উঠে বলে,

মা - তাহলে এসব বোকা বোকা কথা জিগ্যেস করছিস কেন তুই?

বুঝলাম মা নিজের বিয়ে নিয়ে লজ্জ্যা চাপা দেবার জন্য আমাকে ধমকাচ্ছে। লোকে বলে না অ ফে ন্স ইজ দ্যা বেস্ট ডি ফে ন্স। যেটা অত সহজে মা আমাকে ধমকে ধমকে বলে দিল সেটা আমার কাছে নরম ভাবে, আমাকে আদর করে বুঝিয়ে বলা মার কাছে যেমন মুস্কিলের ছিল তেমন লজ্জ্যারও ছিল। ভীষণ সে ন্স সি টিভ ব্যাপার এটা।

আমি আর কথা না বাড়িয়ে ঘুমিয়ে পরার চেষ্টা করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পরেই দেখলাম মা চুপিচুপি উঠে ছোটকার কাছে চলে গেল। আমি ঘুমিয়েছি ভেবেও বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে গেছে। সেদিন রাতে মা যে কখন ফিরে এলো কে যানে। মায়ের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি করে আমার আর এবাড়িতে থেকে যাওয়ার ইচ্ছে ছিলনা। পরের দিন থেকে মায়ের সাথে আর একটাও কথা বলিনি আমি। ঠাকুমা দুদিন পরই আমাকে ডেকে বললো,

ঠাকুমা - আমি ঠিক করেছি এখন থেকে তুই তোর পিসির বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করবি।

ঠাকুমা কে আশ্চর্য করে আমি ঠাকুমার সব কথা একবাক্যে ঘাড় নেড়ে মেনে নিলাম। ঠাকুমা আমার চুপচাপ মাথা নাড়া দেখে বলে,

ঠাকুমা - তোর মার সাথে কি তোর এনিয়ে কোন কথা হয়েছে?

আমি মাথা নাড়ি। ঠাকুমা বলে তাহলে তুই কবে যেতে চাস? তোর মাসির সঙ্গে আমার সব কথা হয়ে গেছে। সামনের মাসেই চলে যা। ঠাকুমাকে আবারো অবাক করে আমি বলি,

আমি - না আমি সামনের সপ্তাহেই চলে যাচ্ছি।

বঙ্কুর সাথে দেখা করতে গেলাম একদিন। আমি চলে যাচ্ছি শুনে বঙ্কু বলে,

বঙ্কু - আমার মাটাই আসলে শয়তানি করলো। ওর জন্যই এরকম হল।

আমি বলি - মোক্ষদামাসির কোন দোষ নেই। জব মিয়াঁ বিবি রাজি তো কেয়া করেগা কাজি। সবই আমার ভাগ্য। বাবাকে আগে হারিয়ে ছিলাম এখন থেকে মাকেও হারালাম। যাক একদিক থেকে ভালই হল। আজ থেকে জেনে গেলাম আমার আর কেউ নেই। না মা না ঠাকুমা কেউ আমাকে এখানে চায়না।

বঙ্কু বলে - বুঝতে পারছি তোর খুব কষ্ট হচ্ছে। তবে একটা কথা তোকে বলি যদি তুই আমার ওপর রেগে না যাস।

আমি বলি - রেগে যাব কেন? তুই তো আমার নেং টো বেলাকার বন্ধু।

বঙ্কু বলে - দেখ কত লোকে তো কত খারাপ কাজ করছে, চুরি করছে ডাকাতি করছে খুন করছে, তোর মা কিন্তু কোন খারাপ কাজ করে নি। আবার বিয়ে করাটা কিন্তু আর যাই হোক খুব খারাপ কোন কাজ নয়। জানি তোর এখান থেকে চলে যেতে খারাপ লাগছে কিন্তু সত্যি বলতে কি এখন এখানে থাকলে তোর ভাল হোত না। বিয়ের পর তোর মা আর তোর ছোটকার স্বাভাবিক আদর আল্লাদে তুই শুধু শুধু বিনা কারনে মানসিক কষ্ট পেতিস। তোর ঠাকুমা কিন্তু একবারে ঠিক ডিসিশনই নিয়েছে। তোকে আর একটা কথা বলি ভাই মন দিয়ে শোন। তুই যার শরীরের অংশ, যার পেটে দশমাস ছিলি, যার বুকের দু ধ খেয়ে বড় হয়েছিস তার ওপর অভিমান করে শুধু শুধু কষ্ট পেতে যাসনা। মায়ের সব ইচ্ছে মেনে মায়ের কাছে নিজেকে সেঁপে দে। নিজের মার সাথে কখনো লড়িস না। ও লড়াইতে তুই কিছুতেই জিততে পারবিনা। জিতলেও হেরে যাবি। ভাব তোর মন চেয়ে তোর মা যদি এতদুর এগিয়েও তোর ছোটকাকে বিয়ে না করে তাহলে তোর ছোটকা কি কোনদিন তোকে মাফ করবে। বা ছোটকা কে ছাড় তোর মা তো মনে মনে ভাববে যে আমার পেটের ছেলেই আমাকে সুখি হতে দিলনা। বিনা কারনে তোর মাকে দিয়ে কেন সাক্রিফাইজ করাবি তুই? তার থেকে এই লড়াই তে তুই ইচ্ছে করে হেরে যা। শেষে দেখবি তুইই জিতবি। এই দেখ আমার মা তো কত কি করে, বাবা নেই বলে কত লোককে ঘরে এনে তোলে। আমি কিন্তু সব মেনে নিই। কারন আমি বিশ্বাস করি মার সাথে লড়াইতে কোনদিন কেউ জিততে পারেনা। মা যা করছে করুক, কিন্তু কোনদিন যেন না ভাবে নিজের পেটের ছেলেই আমার সখ আল্লাদ মেটাতে দিচ্ছে না। আমার মার চরিত্র খারাপ হতে পারে কিন্তু যাদের মা নেই তাদের থেকে অনেক ভাল আছি আমি। মা না থাকার জ্বালা যে কি সে যার মা নেই সেই একমাত্র বুঝতে পারে।

আমি বলি - তুই হয়তো ঠিকই বলছিস বঙ্কু। আমিও ওই জন্য ঠিক করেছি ওরা যেমন চাইছে সেরকম ওদের কথা মেনে নিয়ে চুপচাপ এখান থেকে চলে যাব, ওদের সাথে কোনভাবে লড়ার চেষ্টা করবোনা। তবে আমার মনের এখন যা অবস্থা তাতে মায়ের ওপর অভিমান না করে থাকতে পারবোনা।

সেদিন রাতে শোবার সময় মা আমার সাথে একটু কথা বলার চেষ্টা করলো। বোঝানোর চেষ্টা করলো, বলে

মা - আমি তোর ছোটকা কে বিয়ে করছি ঠিকই, কিন্তু তোকে আমি সেই আগের মতই ভালবাসবো। তুই আমার ছেলে, আমার কাছে তোর দাম কি কোনদিন কমতে পারে? দেখ তোর বয়স হচ্ছে, তোকে তো বুঝতে হবে বিয়ের পর তোর মা আর তোর ছোটকার একটু প্রাইভেসি দরকার হবে। কিছু গোপন ব্যাপার স্যাপ্যারও নিশ্চই থাকবে দুজনের মধ্যেকার দা ম্প ত্ত্য জীবনে। হয়তো তোর আর একটা ভাইবোন ও হবে। কিন্তু এসবের জন্য তুই যদি ভাবিস তোর মা তোর থেকে দুরে সরে যাচ্ছে তাহলে কিন্তু খুব ভুল করবি। হয়তো বিয়ের পরে তোর ছোটকার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ঠিক আগের মত থাকবেনা। বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী হিসেবে পিকু আর আমি অনেক কাছাকাছি আসবো কিন্তু তার ফলে তোর সঙ্গে আমার মা ছেলের সম্পর্কে কেন প্রভাব পরবে? আমার আবার একটা বিয়ে হয়েছে বলে বা আমার আবার একটা সংসার হয়েছে বলে আমি তোকে কোন দিন একফোঁটাও কম ভালবাসবোনা। কোন মা তার বড় ছেলেকে কোনদিন ভালনাবেসে থাকতে পারেনা। আর তোর ছোটকা তো বাইরের কেউ নয়, সেতো আমাদের পরিবারেরই ছেলে। আমাদের বিয়েতে দেখবি আমাদের পরিবারের বাঁধনই আরো দৃঢ় হবে।

আমি কোন কথা বলিনা, চুপ করে থাকি। শুধু মনে মনে বঙ্কুর কথাটা আওরাই। মার সাথে লড়ে কেউ জিততে পারেনা...কেউ না। আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে মা বলে,

মা - জানি তোর খারাপ লাগছে, তুই ভাবছিস মা আবার সংসার করার জন্য আমায় দুরে সরিয়ে দিচ্ছে। হয়তো ভাবছিস তোর মা চো দা চো দি করার জন্য পাগল। দেখ তোর মা হলেও আমি তো একটা মানুষ, আমি তো কোন দেবী নই। আমারো তো শরীরে খিদে তেষ্টা আছে। আমারো তো একটু ভালভাবে বাঁচার ইচ্ছে হয়। আমি তো কোন খারাপ কাজ করিনি, কাউকে ঠকাইনি। তোর বাবা যতদিন বেঁচে ছিল ততদিন তোর বাবাকে তো আমি সুখেই রেখেছিলাম। তোর বাবা অমন করে চলে যাবার পর যদি কাউকে আবার ভালবেসে ঘরবাধি তাহলে কি খুব আপরাধ করেছি আমি?

