Type Here to Get Search Results !

সুখ নাকি ধর্ম ( পর্ব ২ )


 #গল্পঃ সুখ নাকি ধর্ম 

#পর্বঃ ২

দু তিন দিন পরে একদিন দুপুরে স্নান করে ছাদে সিগারেট খেতে গেলাম। গিয়ে দেখি, কবির মির্জা গোসল করে এক বালতি জামা কাপড় নিয়ে ছাদে মেলতে এসেছেন। অবাক হয়ে দেখি, উনি নিজের জামা কাপড় জাঙ্গিয়ার সঙ্গে মায়ের শাড়ি, শায়া, ব্রা প্যান্টি সব কেচেছেন। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,

- মা আপনাকে এগুলো ধুতে দিলো।

উনি মুচকি হেসে বললেন,

- প্রথমে রাজি হয়নি তোমার মা, আমি জোর করেই রাজি করিয়েছি।

এই বলে উনি ওগুলো সব মেলে দিলেন তখন আমি বললাম,

- আপনার কাছে হাজার দশেক টাকা হবে?

আমার কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই উনি বললেন,

- আরে হবে না কেনো! তুমি সিগারেট শেষ করে নিয়ে যেও

বলেই উনি তার রুমে চলে গেল। কবির মির্জার সাথে আমার আলাদা বন্ধুত্ব রাখার সুবিধা এইটাই যখন খুশি টাকা পয়সার সুবিধা নেওয়া যায়। আমি খবর নিয়ে দেখেছি, উনি অনেক প্রভাবশালী ও বিত্তবান। জায়গায় জমি টাকা পয়সার কোন অভাব নাই। রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় এখন আত্মগোপনে আছে।

আমি সিগারেট শেষ করে কবির মির্জার রুমে গেলাম। রুমে গিয়ে দেখি, ওনার বিছানার উপর মায়ের এক সেট ব্রা প্যান্টি আর একটা শাড়ি আছে। উনি স্পেশালি পান্টি টাকে নিয়ে নাকে ঠেকিয়ে শুঁকলেন আর আমাকে রুমে ডুকতে দেখে বললেন,

- তোমার মায়ের অন্তর্বাস গুলো সব পুরোনো হয়ে গেছে, নতুন কিনতে হবে। আর এরকম সাদা রঙের কাপড় কেনো পরে, রংচঙে পরতে পারে না?

কবির মির্জার কথা শুনে আমি বললাম,

- এটা আমি কি করে বলবো, মা তো বিধবা, তাই সবকিছুই সাদা পরে।

উনি বললেন,

- এটা তো খুব অন্যায়ের কথা, বৌদির কি এমন এইবা বয়স হইছে যে সবকিছু সাদা পরতে হবে।

আমিও চিন্তা করে দেখলাম সত্যিই তো মার কি এমন এইবা বয়স হয়ছে। মার বয়সী কত মানুষেই তো রংচঙে কাপড় পরে হাসিখুশি জীবন পার করছে। সেদিন কবির মির্জার কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলে গেলাম বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে।

বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে সেদিন অনেক রাত করে বাড়ি ফিরলাম। বাড়ি ফিরে দেখি তখনো মা আর কবির মির্জা বসে অপেক্ষা করছে আমার জন্য। আর দুজনে টুকটাক কথাবার্তা বলছে। আমাকে দেখে দুজনে চুপ করে গেল।

আমি আর কোন কিছু না বলে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। তারপর তিনজনে একত্রে ডিনার করে, যার যার রুমে ঘুমাতে চলে গেলাম। পরেরদিন ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যাওয়ার সময় দেখলাম, কবির মির্জা আর মা মিলে রান্না করছে।

মাকে রান্না করার কাজে সাহায্য করতে করতে কবির মির্জা মাকে কিছু একটা বোঝানোর চেষ্টা করছে। আর মা বারবার না না করছিল। আমি এত কিছু পাত্তা না দিয়ে, বাথরুমে চলে গেলাম। পরে গোসল করে নাস্তা খেয়ে অফিসে চলে গেলাম। দুপুরে কবির মির্জা কল দিয়ে বলল,

- অজিত অফিস থেকে আজকে একটু তাড়াতাড়ি বেরিও।

আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,

- কেনো

উনি বললেন,

- তোমার মাকে নিয়ে মার্কেট যাবো, তুমিও চলো সঙ্গে, নাহলে লোকে খারাপ ভাববে।

আমি বললাম,

- ঠিকাছে।

ও হে আপনাদের তো আমার নামই বলা হলো না। আমার না অজিত মুখার্জি। সেদিন অফিস থেকে ৪ টা নাগাদ বাড়ি ফিরে গেলাম। তারপরে তিনজনে বেরিয়ে গেলাম। কবির মির্জা একটা নামী দামি মলে নিয়ে গেলেন। মলে গিয়ে আমাকে দশ হাজার টাকা দিয়ে বলল,

- যাও তোমার পছন্দ মত কেনাকাটা করো।

বলেই কবির মির্জা মাকে নিয়ে একটা দোকানে চলে গেল। আমি দূর থেকে দাঁড়িয়ে মা আর কবির মির্জার উপর নজর রাখছিলাম। কবির মির্জা দেখলাম নিজের জন্য কুর্তা পাজামা কিনলেন আর মাকে দেখলাম কবির মির্জা কে একটা জাঙ্গিয়া পছন্দ করে দিল।

