আমরা হিন্দু পরিবার কিন্তু থাকি মুসলিম বহুল এলাকাতে। আমার পরিবার বলতে আমি আর মা। বাবা কিছু বছর হলো মারা গেছেন। বাবা সরকারি চাকরি করতেন। নিজের সঞ্চয়ের সব টাকা খরচ করে একটি বাড়ি বানিয়েছিলেন। একতলায় দুটি রুম সাথে বারান্দায় বাথরুম আর রান্নাঘর। উপরে ছাদের অতিরিক্ত একটা রুম নিয়ে আমাদের বাড়ি।
বাবা মারা যাবার পর থেকে বাবার পেনশন মা পায়। আমিও কিছুদিন হলো একটি বেসরকারি চাকরি পেয়েছি। কিন্তু সংসার চালাতে বেশ টানাটানি হয়। তাই আমি আর মা দুজনে আলোচনা করে ঠিক করলাম যে আমরা ছাদের রুম টা ভাড়া দেবো। আমরা ভাড়াটিয়া খোঁজা খুঁজি চালু করলাম।
আমাদের পাড়ার মসজিদের ইমাম সাহেব বললেন যে ওনার এক বড় ভাই আছেন। উনি গ্রাম থেকে এখানে এসে থাকতে চান। উনি হুজুর প্রকৃতির তবে অনেক টাকা পয়সার মালিক। আমরা ভাবলাম যে ধার্মিক মানুষ, থাকবেন, তাতে অসুবিধা নেই। উনি মুসলিম তো কি হয়েছে। পরের মাসের এক তারিখে উনি ওনার জিনিসপত্র নিয়ে চলে এলেন আমাদের ছাদের ঘরে ভাড়া থাকতে।
ওনার নাম কবির মির্জা, বয়স ৫০-৫২ হবে। উনি বিবাহিত, ওনার স্ত্রী ও মেয়েরা ওনার গ্রামের বাড়িতে থাকে। উনি এখানে একলাই থাকবেন। ওনার শারীরিক বৈশিষ্ট হলো, উনি প্রায় ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি লম্বা, শ্যামলা গায়ের রঙ। শরীর বেশ শক্তপোক্ত। লম্বা সাদা কালো রঙের দাড়ি আর মাঝারি সাইজের ভুঁড়িওলা পেট।
উনি আসার পরে মা কে একটি অনুরোধ করলেন। বললেন যে উনি একলা মানুষ থাকবেন, মা যদি ওনার সকাল বিকাল রান্না টা করে দেন তাহলে উনি এক্সট্রা টাকা দেবেন। মা ওনার অনুরোধ মেনে নিলো। খেয়াল করলাম, উনি কথা বলার সময় অবাক নয়নে মায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
এবারে আমার মায়ের একটু বর্ণনা দিয়ে রাখি। আমার মায়ের নাম অর্পিতা মুখার্জি। বয়স ৪৪। মা অন্য বাঙালি মহিলাদের মতই নাদুস নুদুস। টুকটুকে ফরসা, মাথায় কোঁকড়া কোঁকড়া লম্বা চুল। মা দেখতে অনেকটা অপরাজিতা আঢ্যর মতো। মায়ের উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি আর মা সবসময় শাড়ি পরে থাকে।
যাইহোক, এভাবে আমাদের সংসার চলতে লাগলো। শুধু একটাই অসুবিধা যে আমাদের বাথরূম একটাই, নিচে। কিন্তু দেখলাম কবির মির্জা বেশ মানিয়ে নিয়েছেন। আমাদের সঙ্গে উনি সুন্দর ভাবেই মিশে গেছে। মা ও ওনাকে খুব যত্ন করেন।
উনিও প্রায় রোজই বাজার করে আনেন নিজের এবং মায়ের পছন্দের জিনিস পত্র। ওনার সঙ্গে আমার একটা আলাদা বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। আমার সিগারেট খাবার দরকার পড়লে আমি ছাদে যাই। উনি নিজে সিগারেট খান, মানে উনিও আমার সঙ্গে খান। দুজনের মধ্যে খুব ফ্রেন্ডলি কথা হয়। একদিন দুজনে ধূমপান করছি ছাদে তখন উনি কথায় কথায় বললেন,
- তুমি তোমার মাকে একটু সময় দিও, সারাদিন ঘরের কত কাজ করে। একা একা কতক্ষণ এই বা থাকা যায়।
সত্যিই তো মা সারাক্ষণ একা একাই থাকে। আমি সিগারেটে একটা টান দিয়ে বললাম,
- আমি তো দিনের বেলা ডিউটি তেই থাকি, আপনি তো সারাদিন বাসায় থাকেন। আপনি একটু মাকে সময় দিয়েন। মায়ের কথা তো আমার মাথায় ছিল না।
কবির মির্জা সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বলল,
- বৌদিকে সময় দিলে তুমি আবার কি ভাবো।
কবির মির্জার কথা শুনে আমি মুচকি হেসে বললাম,
- আরে ধুর, আমি আবার কি মনে করবো। আপনি যদি পারেন তাহলে মার কাজেও একটু হেল্প কইরেন।
কবির মির্জা সিগারেটে একটা সুখ টান দিয়ে বলল,
- আচ্ছা ঠিক আছে, কাল থেকে আমি সাহায্য করবো।
আমি বললাম,
- কি কাজে সাহায্য করবেন?