আমি একটা কথাও মার কথার উত্তরে বলিনি। শুধু মাথা নেড়েছি।

পরের সপ্তাহে আমার পিসির বাড়ি যাবার কথা ছিল। পুরো একটা সপ্তাহ আমি মা বা ঠাকুমার সঙ্গে একটাও কথা বলিনি। ওরা যা বলেছে শুধু ঘাড় নেড়ে হ্যাঁ বলেছি। ঠাকুমা আমার কাছে বোধহয় এতটা মাচিওরড ব্যাবহার আশা করেনি। মুখে প্রকাশ না করলেও ভেতর ভেতর একটু ঘাবড়ে গেছে মনে হল। বুঝতে পারছিল পাশার দান ঠিক মত পরেনি। কিছু একটা গণ্ডগোল হতে যাচ্ছে। যাবার দিন ব্যাগ পত্তর সব গুছিয়ে রেখেছিলাম, সময় হতেই ঠাকুমাকে আসছি বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাম। মাকেও বলে আসিনি।

.

#চলবে

পরবর্তী পর্ব পড়তে সবাই লাইক কমেন্ট করে উৎসাহ দেন।

ধন্যবাদ





#গল্পঃ মায়ের প্রেম বিবাহ

#পর্বঃ ১৩

যাবার দিন ব্যাগ পত্তর সব গুছিয়ে রেখেছিলাম, সময় হতেই ঠাকুমাকে আসছি বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাম। মাকেও বলে আসিনি। পিসির বাড়িতে পৌছোনোর পরই পিসির ল্যান্ডফোনে মার ফোন,

মা - কি রে যাওয়ার সময় আমাকে একবার বলেও যাসনি?

আমি বললাম - তোমার সাথে দেখা করে এলে আমার মন খারাপ হয়ে যেত, এখানে আসতে ইচ্ছে করতোনা, সেই জন্য ইচ্ছে করেই দেখা করে আসিনি।

এই বলে ফোন কেটে দিলাম। সঙ্গে সঙ্গে আবার ফোন।

আমি পিসিকে বললাম - বলে দাও আমি এখন কথা বলতে চাইছি না, বেশি কথা বললে আমার খুব মন খারাপ করবে। দু দিন পরে এল ঠাকুমার ফোন,

ঠাকুমা - টুকুন তোর ভালর জন্যই তোকে ওখানে পাঠিয়েছি। তোর মার বিয়ের ঝামেলায় যাতে তোর পড়াশুনার ব্যাঘাত না হয় সেই জন্য। তোর তো মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রায় এসে গেল... আর তো মাত্র একটা বছর।

আমি বললাম - ভালই করেছ। তবে যত দিন আমার পরীক্ষা না হচ্ছে তুমি বা মা কিন্তু পিসির বাড়িতে আসবেনা, বা আমাকেও তোমাদের বাড়িতে যেতে বলবেনা। আমার পড়াশুনার সত্যিই খুব চাপ। আমার মনসংযোগে অসুবিধে হবে। আমি এখন পড়াশুনো নিয়েই ব্যাস্ত থাকতে চাই।

ঠাকুমা বুঝলো গণ্ডগোল ভালই পেকেছে। যাই হোক দেখতে দেখতে মায়ের বিয়ের দিন এসে গেল। পিসি পিসেমসাই চুপি চুপি গিয়ে নেমতন্ন খেয়ে এলেন। আমাকে তো বলাই হয়নি কবে মায়ের বিয়ে এল আর হয়ে গেল। পরে পিসির কাছ থেকে সব জানতে পারলাম।

পিসি বলে - তোর ঠাকুমা বলতে বারন করেছিল বলে তোকে বলিনি।

দেখতে দেখতে প্রায় একবছর হয়ে গেল। আমি আমার পড়াশুনা নিয়েই নিজেকে ব্যাস্ত রাখলাম। এর মধ্যে মা আর একবারও আমাকে ফোন করে নি। তবে মা বা ঠাকুমা যে নিয়মিত ফোন করে পিসির কাছ থেকে আমার খবরাখবর নেয়, তা বুঝতে পারতাম। পিসির মুখে শুনলাম মা নাকি ছোটকা কে নিয়ে খুব সুখে আছে কিন্তু আমার ওপর নাকি ভয়ঙ্কর রাগ হয়েছে। পিসিকে ফোনে বলেছে নিজের পেটের ছেলে আমাকে একবারে ভুলে গেল। খাইয়ে পড়িয়ে এত বড় করলাম আমি, এত নেমখারামি করলো আমার সাথে, এত বড় সাহস বলে তুমি আমাকে আর ফোন কোরনা। আমাকে না জড়িয়ে ধরে রাতে যে শুতে পারতো না সে কিনা একবার আমার ফোন পর্যন্ত ধরেনা। আমি বিয়ে করেছি বলে আমার ওপর ওর এত রাগ।

পিসি বলে - আমি এই সুজোগে বলে দিয়েছি - টুকুন তো আমাকে বলেছে পিসি আমি এখান থেকেই উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে কলেজে পড়বো, তারপর চাকরীও করবো।

মা নাকি তাতে আরো রেগে গিয়ে বলেছে - ওর ইচ্ছে মত সব হবে নাকি? আমি আর ওর ঠাকুমা কি মরে গেছি?

পিসি হেসে বলে - আমি তোর মাকে আরো রাগিয়ে দিতে বলি - ছেড়ে দাওনা নমিতা, ও যদি এখানে থেকে পড়াশুনা শেষ করতে চায় তো করুকনা। ও আসলে চাইছেনা তোমার নতুন সংসারের মধ্যে গিয়ে থাকতে। বলে আমি গেলে মার প্রাইভেসি নষ্ট হবে।

মা নাকি সেটা শুনে খেপে একবারে লাল হয়ে গিয়ে বলেছে - না সেটা হবেনা, আমি ওকে ওর ইচ্ছে মত চলতে দেবনা। ওকে আমি আমার কাছে এনে তবে ছাড়বো। দাঁড়াও ওর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাটা হোক তারপর ওর ব্যাবস্থা আমি করবো।

মা রেগে যাওয়াতে আমি মনে মনে সাংঘাতিক খুশি হই। কিন্তু মনে মনে বঙ্কুর কথাটা ভাবি, মার সাথে লড়াই করে জেতা যায়না, শুধু শুধু কষ্ট পেতে হয়। তারপর ভাবি আচ্ছা কোন লড়াই না করে কি আমি এখন খুব সুখে আছি?