তারপরে কবির মির্জা মায়ের জন্য লাল আর সবুজ রঙের শাড়ি নিজে পছন্দ করে কিনলেন, চার পাঁচটা আটপৌরে ছাপা শাড়িও কিনলেন। তারপর মাকে কবির মির্জা নিয়ে গেলেন একটি মহিলা অন্তর্বাসের দোকানে। দেখলাম কবির মির্জা প্রায় জোর করেই  মাকে বেশ আকর্ষণীয় লেস ওয়ালা লাল, কালো, বেগুনি, হলুদ রঙের চার সেট ব্রা পান্টি কিনে দিলেন।

মায়ের ফরসা টুকটুকে মুখ কান পুরো লজ্জায় লাল হয়ে গেল। তারপরে মায়ের জন্য কিছু কসমেটিক কিনে দিলো যেমন ফ্রেশ ওয়াশ, পন্স স্কিম, নেল পলিস আরো অনেক কিছু। অবশেষে মাকে নিয়ে একটা স্বর্ণের দোকানে গেল। সেখানে থেকে মাকে জোর করে পায়ের নূপুর কিনে দিল। স্বর্ণের দোকান থেকে বেরিয়ে মা বলল,

- এই শাড়ি গুলোর ব্লাউজ কিনতে হবে, এই রঙের শায়া কিনতে হবে।

কবির মির্জা মাকে অন্য এক দোকানে নিয়ে গেল, সেখান থেকে মায়ের মাপের ব্লাউজ আর শায়া কেনা হলো। কবির মির্জা মাকে এক প্রকার হুকুম করেই বলল,

- অর্পিতা, কালকে থেকে এগুলোই পরবে।

মাও দেখলাম লজ্জা পেয়ে বলল,

- আচ্ছা ঠিক আছে

পরের দিন থেকে মা কবির মির্জার কিনে দেওয়া শাড়ি আর অন্তর্বাস ব্যাবহার করতে শুরু করলো। আর কবির মির্জা ও যেনো মায়ের সব দায়িত্ত্ব নিয়ে নিলেন। একদিন দেখলাম মায়ের মাসিকের প্যাড টাও কবির মির্জা কিনে আনলেন। মাও ওনার সঙ্গে একদম খোলামেলা সম্পর্ক রাখতে শুরু করেছে।

কবির মির্জার নজর মায়ের প্রতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। মা যেই কাজ করুক না কেন, উনি মাকে পিছন থেকে আপাদ মস্তক মাপতে থাকেন, যেনো চোখ দিয়ে গিলে খাবেন আর কথায় কথায় মায়ের তারিফ করতে থাকেন। যেমন অর্পিতা তোমাকে লাল সারি টাতে বেশ মানিয়েছে, নাভির নিচে শাড়ি পরার জন্য তোমার পেটটা বেশ লাগছে। ইত্যাদি ইত্যাদি।

তিন দিন পরেই হলি আসলো। আমার অফিস বন্ধ থাকায় বন্ধুদের সাথে হলিতে রঙ খেলতে চলে গেলাম নাস্তা করেই। আমার প্রেমিকা পূজার সাথে দেখা করে দুপুরে বাসায় ফিরে আসলাম। আমি কিছুটা রঙ নিয়ে ছাদে গেলাম কবির মির্জা কে লাগিয়ে দিতে। আমাকে রঙ খেলে আসতে দেখে কবির মির্জা বলল,

- কি ব্যাপার একা একা রঙ খেলে চলে আসলে, মাকে নিয়ে যেতে পারলে না।

আমি কবির মির্জার গালে রঙ লাগিয়ে দিতে দিতে বললাম,

- মা তো বিধবা, বিধবাদের রঙ খেলতে নেই।

সাথে সাথেই কবির মির্জা বলল,

- এই জন্যই তো সকাল থেকে তোমার মার মন খারাপ, আমাকে একটু রঙ দাও দেখি।

আমি কবির মির্জার হাতে রঙের গুড়ো দিতেই উনি নিচে নেমে গেল। আমিও কবির মির্জার পিছনে পিছনে গেলাম। মা বারান্দায় কাজ করতে ছিল। কবির মির্জার হাতে রঙ দেখেই মা বলল,

- এই আমাকে রঙ দিবেন না বলে দিলাম

বলেই মা দৌড়ে তার রুমে চলে গেল। কবির মির্জাও মার পিছনে পিছনে দৌড়ে রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল।  মা আর কবির মির্জার দৌড়াদৌড়ি দেখে হাসতে হাসতে আমি বাথরুমে চলে গেলাম গোসল করতে। মিনিট পাঁচেক পরে গোসল করে বের হলাম।

কবির মির্জা তখনো মার রুম থেকে বের হয় নাই। আমি রুমে গিয়ে জামা কাপড় পরে মোবাইল হাতে নিয়ে বারান্দায় আসতেই দেখলাম কবির মির্জা মার রুম থেকে বের হয়ছে। কবির মির্জার মুখে বিশ্ব জয়ের হাসি। কিছুক্ষণ পরেই দেখলাম মা রুম থেকে বের হয়ছে গোসল করার জন্য।

মার অবস্থা দেখে আমার চোখ কপালে উঠে গেল। মায়ের কোমরের বাজে, পেটে, ব্লাউজের উপরে রঙে মাখামাখি দেখেই স্পষ্ট বুঝায় কবির মির্জা মার দু ধে হাত দিছে। মা আমার সামনে অনেক লজ্জা পাচ্ছিল আর বারে বারে কবির মির্জার দিকে তাকাচ্ছিল।

আমি মাকে লজ্জা থেকে মুক্তি দিতে বাসার বাহিরে চলে গেলাম। টং দোকানে বসে একটা সিগারেট খেয়ে বাসায় আসলাম। মায়ের রুম থেকে মায়ের কন্ঠ বেসে আসলো। মাকে বলতে শুনলাম,

- এতো জোরে কেউ টিপে! এখনো ব্যাথা করতেছে।


#চলবে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area