Type Here to Get Search Results !

৩৩ বছরের ব্যবধানে ভালোবাসা ( পর্ব ২ )


 #গল্পঃ ৩৩ বছরের ব্যবধানে ভালোবাসা

#পর্বঃ ২

পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখি দাদি কয়লা দিয়ে দাঁত মাজতেছে। আমিও দাদির কাছে গিয়ে কথা বলা শুরু করলাম,

- এতো সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়ছো বুবু?

বলে রাখা ভালো আমি ছোট থেকেই দাদিকে বুবু বলে ডাকি। দাদিও দাঁত মাজতে মাজতে বলল,

- সকাল সকাল উঠেও তো কাম কাজ শেষ করতে পারি না।

আমি দাদির বুকের ঝুলে থাকা দু ধে র দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলি,

- দুই দুইটা ছেলের বউ তয়াও এত কাজ করতে যাও কেন?

দাদি আমার তাকানো দেখে বুকের উপরে কাপড়টা টেনে দু ধ দুটি ঢেকে দিল। যদিও কাপড় এর উপর দিয়ে দু ধে র সাইজ সহজেই অনুমান করা যায়। দাদি আমার কথা শুনে বলল,

- ছেলের বউদের সংসারের প্রতি কোনো নজর নাই। আমি না থাকলে বুঝবো সংসার চালায়তে কেমন লাগে।

আমি দাদির পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে বললাম,

- কাকিদের সংসার নিয়ে চিন্তা নাই তাহলে তুমি এত কাজ করতে যাও কেন? দাদা এখনো বেচে আছে আমুদ ফুর্তি করে সময়টা পাড় করো।

দাদি আমার কথা শুনে মুচকি হেসে বলে,

- আমুদ ফুর্তি করার বয়স তো গেছেই গা! এখন আর তোর দাদা থাকলেই কি হয়বো।

আমি দাদির বুকের দিকে তাকিয়ে বললাম,

- এখনো তোমার যে অবস্থা, দাদা ঠিক করে যত্ন নিলে গাছে ফল ধরতে বেশি সময় লাগতো না।

দাদি আমার কথা বুঝতে পেরে মুচকি মুচকি হেসে বলল,

- তুই তো দেখি ফাজি হয়ে গেছস।

আমিও হেসেই বললাম,

- সত্যি কথা বলে এখন আমি ফাজি হয়ে গেছি। দাদা যদি এখনো একবার বিছানা কাঁপায় তাহলেই তো নতুন অতিথির মিষ্টি খাওয়ায়তে হবে।

দাদি অনেক লজ্জা পেয়ে বলল,

- হয়ছে বুঝছি, তুই অনেক কথা বলতে শিখে গেছস।

বলে দাদি পুকুরে মুখ ধুইতে চলে গেল। আমিও মুখ ধুয়ে প্রাইভেট পড়তে চলে গেলাম। চলেন আমি আপনাদের আমার পরিচয় দেয়, আমি রাকিব। বয়স ২২ ডিগ্রিতে পড়তেছি। কলেজে পড়লেও এখনো কারো সাথে প্রেম করার সুভাগ্য হয়নি। হয়তো শ্যামলা বলে কোনো মেয়ের নজর পড়েনি আমার উপর। তবে আমার নজর ঠিক এই পড়ছে আমার দাদির উপর যে কিনা আমার থেকে ৩৩ বছরের বড়।

প্রাইভেট থেকে বাড়িতে এসে দেখি কারেন্ট নাই। বাধ্য হয়ে লুঙ্গী পড়ে ফোন নিয়ে পুকুর পাড়ে চলে গেলাম। অনেক শীতল বাতাস ভয়ে যাচ্ছে গাঁ গেসে। একটু পড়ে দেখি হাতপাখা হাতে দাদিও এসে আমার কাছে একটা গাছে গুড়ায় বসলো। দুজনেই চুপচাপ বসে আছি। নিরবতা ভেঙে দাদিয় প্রথম বলল,

- না জানি মোবাইলে কার বাড়ির ছেরির সাথে প্রেম করতাছস।

দাদির এমন কথা শুনে ফোন টিপা রেখে হেসে বললাম,

- আমি করবাম প্রেম! আমি প্রেম করলে তো আগে তোমার সাথে প্রেম করতাম।

আমার কথা শুনে দাদি হাসতে হাসতে বলল,

- আমার মতো বুড়ির সাথে প্রেম করে আর কি হয়বো।

দাদির কথা শুনে লুঙ্গীর ভিতরে আমার ঘুমন্ত সাপটা জাগতে শুরু করলো। আমিও লুঙ্গী ঠিক করতে করতে বললাম,

- বুড়ি কইতাছো কারে? এখনো তোমার যে তেজ, ঠান্ডা করতে গেলে দাদার হিমসিম খায়তে হয়বো।

দাদি লজ্জা পেয়ে বলল,

- তুই অনেক অসভ্য হয়ে গেছস।

আমিও বনিতা না করে বললাম,

- মহাপুরুষেরা বলে গেছেন "খাইতে মজা মুড়ি, করতে মজা বুড়ি"!

দাদি আমার কথায় লজ্জা পেয়ে উঠে পড়লো। যেতে যেতে বলে গেল,

- তোর ধারো আর থাকা যায়তো না।


#চলবে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area