তবে একটা ব্যাপার আমি বুঝি, আমাকে নিয়ে পিসির সাথে মার তলে তলে একটু ‘টানা টুনি’ চলছে। আসলে পিসির বাচ্ছা কাচ্ছা নেই। আমাকে কাছে পেয়ে পিসি ভীষণ খুশি হয়েছে আর পিসির একাকীত্ব অনেকটা ঘুচেছে। আর আমি বাজার দোকান সহ বাড়ির প্রায় সব কাজই করি। এছাড়া পিসি পিসেমসাই দুজনেরই বয়স হচ্ছে, ডাক্তার ফাক্তার এর কাছে যেতে চাইলে আমিই নিয়ে যাই ওদের। আমার এখানে থাকাটা ওদের কাছে মানসিক ভাবে অনেক ভরসার জায়গা। তাই পিসি আর এখন আমাকে ছাড়তে চাইছেনা।

মাধ্যমিক পরীক্ষাটা অবশেষে ভাল ভাবেই মিটলো। পরীক্ষা খুব ভাল দিয়েছিলাম। ঠিক মাধ্যমিক পরীক্ষার পর পরই স্কুলের বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গেলাম দার্জিলিং। খরচা সব পিসিই দিল। দশ দিন খুব মজা করে বেরিয়ে ফিরে আসার পর শুনলাম ঠাকুমা নাকি পিসির সঙ্গে একদিন ফোনে খুব ঝগড়া করেছে।

ঠাকুমা বলে - আমাদের না জিগ্যেস করে কেন তুই ওকে দার্জিলিং যেতে দিলি? বেড়াতে গেছে ঠিক আছে কিন্তু আমাদের তো একবার জিগ্যেস করার দরকার ছিল। যতই হোক আমরাই তো ওর আসল গার্জেন।

কদিন পর থেকেই পিসি আমার পেছনে পরে রইলো, একবার যা... তোর ঠাকুমা তোকে দেখতে চাইছে... একবার যা। পিসি আমার মন খুব ভালই বোঝে, বুঝলাম ঠাকুমা খুব চাপ দিচ্ছে পিসির ওপর। শেষে একদিন পিসেমসাই আমার ওপর খুব রাগারাগি করলেন এসব নিয়ে। যাদের বাড়ি থাকছি তাদের চটানো ভাল মনে করলামনা আমি। আমার প্ল্যান উচ্ছমাধ্যমিক পরীক্ষার পরেও আর বাড়ি না ফেরা। মানে পিসির বাড়িতে থেকেই পড়াশুনা শেষ করা। তারপর এখান থেকেই একটা চাকরী জোগাড় করা। তাই পিসেমশাই এর মন রাখতে তিন চার দিনের জন্য বাড়ি যাব ঠিক করলাম। পিসি নিজেই বললো,

পিসি - এই সময় যা, এখন তোর মা বাড়ি নেই, তোর মেসোর বাড়ি বেড়াতে গেছে পিকুকে নিয়ে।

অবশেষে তিন দিনের জন্য বাড়ি ফিরলাম আমি। পিসির কাছে শুনেছিলাম মা নাকি প্রায় ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে আমাকে নিয়ে। বলেছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাটা হয়ে গেলে ওর সব তেজ আমি ভাংবো। এইটুকু ছেলের এত তে জ। এখন পড়াশুনোটা মন দিয়ে করছে বলে আমি কিছু বলছিনা। ওর মনসংযোগ নষ্ট করতে চাইনা। পরীক্ষাটা হয়ে গেলেই ওকে কান ধরে হির হির করে আমার কাছে টেনে নিয়ে আসবো। আগে যেমন সারাক্ষণ আমার পোঁ দে পোঁ দে মা মা করে ঘুরতো সেরকম আবার ওকে আমার পোঁ দে পোঁ দে ঘোরাব।

আসলে বাবা মারা যাবার পর স্বাভাবিক ভাবেই আমি মার ভীষণ নেওটা হয়ে পরেছিলাম। মা কে একদম চোখের আড়াল করতে চাইতামনা। মাও বাবা খুন হয়ে যাবার পর ভেতরে ভেতর আমার ওপর প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পরেছিল। নিজেই বুঝতে পারেনি কতটা। আমি একবছর বাইরে থাকাতে মা এখন বুঝতে পারছে আমার টান। এখন মন খারাপ করছে মার আমার জন্য। একদিন নাকি ঠাকুমার সঙ্গে ঝগড়াও করেছে, বলেছে

মা - আপনি বললেন বলেই ওকে পিসির বাড়ি পাঠালাম। পরীক্ষায় ফেল করলে করতো কিন্তু আমার ছেলে এরকম ভাবে পর হয়ে যেতনা।

ঠাকুমা নাকি আমার জন্য মার ছটফটানি দেখে মাকে বলেছে,

ঠাকুমা - তোমাকে কিছু করতে হবেনা বউমা ওকে কি করে বস মানতে হয় আমি জানি। এবাড়ির মেয়েরা জানে কি করে পুরুষদের ভেড়া বানিয়ে রাখতে হয়। ওর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাটা মিটতে দাও, ওর এমন অবস্থা করবো যে এবাড়ি ছেড়ে আর কোথাও যেতে পারবেনা।

আমাকে কাছে পেতে মার এই ছটফটানি আমি দারুন উপভোগ করছিলাম। আসলে মার বিয়েটাও নির্বিঘ্নে হয়ে গেছে। ছোটকা কে রোজ রাতে খাটে পেয়ে শরীরের জ্বা লাও মার এখন অনেকটা মিটেছে। সবচেয়ে বড় কথা বিয়ের প্রায় একবছর পার হয়ে গেছে। বিয়ের স্বাভাবিক লজ্জা টজ্যাও এখন অনেকটাই কেটে গেছে। তাই মা এখন ভেতরে ভেতরে আমাকে আবার ফিরে পাওয়ার জন্য এমন উতলা হয়ে উঠেছে। ভালই বুঝতে পেরেছে নিজের সুখের জন্য পেটের ছেলেকে ওই ভাবে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে দেওয়াটা ভাল কাজ হয়নি। এদিকে পিসি আমাকে পেয়ে টুকুন টুকুন করে সারা। পিসি আবার রসিয়ে রসিয়ে মাকে বলেছে,

পিসি - টুকুন আমাকে প্রচন্ড ভালবাসে, খালি বলে পিসি তোমার ছেলে নেই তো কি হয়েছে আমি তো আছি।

আমার ওপর পিসির টান দেখে মার ভেতরটা এখন জ্বলে পুরে খাক হয়ে যাচ্ছে। মনে মনে ভাবলাম মা নেই এই সময়ে আমি বাড়ি ঘুরে গেলে মা আরো খেপে যাবে। গ্রামের বাড়িতে তিন দিনের জন্য ফিরে এলাম। ঠাকুমা আমাকে দেখে খুব খুশি হল, বললো

ঠাকুমা - এসেছিস খুব ভাল করেছিস। তোকে কত দিন দেখিনি, জানি তুই আমাদের ওপর খুব রাগ করছিস।

আমি কিছু বললাম না। দেখলাম দুপুরে খাবার সময় ঠাকুমা আমার পছন্দের সব খাবার রেঁধেছে, যেমন পস্তোর বড়া, মোচার ঘণ্ট, বড়ি ভাজা এই সব টুকিটাকি জিনিস আরকি......আমার পছন্দের সব খাবার যা আমি ছোটবেলা থেকেই খেতে ভীষণ ভালবাসি। আমি কিন্তু বেশি কথা না বলে চুপচাপ সব খেয়ে নিলাম। ঠাকুমা আমার সাথে খানিক গল্প করার চেষ্টাও করছিল কিন্তু আমি এড়িয়ে যাচ্ছিলাম। ঠাকুমার কথায় যা হোক একটা ‘হ্যাঁ’ ‘না’ করে উত্তর দিচ্ছিলাম। তবে ঠাকুমা যে আমাকে নিয়ে মনে মনে কিছু একটা ফন্দি এঁটেছে সেটা বেশ বুঝতে পারছিলাম। পড়াশুনো না জানলে কি হবে ঠাকুমা যেমন মারাত্মক ধূর্ত তেমনি ঠাকুমার বিষয়বুদ্ধি। মনে মনে ভাবছিলাম তিনটে দিন যে ভাবেই হোক কাটলে বাঁচি। সেদিন রাতে ঠাকুমা বলে,

ঠাকুমা - তুই আজ তোর ছোটকার ঘরে ওর খাটে শো। তোর ছোটকা তো এখন তোদের ঘরে থাকছে। তাই ওর ঘরটা এখন ফাঁকাই পরে আছে। তবে তোর মা আর ছোটকা যখন নেই, তখন ইচ্ছে করলে তুই তোদের শোয়ার ঘরেও শুতে পারিস। আমি গম্ভির মুখে বললাম,

আমি - না আমি ছোটকার ঘরেই শোব।

আমি যে তিন ওখানে ছিলাম তার মধ্যে একদিন গ্রামের মন্দিরে কি যেন একটা পুজোর আরতি চলছিল। ঠাকুমা একদিন সেখানে বিকেলের দিকে গেল। আমাকে বলে গেল,

ঠাকুমা - দু তিন ঘণ্টা পরে ফিরবো, পিকু আর তোর মা নেই, বাড়ি একবারে ফাঁকা, বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাস না।

ঠাকুমা বেরিয়ে যেতেই আমি বাড়ির সদর দরজা বন্ধ করে দিলাম, তারপর মায়ের ঘরে ঢুকলাম। ভাবলাম দেখি মা কেমন সংসার করছে।