কবির মির্জা মুচকি হেসে বললেন,
- কাপড় জামা ধোবার কাজ অনেক কষ্টের, আমি জামা কাপড় ধোবার কাজটা করে দিব। রোজ দুপুরে আমি সবার শেষে গোসল করি, তখন আমি ধুয়ে দেবো।
আমি বললাম,
- তাহলে তো ভালোই, কিন্তু মা কি রাজী হবে।
কবির মির্জা আরেকটা সিগারেট ধরাতে ধরাতে বলল,
- আমি রাজি করিয়ে নিব, তুমি শুধু আমাকে একটু সাপোর্ট দিও।
সেদিন রাতে খাবার সময়, উনি আর আমি অনেক তর্কাতর্কি করে শেষ পর্যন্ত মা কে রাজি করিয়ে ফেললাম। আমি ভাবলাম, ভালই হলো। মায়ের একটু কাজ কমবে। তার পরের দিন থেকে কবির মির্জা নিজের, মায়ের দুজনেরই জামা কাপড় নিজেই কাচেন।
ডিউটি থেকে ফিরে এসে প্রায় দেখতাম, কবির মির্জা মায়ের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছে। মায়েরও আড্ডা দেওয়ার একজন মানুষ পেয়ে খুশি মনে হচ্ছে। প্রতিদিনের মতো সেদিন ও ডিউটি করে বাসায় এসে বুঝলাম, কবির মির্জা মায়ের রুমে আড্ডা দিচ্ছে। একটু কান পাততেই শুনলাম মা বলছে,
- এখানে অনেক দিন তো হলো, বাড়ি যেতে ইচ্ছে করে না।
কবির মির্জা একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বলল,
- বাড়ি গিয়ে কি হবে, বাড়িতে আমার কোন সুখ নাই।
কবির মির্জার কথা শুনে মা অনেক অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
- কেনো? কোন সমস্যা কি বাড়িতে?
কবির মির্জা দুঃখী ভাব নিয়ে বলল,
- আসলে বৌদি, শারীরিক ভাবে আমার বউয়ের প্রতি আমি সন্তুষ্ট না।
মা আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইলো,
- ঠিক বুঝলাম না ভাই।
কবির মির্জা বলতে শুরু করলেন,
- আমি একটু খোলামেলা ভাবে ঐটা করতে পছন্দ করি। সাথে বউয়ের নিচের ঐটা খাইতে আর আমার ঐটা বউকে খাওয়াইতে ভালো লাগে। কিন্তু আমার বউ আমার ঐটা খাইবো তো দূরের কথা, তার ঐটাই মুখ দেই দেখে লোম এই বড় বড় করে রাখে কাটে না।
কবির মির্জার কথা শুনে মা হাসতে হাসতে বলল,
- আপনারার জাতের মানুষের এই একটা সমস্যা, স্বামীর চরণসেবা বুঝে না।
কবির মির্জা সাথে সাথেই বলল,
- বৌদি আপনার ঐসব খাওয়া খাওয়ি কেমন লাগে?
মা কিছুটা লজ্জা পেলেও উত্তর দিল,
- ভালোই, তবে আমরার জাতের নারীরা সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করে।
কবির মির্জাকে বলতে শুনলাম,
- বৌদি, আপনিও কি নিচে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন।
মা লজ্জা পেয়ে মৃদু স্বরে বলল,
- হুম, সপ্তাহে একবার পরিষ্কার করি।
কবির মির্জা একটু নড়েচড়ে বসে বলল,
- দাদা আর আপনিও কি ঐসব খাওয়া খাওয়ি করতেন?
মা মাথা নিচু করে বলল,
- হুম, প্রতিবার এই আমি দাঁড় করিয়ে দিতাম তবে আপনার দাদার তেমন আগ্রহ ছিল না আমার ঐনে মুখ দেওয়ার।
কবির মির্জা মাকে বলল,
- আপনি তো দেখি দাদাকে অনেক সুখ দিতেন।
মা বলল,
- স্বামীকে সুখ দেওয়াই তো স্ত্রীর প্রথম কাজ। আপনার দাদাকে সর্বোচ্চ সুখ দেওয়ার চেষ্টা করতাম কিন্তু আফসোস স্বামীর সেবা বেশিদিন করতে পারি নাই।
বলে মা অনেক আপসেট হয়ে গেল। কবির মির্জা মাকে সামলে নিতে কথা বলার প্রসঙ্গ অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিল। আমি আর দাঁড়িয়ে না থেকে রুমে চলে গেলাম। দু তিন দিন পরে একদিন দুপুরে স্নান করে ছাদে সিগারেট খেতে গেলাম। গিয়ে দেখি, কবির মির্জা গোসল করে এক বালতি জামা কাপড় নিয়ে ছাদে মেলতে এসেছেন। অবাক হয়ে দেখি, উনি নিজের জামা কাপড় জাঙ্গিয়ার সঙ্গে মায়ের শাড়ি, শায়া, ব্রা প্যান্টি সব কেচেছেন।
#চলবে
___________________
#গল্পঃ সুখ নাকি ধর্ম
#পর্বঃ ১