ঘরে ঢুকেই প্রথম যেটা চোখে পরলো সেটা হল ঘরটা আসম্ভব গোছান। আগের মত সেই অগোছাল ভাবটা আর এখন নেই। ঘরে একটা নতুন কাঁচের আলমারির আমদানি হয়েছে দেখলাম। সেটার মধ্যে নানা রকম পুতুল আর কাঁচের ঘর সাজানোর জিনিসে একবারে ভর্তি। আমাদের বিছানার দিকে গেলাম। বিছানায় নতুন চাদর লেগেছে দেখলাম আর বালিসগুলোর ওপরেও নতুন কভার পড়েছে। বিছানায় গিয়ে বসলাম আমি। এই বিছানাতেই এতদিন আমাকে নিয়ে শুত মা, আর এখন ছোটকা কে নিয়ে শোয়। অবশ্য আমাকে নিয়ে শুত বলা ভুল, মা আমাকে নিয়ে ঘুমতো, কিন্তু ছোটকাকে নিয়ে শোয়। কোন কোন দিন মার মেজাজ ভাল থাকলে লাইট নেবার পর মা আমাকে বুকে টেনে নিত। আমি মার গলার নিচে, মার দুটো মা ই এর মাঝের উপত্যকাটার ঠিক শুরুতে মুখ গুঁজে দিতাম। আর মা আমার চুলে আঙুল চালিয়ে চালিয়ে সুড়সুড়ি দিয়ে দিয়ে আমাকে ঘুম পারাতো। অবশ্য চুলে সুড়সুড়ি দেবার দরকার পরতো না, মার শরীরের ঘামের মিষ্টি গন্ধেই ঘুম পেয়ে যেত আমার।

আমি তো আর এখন এখানে নেই, মা এখন লাইট নিবলে ছোটকাকে কাছে টেনে নিয়ে ঘুম পারায়। মায়ের ওপর ছোটকার অধিকার অনেক বেশি। আমি তো শুধু মায়ের বুকে মুখ গুজে মায়ের শরীরের গন্ধ আর ভালবাসার ওম নিতাম। কিন্তু ছোটকা মার ব্লাউজ খুলে মার মা ই দুটোকে বার করতে পারে। ওগুলো কে নিয়ে খেলতে পারে, চ টকাতে পারে, ওগুলো কে চু ষতে পারে। মার মা ই বো টাতে ছোটকার জিভের ঘোরাফেরা দুজনকে কে যে শুধু তৃ প্তি সুখ দেয় তা নয় দুজনের মধ্যে ভালবাসার টানকে আর নিবিড় করে। আমি শুধু মার শরীরের ভালবাসার ওম পেতাম। কিন্তু ছোটকা মাকে নেং টো করতে পারে। তারপরে নিজেও পুরো নেং টো হয়ে মাকে বুকে টেনে নিতে পারে.... তারপর মার নেং টো শরীরের ওম বা মার নারী শরীরের স্বাভাবিক হি ট রাতভোর উপভোগ করতে পারে।

শীতকালে কখনো কখনো গভীর রাতে হটাত ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখতাম মা আমাকে পাশবালিসের মত জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। তবে বললাম না ছোটকার অধিকার মার ওপর অনেক বেশি। ঘুমনোর সময় ওরা ইচ্ছে করলে একে অপরের ওপর চাপতে পারে। কিন্তু আমি বা মা ইচ্ছে করলেও একে অপরের ওপর চাপতে পারতাম না।

ভগবানের কি লীলা খেলা। এই খাটেই একদিন মা বাবার সাথে ফুলশয্যা করেছে। আবার এই খাটেই মা ছোটকাকে নিয়ে ফুলশয্যা করলো। কত নাটক দেখেছে এই খাট। একদিন বাবার ঠা পনে এই খাটেই মা আরামে কেঁদে উঠেছে। আবার এখন ছোটকার ঠা পনে মা এখানেই কেঁপে কেঁপে ওঠে। এই খাটেই মার গু দ কত রাতে বাবার র সে ভিজে যেত, রোজ রাতে এখন যা ভরে ওঠে ছোটকার বী র্যে।

এই খাটেই একদিন বাবার ঔ র সে মা গর্ভ বতি হয়ে পরে। তার পর কত কষ্ট জন্ত্রনা সহ্য করার পর মা আমাকে এই খাটেই জন্ম দেয়। এই খাটেই শুয়ে শুয়েই মা একদিন মা ই দিত আমাকে। এই খাটেই আমি আসতে আসতে বেড়ে উঠি। আবার এই খাটেই আর কিছুদিনের মধ্যে ছোটকার বাচ্ছা প্রবেশ করবে মার পে টে। হয়তো এই খাটেই মা একদিন ছোটকার বাচ্ছাটার জন্ম দেবে। এক বছর পরে এই খাটে শুয়ে শুয়েই সেই বাচ্ছা একদিন মায়ের দু ধ খাবে।

মনটা খারাপ হয়ে গেল এসব ভাবতে ভাবতে। হটাত কি মনে করে খাটের তোষকের তলায় হাত দিলাম আমি। দেখি হ্যাঁ আমাদের আলমারির চাবিটা মা এখনো এইখানেই রাখে। কি মনে হতে চাবি দিয়ে আমাদের আলমারিটা খুলে ফেলি আমি। আলমারি খুলতেই চোখে পরে আমার জামাকাপড় বা অন্য কিছু এখন আর এই আলমারিতে নেই। ওইগুলো সব ছোটকার ঘরে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ওই জায়গা এখন নিয়ে নিয়েছে ছোটকার জামা কাপড় আর অন্য বেক্তিগত জিনিসপত্র। স্বাভাবিক...এখন তো মায়ের সংসার আলাদা। আমি আর এখন ওই সংসারের অংশ নই।


চলবে

পরবর্তী পর্ব পড়তে সবাই সাথেই থাকুন।

ধন্যবাদ






#গল্পঃ মায়ের প্রেম বিবাহ

#পর্বঃ ১৪

আলমারি খুলতেই চোখে পরে আমার জামাকাপড় বা অন্য কিছু এখন আর এই আলমারিতে নেই। ওইগুলো সব ছোটকার ঘরে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ওই জায়গা এখন নিয়ে নিয়েছে ছোটকার জামা কাপড় আর অন্য বেক্তিগত জিনিসপত্র। স্বাভাবিক...এখন তো মায়ের সংসার আলাদা। আমি আর এখন ওই সংসারের অংশ নই।

ভাল করে খেয়াল করে দেখি এই ঘরে আমার আর প্রায় কোন জিনিসই নেই। বুঝি শুধু জামাকাপড় নয় আমার সব জিনিসই ছোটকার ফাঁকা ঘরে চলান করে দেওয়া হয়েছে। আসলে আমি এই বাড়িতে আবার ফিরে এলেও আর তো এই ঘরে আমার জায়গা হবেনা। এখন যেরকম ছোটকার ঘরে আছি সেরকম এখানে ফেরার পরও আমাকে ছোটকার ঘরেই থাকতে হবে। মার শাড়ি সায়া বা সাল অবশ্য আগের মতই আলমারির অনেকখানি জায়গা জুড়ে রয়েছে।

চোখে পরলো মার পুরোনো শাড়িগুলোর সাথে সাথে আরো অনেকগুলো নতুন শাড়ি যোগ হয়েছে। বুঝলাম মা বিয়েতে এইগুলো পেয়েছে। এদিক ওদিক হাতরাতে হাতড়াতে চোখে পরলো একটা কাল প্লাস্টিকের প্যাকেটে অনেকগুল নি রো ধ এর প্যাকেট, সেই সাথে এক পাতা জন্ম নিয়ন্ত্রনের বড়ি। ওগুলো আবার যথাস্থানে রেখে দিলাম। আবার একটু হাতড়াতে হাতড়াতে চোখে পরলো সেই দুটো ছবির এ্যালবাম। একটাতে ছোটকার ছোটবেলাকার ছবিতে ভর্তি। জানি অন্যটা আমি মা আর বাবার ছবি রয়েছে। কি মনে করে আমাদের এ্যালবামটা একবার খুললাম।

না এটা সেটা নয়। এটা অন্যকোন এ্যালবাম অথবা আমাদের পুরোনো ছবিগুলো এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখানে এখন জায়গা নিয়েছে মা আর ছোটকার বিয়ের নতুন ছবিগুলোর। সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘুরে তাকালাম আমাদের আয়না লাগানো ড্রেসিংটেবিলটার দিকে। আগে যেখানে ড্রেসিংটেবিলটার ওপর একটা ছোট স্টানডিং ফটোফ্রেমে বাবা আর মার একটা জয়েন্ট ছবি রাখা থাকতো। দেখলাম সেখানে এখন ছোটকা আর মার জয়েন্ট ছবি। তবে দেখলাম ঘরের দেওয়ালে  বাবার একটা বেশ বড় ছবি টাঙানো হয়েছে যেটা আগে ছিলনা।

আমি মায়ের বিয়ের ছবিতে ভরা এ্যালবামটা নিয়ে খাটে এসে বসলাম। ভাবলাম দেখি মার আর ছোটকার বিয়ের ছবিগুলো কেমন উঠেছে? এ্যালবামটা খুলতেই একটা মোটা খাম বিছানায় এসে পরলো। খুলে দেখি ওটার ভেতরে এই এ্যালবামে থাকা আমি বাবা আর মার পুরনো ছবিগুলো রাখা রয়েছে। বুঝলাম বিয়ের পর যখন ফটোগ্রাফারের কাছ থেকে মার আর ছোটকার বিয়ের নতুন ছবিগুলো প্রিন্ট হয়ে এসে ছিল তখন হাতের কাছে ওগুলো কে রাখার জন্য আর অন্য কোন এ্যালবাম পাওয়া না যাওয়াতে আমাদের ছবিগুলো খুলে সেখানে ওই ছবিগুলো ঢোকানো হয়েছে। তারপর আমাদের পুরোনো ছবিগুলো একটা খামে ভরে রাখা হয়েছে, মানে পরে একটা নতুন এ্যালবাম কিনে সেখানে রাখা হবে। স্বাভাবিক... নতুন ছবির দাম সবসময় পুরোনো ছবির থেকে বেশিই হয়।

খাটে আরাম করে বসে আমি এ্যালবামটা ভাল করে দেখতে শুরু করি। মা আর ছোটকার বিয়ের নানা মুহূর্তের ছবি ধরা রয়েছে ওখানে। শুভদৃস্টি, কড়ি খেলার ছবি। মা আর ছোটকার গাঁটছড়া বাধার ছবি, আগুনকে ঘিরে সাত পাকে বাঁধা পড়ার ছবি। বিয়ের পিড়িতে মা বেনারসি পরে লজ্জ্যা লজ্জ্যা চোখে বসে রয়েছে, পাশে ছোটকা ধুতি পাঞ্জাবি পরে। মার মাথায় ছোটকার সিদুর দানের ছবিও রয়েছে। মায়ের বিয়েতে আমাদের কোন কোন আত্মীয়স্বজন এসেছিল তাও দেখলাম। সকলেরই ছবি রয়েছে। ও আচ্ছা আমাদের ছাতে তাহলে প্যান্ডেল বেঁধে খাওয়ানো হয়েছিল। আমাদের বাড়ির সামনে মাচা বেঁধে গেট করা হয়েছিল, টুনি দিয়ে পুরো বাড়ি লাইটিং করে সাজানো হয়েছিল তাহলে। মোক্ষদামাসির ছবিও রয়েছে দেখলাম, সেজে গুজে অতিথিদের তদারকি করছে যেন কত বড় হর্তাকর্তা। বঙ্কুও নেমতন্ন খেতে এসেছিল দেখলাম। আমার দিদিমা দাদু মামারা মামিরা মাসি মেসোমশাই পিসি পিসেমশাই সকলেই এসেছিল। শুধু আমিই নেই কোন পিকচারে।

অবশেষে মার ফুলশয্যার ছবিগুলো আসলো। আমাদের খাটটা রজনীগন্ধা আর নানা রকম ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। সেখানে একটা ছবি দেখলাম যেখানে ঠাকুমা বসে রয়েছে আর তারদুই পাশে মা আর ছোটকা। একটা ছবি রয়েছে মাকে জড়িয়ে ধরে ছোটকা আর ছোটকার বুকে মাথা রেখে মা একটু নাটুকে ভঙ্গিতে। আর একটা ছবিতে ছোটকা মার ঠোঁ টে ঠো ট ছুঁইয়ে রয়েছে। ছোটবেলা থেকে বিয়েবাড়ি এট্যেন্ড করার অভিজ্ঞতা থেকে জানি এগুলো বিয়ের ফটোগ্রাফাররাই নাটুকে ভঙ্গিতে তোলায়। পাতা ওলটাতে চোখে পরলো একটা ছবি যেখানে মা আর ছোটকা ঠাকুমাকে প্রনাম করছে আর ঠাকুমা দুজনের মাথায় হাত রেখে ওদেরকে আশীর্বাদ করছে। মন টা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল আমার। কেন যে ঠাকুমা আমার এমন শত্রু হয়ে গেল কে জানে। এ্যালবামটা আবার যথাস্থানে রেখে আলমারিটা তালা বন্ধকরে দিলাম।

ওদের ঘর থেকে বেরতে যাব এমন সময় হটাত কানে এল পিক পিক করে কোন একটা মোবাইলের রিং। কার মোবাইলরে বাবা এই ঘরে? কোথা থেকেই বা আসছে রিংটা? দেখি ড্রেসিংটেবিলের ওপরে একটা সামসাং এর ফোন রাখা রয়েছে। রিংটা বন্ধ হয়ে গেল। আমি মোবাইলটা হাতে নিলাম। মনে হয় ছোটকা নতুন কিনেছে এটা, মার মেসোর বাড়ি বেড়াতে যাবার সময় কোনভাবে ভুলে ফেলে গেছে। মোবাইলটা লক করা। কি হতে পারে পাসওয়ার্ড? কি মনে করে আঙুল দিয়ে ‘এন’ লিখলাম। মার নামের প্রথম অক্ষর নমিতার এন। দেখি মোবাইলের লক খুলে গেল। আমি ঘাঁটতে লাগলাম ফোনটা নিয়ে। ঢুকলাম পিকচার ফোল্ডারে। একটু ঘাঁটাঘাঁটি করতেই চোখে পরলো মার আর ছোটকার কতগুলো বেক্তিগত ছবি।

পুরো পিকচার ফোল্ডারটা মার নেং টো ছবিতে ভর্তি। একটা ছবিতে দেখি মা নেং টো হয়ে ঘুমিয়ে আছে আর মার তলপেট থেকে গু দ পর্যন্ত পুরো চ্যাট চ্যাট করছে ছোটকার হড় হড়ে বী র্যে। বোঝাই যাচ্ছে ঘুমিয়ে পড়ার আগে মা ছোটকার সাথে মি ল ন করেছে এবং ছোটকা মি ল নের শেষে মায়ের তলপেটে মনভরে বী র্য পাত করেছে।

আর একটা ছবিতে মা বিছানায় শুয়ে মোবাইল ক্যামেরার দিকে হাসি হাসি মুখ করে তাকিয়ে আর ছোটকা মায়ের একটা মা ই তে মুখ গুঁজে চোখ বন্ধ করে একমনে মার মা ই টানছে। বুঝলাম ছবিটা মা তুলেছে। আর একটা ছবি যেটা ছোটকা তুলেছে বলে মনে হল, ছোটকা বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে রয়েছে আর মা ছোটকার দুপায়ের ফাঁকে হামাগুড়ি দিয়ে ছোটকার নু নু চু ষ ছে। পরের ছবিটা আরো ভয়ঙ্কর, ছোটকা মাকে আধ নেং টো অবস্থায় জড়িয়ে ধরে বসে রয়েছে আর মার মুখ হাঁ করা, স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মার মুখ একটা সাদা থক থকে আঠালো র সে ভর্তি। বুঝলাম মার মুখ ছোটকার বী র্যে ভর্তি। এর পরের ছবিতে মা দু পা ফাঁক করে বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে রয়েছে আর মার দুপায়ের ফাঁকে ছোটকা হামাগুড়ি দিয়ে মায়ের গু দ চু ষ ছে।

এছাড়া ফোনের পিকচার ফোল্ডারটা প্রায় পুরোটাই মার নানা রকমের ক্লোজআপ শরীরিক ফটোতে ভর্তি। মায়ের নি পি লের ফটো, মায়ের গু দের পাপড়ির ফটো, মায়ের হাঁ করা মুখের ফটো, মার নরম ঠোঁ ট দুটোর ফটো, মায়ের মা ই য়ের নানারকম অ্যাঙ্গেলের ফটো। অনেক ছবিতে মা ঠো ট ফুলিয়ে ক্যামেরার দিকে চু ম্ব নের উ ত্তে জক পোজেও রয়েছে। এছাড়া প্রচুর ছবি রয়েছে মার কাপড় ছাড়ার, চান করে বুক অবধি তোলা ভিজে সায়া পরে ঘরে আসার। অবশ্য শুধু আধ নেং টো ছবি নয়, মার রান্না করার, শোয়ার ঘরের বিছানা করার বা ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চুল আচরানোর মত অনেক আপাত নিরিহ ছবিও অনেক রয়েছে ফোল্ডারে।

এরকমই একটা আপাত নিরিহ ফটো মনে ভীষণ দাগা দিয়ে গেল। ছবিটা আমাদের শোয়ার ঘরে তোলা। ছোটকা মেঝেতে বসে মার বু কে মাথা রেখে টিভি দেখছে আর মাও মেঝেতে বসে ছোটকাকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে অন্য হাতে পাশে রাখা ভাতের থালা থেকে ভাত মেখে ছোটকা কে খাওয়াচ্ছে।

কি মনে হতে ফোন ক্যামেরার ভিডিও ফোল্ডারে গেলাম। কয়েকটা লম্বা লম্বা ভিডিওর সাথে কয়েকটা ভীষণ ছোটছোট ভিডিও রয়েছে দেখলাম। লম্বা লম্বা ভিডিওগুলো বেশির ভাগই মায়ের বিয়ের সময়ের। প্রথমে ছোটছোট ভিডিওগুলো চালাতে লাগলাম আমি। একটাতে মা আর ছোটকা ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে একে অপরের ঠোঁ ট চু ষ ছে, কিছুক্ষণ ঠো ট চো ষার পর ছোটকা হটাত মোবাইল ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলে,

ছোটকা - দেখ দাদা তোর বউ খা চ্ছি।

আর একটাতে ওরকম দুজনেই ক্যামেরার দিকে হাসিহাসি মুখ করে তাকিয়ে রয়েছে কিন্তু ছোটকা অসভ্যের মত মার মা ই টিপছে।

ছোটকা বলে - এই বউদি তোমাকে যেটা বলতে বললাম সেটা ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বল?

মা তখন ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বললো,

মা - ও গো দেখ তোমার ভাইটা আমার মা ই দুটোকে নিয়ে কি অসভ্যতাই না করছে, ইস মনে হচ্ছে যেন ময়দা মাখছে।

বোঝাই গেল বাবাকে উদ্দেশ্য করে কমেন্ট করা এই ভিডিওগুলো ছোটকার পিড়িপিড়িতেই তোলা।

শেষ একটা ভিডিও তে গিয়ে চোখ আটকে গেল। মা তুলেছে ভিডিওটা। মা বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে এক হাত নিজের থেকে দুরে রেখেছে, বোঝাই যাচ্ছে মোবাইল ক্যামেরাটা মায়ের ওই হাতে, মায়ের শরীরের ওপর ছোটকা উবুর হয়ে শুয়ে। ছোটকা ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে জোরে জোরে ঠা প দিচ্ছে মাকে। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলছে,

ছোটকা - ই স এখনো কি টাইট দাদা তোর বউটার গু দ টা, কে বলবে এক বাচ্ছার মা।

ছোটকার ঠা প খেয়ে মা কেঁ পে কেঁ পে উঠছে আর সেই সাথে হাত কেঁ পে যাওয়ায় ভিডিওর ছবিও কাঁপছে। মা মুখ কুঁচকে মুখে ব্যাথার ভঙ্গি এনে ছোটকা কে বলছে,

মা - উ ফ অসভ্য কোথাকার... বাঁ ড়া টা একবারে আমার বাচ্ছাদানি পর্যন্ত ঢু কিয়ে গুঁ তো চ্ছে।

ছোটকা বলছে - বল বউদি কে বেশি ভাল দিতে পারে দাদা না আমি?

মা কিছুতেই বলবে না কে সেরা। মি ল নের একবারে শেষের দিকে ছোটকা যখন মাকে প্রায় পাগলের মত খুঁ ড় ছে... মনে হচ্ছে যেন আজই মাকে নিজের বাঁ ড়া দিয়ে একবারে দুআধঘানা করে ফেলবে... তখন মা ছোটকার কথায় স্বায় দিতে বাধ্য হল যে এ খেলায় ছোটকাই সেরা। অবশেষে মায়ের য নি তে ছোটকার গদ গদিয়ে বী র্য পাত। তারপর ছোটকা ক্যামেরার দিকে হাসি হাসি মুখ করে তাকিয়ে নিজের দুটো আঙ্গুল ভি এর মত ফাঁক করে বলে

ছোটকা - দাদা অবশেষে তোর বউ স্বীকার করতে বাধ্য হল চো দ নের এই প্রতিযোগিতায় আমিই সেরা। তারপর মা কে বলে -আরেকবার বল নমিতা নিজের মুখে।

মা হাঁফাতে হাঁফাতে বললো - হ্যাঁ বাবা হ্যাঁ... একাজে তুমিই সেরা...হয়েছে তো...নাও এখন ছাড়... আমি বাথরুমে যাব।

ছোটকা বলে - না ওরকম ভাবে নয়।

মা বলে - উ ফ ...বাবা... তাহলে কি রকম ভাবে বলতে হবে?

ছোটকা বলে বল - তোমার একনম্বর স্বামীটা ভাল চো দে না দু নম্বর স্বামীটা ভাল চো দে।

মা বলে - উ ফ বাবা আর পারিনা তোমাকে নিয়ে, তিন বছর হতে চললো ও মারা গেছে তা সত্বেও ওর সাথে এখনো কম্পিটিসন করবে। তুমি কি দিন দিন পাগল হয়ে যাচ্ছ নাকি?

ছোটকা তাড়া দেয় বলে - কি হল বল?...ভিডিওটা বড় হয়ে যাচ্ছে যে, শেষে মোবাইলের সব স্পেস শেষ হয়ে যাবে।

মা তখন ছোটকা কে নিরস্ত করতে বলে,

মা - হ্যাঁ বাবা হ্যাঁ... আমার দ্বিতীয় বরটাকে চু দে ই আমি সবচেয়ে বেশি আরাম পাই।

ছোটকা তখন ক্যামেরার দিকে চেয়ে বলে,

ছোটকা - দেখ দাদা আমার আসধারন বিছানা পারফরমেন্সের ফলেই তোর বউ এটা মেনে নিতে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হল। এখন পুরস্কার স্বরুপ তোর বউ পাক্কা আধঘণ্টা ধরে আমার নু নু চু ষে দেবে।

এবার ক্যামেরা কেপে উঠলো। বোঝাই গেল ক্যামেরার হাত বদল হল। ক্যামেরা এখন ছোটকার হাতে। ছোটকা ক্রিকেট কমেন্টেটারি করার ঢঙ্গে বলে উঠলো এবার আমার নমিতা সো না আমার নু নু চু ষ ছে। ক্যামেরায় দেখা গেল মা ছোটকার নু নু তে মুখ দিয়ে আইস্ক্রিমের মত চু ষ ছে। চ কাস চ কাস শব্দে মা কে ছোটকার নু নু চু ষ তে দেখা গেল। ছোটকা মায়ের মাথার চুলে হাত বলাতে বোলাতে বললো,

ছোটকা - বল বউদি কার নু নু টা বেশি বড় আমার না দাদার? কার নু নু টা খেতে ভাল আমার না দাদার? কার মা ল টা বেশি ঘন আমার না দাদার?

মা ছোটকা কে নিরস্ত করতে নু নু চু ষ তে চু ষ তেই মাথা নেড়ে বললো,

মা - হ্যাঁ এই নু নু টাই সব চেয়ে ভাল।

মার মুখে ছোটকার নু নু থাকায় মা ঠিক কি বলছে তা স্পষ্ট শোনা না গেলেও বোঝা গেল মা ওই কথাই বললো।


#চলবে

৫০ টা লাইক হলেই সাথে সাথে পরবর্তী পর্ব দিয়ে দিব।

ধন্যবাদ







#গল্পঃ মায়ের প্রেম বিবাহ

#পর্বঃ ১৫

মার মুখে ছোটকার নু নু থাকায় মা ঠিক কি বলছে তা স্পষ্ট শোনা না গেলেও বোঝা গেল মা ওই কথাই বললো। বেশ বুঝতে পারলাম এই ধরনের নং রা ভিডিও তোলার আসল উদ্দেশ্য। বাবাকে উদ্দেশ্য করে এধরনের কমেন্ট আসলে মার প্রতি ছোটকার কা ম কে আরো বাড়িয়ে তোলে। সে ক্সে র ব্যাপারে ছোটকা যে কি রকম নং রা তা তো আমি আগে থেকেই জানতাম। মজার ব্যাপারটা হচ্ছে এই ছোটকা কিন্তু ছোটবেলায় বাবার খুব নেওটা ছিল। বাবা বেঁচে থাকতে মা কেও কোনদিন বাবাকে অশ্রদ্ধা করতে দেখিনি। জানি মা মনে মনে আজও বাবাকে ভালবাসে। কিন্তু বাবা যখন আর বেঁচে নেই তখন একটু নং রা মো করতে দোষ কোথায়...আর বিশেষ করে যদি তাতে নিজেদের সে ক্স টা অনেকটা বাড়ানো যায়? বাবা তো আর স্বর্গ থেকে নেমে এসে দেখতে যাচ্ছেনা যে তার নিজের ভাই আর তার নিজের বউ তাকে নিয়ে কি রকম নং রা যৌ ন খেলা খেলছে।

আর দেখতে পারলাম না আমি। মোবাইলটা আবার যথাস্থানে রেখে মায়ের শোবার ঘর থেকে বেরিয়ে গেলাম। মনে হল ওদের বিবাহিত জীবনের এই চরম বেক্তিগত মুহূর্তগুলো ছেলে হয়ে আমার না দেখলেই হয়তো ভাল হত। এগুলো ওরা ওদের দাম্পত্য জীবনের যৌ ন তা উপভোগ করার জন্য তুলেছে, আর কারো এগুলো দেখা উচিত নয়। একটা কথা কিন্তু বার বার মনে হতে লাগলো আমার। ছোটকা কে বিয়ের পর থেকে মা যেন অনেক পালটে গেছে। আমার গম্ভির গিন্নিবান্নী মা বিয়ের পর এরকম নির্লজ্জ্য আর বেহায়া কি করে হয়ে গেল সেটাই ভাবছিলাম।

তবে একটা ব্যাপার ভাল হল গ্রামে এসে, অনেকদিন পর খেলার মাঠে আবার বঙ্কুর সাথে দেখা হল। ওকে বললাম

আমি -খবর কি রে? কিছু ‘শনশনি খেজ’ খবর আছে তো দে?

বঙ্কু বললো - আছে রে বাবা আছে, তোর জন্য একটা নয় দু দুটো ভয়ানক শনশনি খেজ খবর আছে। তার মদ্ধ্যে একটা খবর খুবই মারাত্বক।

আমি বললাম - কি খবর রে?

বঙ্কু বললো - এখানে নয়, চল আমাদের বাড়ি, সেখানে কথা হবে।

গেলাম ওদের বাড়ি। বঙ্কু কাঁচালঙ্কা তেল আর নারকোলের কুচির সহযোগে একবাটি মুড়ি মাখা আমাদের মাঝে নিয়ে বসলো। হাত মুখ আর গল্প দুটোই সমানে চলতে লাগলো আমাদের। যাই হোক একথা সেকথা নানারকম আলোচনার পর ওকে বললাম,

আমি - এবার শনশনি ‘খেজ’ খবরগুলো দে।

বঙ্কু মিচকি হেসে বলে - খুব শিগগিরি তোর মায়ের আবার কোল ভরতে চলেছে রে।

আমি বললাম - মানে?

বঙ্কু হেসে বলে - তোর মায়ের পেটে আবার খোকোন আসছে।

খবরটা শুনেই মেজাজটা প্রথমে একটু খিঁচরে গেল। মা আমাকে ফিরে পাবার জন্য যতটা উতলা হয়ে উঠেছে বলে ভেবেছিলাম ততটা বোধহয় নয়। নিজের কোলে আবার বাচ্ছা এলে তখন স্বাভাবিক ভাবেই আর আমার প্রতি অত টান থাকবেনা। নিজের কোলের বাচ্ছাকে খাওয়ানো, পরানো , ঘুমপারানো এসব নিয়েই সারাদিন ব্যাস্ত হয়ে পরবে। তখন আমার জন্য মনখারাপ ভাবটা আস্তে আস্তে অনেক কমে যাবে। তারপর মনে মনে ভাবলাম এতে আমি এত রেগে যাচ্ছি কেন? এরকমতো হবারই ছিল। মার বিয়ে হল, নুতুন স্বামী হল, নতুন সংসার হল, তারপর পেটে বাচ্ছা তো আসারই কথা। ওরা ওদের যা ইচ্ছে তাই করুক। আমি তো এবাড়িতে আর কিছুতেই ফিরছিনা, আমি তো ঠিকই করে নিয়েছি যে পিসির বাড়িতে থেকেই কলেজে পড়বো আর চাকরির চেষ্টা করবো।

আমি বললাম - তুই কি করে জানলি?

বঙ্কু বললো - মা চম্পা মাসির সাথে গল্প করছিল আমি যথারীতি শুনে ফেলেছি। দুমাস আগে থেকে তোর মার মা সি ক বন্ধ।

আমি বললাম - কিন্তু মোক্ষদা মাসি এসব জানলো কি করে?

বঙ্কু বলে - তোর মা তো সব কথা আমার মাকে বলে। আর আমার মার তো এসব বাপারে খুব ইনটারেস্ট। এমন কি রাতে পিকুদার সাথে কি কি হয় সেসব নিয়েও ওদের মধ্যে হাসাহাসি ঠাট্টা ইয়ার্কি এসব হয়। আমার মা আবার তোর মাকে বুদ্ধি দেয়, বলে বউদি এটা বিছানায় কোর, এটাতে খুব মজা হয়, ওইভাবে ঢু কিও, ওভাবে ঢু কি য়ে খুব সুখ।

আমি বললাম - বাপরে... বিয়ের তো মাত্র একবছর হয়েছে এর মধ্যেই ছোটকা মা কে প্রেগ ন্যা ন্ট করে দিল।

বঙ্কু বললো - তোর ছোটকা প্রেগ ন্যা ন্ট করে দিল কি বলছিস... তোর মাই ছোটকাকে ভুলিয়ে বাচ্ছাটা বার করে নিল।

আমি বললাম - মানে?

বঙ্কু বলে - তোর ছোটকা তো তোর মাকে নিয়ে এখন পুরো পাগল। আমার মাকে বলেছে “মোক্ষদাদি নমিতার বাচ্ছা হলে সাত আট মাস ওকে না করে থাকবো কি করে? আমার এখন আর বাচ্ছা ফাচ্ছা চাইনা বাবা। ওকে আমি একদিন না করে থাকতে পারিনা তো সেখানে সাত আটমাস ওসব ছেড়ে থাকবো কি করে? ওর গু দের নেশা আমার এমন ধরেছে মোক্ষদাদি যে কি বলবো তোমাকে”। এদিকে বয়েসের জন্য তোর মা আর দেরি করতে চাইছিলনা।

দুমাস আগে আমার মা তোর মাকে একবার জিজ্ঞেস করেছিল - বউদি তুমি কি আবার বাচ্ছা টাচ্ছা নেবে ঠিক করেছো।? তোর মা বলেছিল, “কাউকে বোলনা মোক্ষদা, আমি ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি, আর তোমার দাদা জানেনা। সে বেচারা তো সকালে বিকেলে মনের সুখে আমার ভেতর ঢালছে। দেখি কি হয়? আমার বয়সোতো বাড়ছে তাছাড়া দু বছর পর উচ্চ্যমাধমিক পরীক্ষা হয়ে গেলে টুকুনকেও আবার ঘরে এনে তোলার ইচ্ছে আছে। ও আসার আগেই আমার বাচ্চাটা হয়ে গেলে ভাল হয়। আসলে টুকুনের বিয়েটাও তাড়াতাড়ি দিয়ে দেবার ইচ্ছে আমার। ওর বাচ্ছা আর আমার বাচ্ছা কোনভাবে একসঙ্গে হয়ে গেলে দুটো পুঁচকি কে একসঙ্গে সামলাব কি করে? আমারটা তাড়াতাড়ি হয়ে গেলে টুকুনের যখন বাচ্ছা হবে তখন আমারটা একটু বড় হয়ে যাবে, আমার সামলাতে সুবিধে হবে। আমি তাই যত তাড়াতাড়ি পারি একটা বাচ্ছা করতে চাইছি”। মা তখন তোর মাকে বলে “পিকু তো এখন আর বাচ্ছা চাইছেনা বললো, তাহলে তুমি আবার যেচে ঝামেলা নিচ্ছ কেন? তোর মা বলে “তুই এত বুঝিস আর এটা বুঝিস না। পিকুর বয়স কম, যত তাড়াতাড়ি পারি ওকে একটা বাচ্ছা দিয়ে আমার সাথে বেঁধে ফেলতে না পারলে পরে সামলান মুস্কিল। জানিসই তো পুরুষ মানুষের মন আর কুত্তার ধ ন দুটোই সমান।

আমি বললাম - আমার মা তোর মাকে কি বলছে... ছোটকা সকালে বিকেলে মায়ের ভেতর ঢালছে... উ ফ তাহলে এই একবছরে খুব সে ক্স করেছে ওরা বল?

বঙ্কু বলে - জানিস মা চম্পা মাসিকে একদিন বলছিল “বউদির ভেতরে ভেতরে যে এত সে ক্স প্রথমে আমিতো বুঝতেই পারিনি। বিয়ের পর বউদি এখন বে শ্যা রও অধম হয়ে গেছে, যখন পারছে ছোড়দা কে নিয়ে ঘরে ঢুকে ছিটকিনি তুলে শুরু করে দিচ্ছে। আগে আমি একটু নং রা নং রা কথা বললে আমার ওপর রেগে কাঁই হয়ে যেত আর এখন সেই বউদির মুখেই খালি নং রা নং রা কথা। আমার সাথে দিনরাত যে এত গল্প করে সে খালি লাগানোর গল্প”। জানিস মা আরো বলছিল “এই বউদি একদিন টুকুনের সামনে বিয়ের পিঁড়িতে কি ভাবে বসবো, কিভাবে ওর সামনে ফুলশয্যা করবো, কি ভাবে টুকুনের সামনে পিকুর বাচ্ছা পেটে নেব, এসব ভেবে ভেবে লজ্জ্যায় অস্থির হচ্ছিল আর এখন যা অবস্থা তাতে টুকুন বাড়ি ফিরলে টুকুনের সামনেই না বরকে জড়িয়ে ধরে বরের সাথে দ স্যি পনা শুরু করে দেয়। জানিস সেদিন রান্না ঘরে নিজের শাশুড়ির সামনেই বর কে জড়িয়ে ধরে গালে চু মু দিয়ে দিল। আসলে ওর শাশুড়ির পশ্রয়েই এরকম নির্লজ্জ্য হয়ে উঠেছে। ভাব কেমন শাশুড়ি, যে শাশুড়ি হয়ে বউকে পরামর্শ দিচ্ছে বউমা পুরুষ মানুষের মন বড় ছুকছুকে হয়, ওই জন্য রোজ নিয়ম করে দুইয়ে নিয়ে তারপর বাড়ির বাইরে ছাড়বে। আসলে বাঘিনি রক্তের স্বাদ পেয়ে গেলে এরকমই হয়”। ভালই হয়েছে এখন তুই পিসির বাড়ি গিয়ে থাকছিস, এখানে থাকলে তুই এসব সহ্য করতে পারতিস না।

আমি বললাম - সত্যি যা মারাত্বক খবরটা দিলি তুই, এবার দ্বিতীয় খবরটা বল।

বঙ্কু মুচকি হেসে বলে - এটা মারাত্বক খবর নয়। মারাত্বক খবর হল দ্বিতীয়টা।

আমি ঘাবড়ে গিয়ে বলি - এর থেকেও মারাত্বক। কি বলছিস রে তুই? আমার তো শুনতেই ভয় করছে রে। বঙ্কু মুখটা একটু গম্ভির করে বলে,

বঙ্কু - খবরটা সত্তিই ভয় পাবার মত রে। তারপর ফিক করে আবার হেসে ওঠে।

আমি ওকে বলি - নকশা ছাড়, খবরটা তাড়াতাড়ি বল।

বঙ্কু হেসে বলে - শুনে ভয় পেয়ে যাসনা যেন। তুই যদি ভয় পেয়ে যাস, তাহলে থাক আজ আর তোকে শুনতে হবেনা।

আমি বলি - নাটক করিসনা বঙ্কু তাড়াতাড়ি বল।

বঙ্কু বলে - তোর মেজকাকি একদিন এসেছিল তোদের বাড়ি।

আমি অবাক হয়ে বললাম - মেজ কাকি আবার কি করতে এসেছিল আমাদের বাড়িতে?

বঙ্কু বলে - তোর মেজকাকির নামে আমাদের গ্রামে তোদের যে জমিজমা আছে তা তোর ঠাকুমার কাছ থেকে ফেরত চাইতে এসেছিল। জমির কাগজপত্র দলিল ফলিল সব তোর মেজকাকির নামে থাকলেও তোর ঠাকুমা কিছুতেই ওই জমির দখল ছাড়তে চাইছেনা। এবছরো তোর ঠাকুমা ওই জমিতে চাষ করাচ্ছে। তোর মেজকাকি এসে ছিল তোর ঠাকুমাকে কোর্টে যাবার হুমকি দিতে।

আমি বললাম - ভালই হয়েছে, মেজকাকিই এবার ঠাকুমাকে টাইট দেবে।

বঙ্কু বলে - আগে শোন তারপরে কি হল?

আমি বলি - বল বল।

বঙ্কু - তোর ঠাকুমার সাথে খুব একচোট কথা কাটাকাটির পর তোর মা ঝুমা বউদি কে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে অনেক বুঝিয়েছে। তারপর তোর মেজকাকি জমি ফেরত তো আর চায়ইনি উল্টে সামনের মাস থেকে তোদের বাড়িতে এসে আবার একসঙ্গে থাকবে বলেছে।

আমি বঙ্কুর কথা শুনে সত্যি অবাক হয়ে গিয়ে বঙ্কুকে বললাম,

আমি - মেজকাকির মত ডাঁটিয়াল মেয়েছেলেকে যাকে ঠাকুমা কোনদিন সামলাতে পারেনি তাকে মা এমন কি বোঝালো যে মেজকাকি একবারে আমাদের বাড়ি এসে থাকতে রাজি হয়ে গেল। ঠাকুমার সাথে ঝগড়া করে বাড়ি ছাড়ার সময় মেজকাকি তো বলে গিয়েছিল যে এজীবনে আর এবাড়িতে ফিরবো না।

বঙ্কু হেসে বলে - তোর মার সাথে তোর মেজকাকির ডিল হয়ে গেছে। এমনিতেও আমার মার কাছে শুনেছি তোর মার সাথে তোর মেজকাকির রিলেসান খুব ভাল ছিল। তোর মাকে ঝুমা বউদি নিজের দিদি বলে মানতো।

আমি বললাম -হ্যাঁ সে কথা ঠিক। কিন্তু কি এমন ডিল করলো মা মেজকাকির সাথে।

বঙ্কু মুখ গম্ভির করে বলে - এমন একটা জিনিস অফার করেছে তোর মা যে তাতেই তোর মেজকাকি কাত। এমনকি তোর ঠাকুমার ওপর সব রাগও গলে জল।

আমি বললাম - কি অফার করেছে মা মেজকাকিকে জানিস তুই?

বঙ্কু বলে - জানি তো।

আমি বললাম - তাহলে হারামিগিড়ি করছিস কেন, বলনা তাড়াতাড়ি।

বঙ্কু ফিক করে হেসে বলে - তোর মা তোকে অফার করেছে তোর মেজকাকির কাছে।

আমি বলি - মানে?

বঙ্কু বলে - তোর মা বলেছে - ঝুমা তুই আমার টুকুনকে নে। আমি যেমন সব দুঃখ ভুলে পিকুকে খাটে তুলে নতুন সংসার শুরু করেছি। তেমন তুইও সব দুঃখ ভুলে আমার টুকুনকে খাটে তুলে নতুন জীবন শুরু কর। এভাবে নিজের জীবনটা নষ্ট করিস না। আয় আবার আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে থাকা শুরু করি। আবার বিয়ের কথা শুনে তোর মেজকাকিও নাকি একপায়ে খাড়া। বলেছে - দিদি তুমি মন থকে বলছো টুকুন কে আমার হাতে তুলে দেবে, না আমার জমিজমার জন্য বলছো? তোর মা নাকি বলেছে - নারে ঝুমা আমি একবারে মন থেকে বলছি। সামান্য জমি জমার জন্য কেউ কি নিজের পেটের ছেলেকে অপরের হাতে তুলে দেয়। তোর মেজকাকি এর মধ্যে আরো একদিন এসেছিল নিজের বাবাকে নিয়ে পাকা কথা বলতে। এদিকে আমার মা তো যথারীতি আবার শুরু করে দিয়েছে। ঝুমা বউদিকে একলা পেয়ে বলেছে - বউদি রাজি হয়ে যাও। বড় বউদি পিকুকে খেয়ে দারুন মজা পাচ্ছে, খুব খুশি এখন, টুকুনকে ভো গ করে তুমিও খুব সুখি হবে। কম বয়সি ছেলেদের ভো গ করার মজাই আলাদা। তোর মেজকাকি তো সামনের মাস থেকেই চলে আসছে তোদের বাড়িতে। তোর মা কথা দিয়েছে তোর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হয়ে গেলেই তোকে এবাড়িতে এনে তুলে তোর সাথে তোর মেজকাকির বিয়ে দিয়ে দেবে।


#চলবে

পরবর্তী পর্ব পড়তে সবাই লাইক ফলো দিয়ে সাথে থাকুন।

ধন্যবাদ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area