#গল্পঃ বন্ধুর মা যখন বউ
#পর্বঃ ১৫
অবশেষে ফুচকার প্লেট হাতে পেতেই আন্টি সকল লজ্জা সরম ভুলে ফুচকা খাওয়া শুরু করলো। আন্টির ফুচকা খাওয়া আমি অবাক নয়নে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি, তাই দেখে আন্টি একটা ফুচকা আমার মুখের দিকে বাড়িয়ে দিল। সাথে সাথেই আমি হা করে ফুচকা খেয়ে পেলাম।
আন্টির হাতে ফুচকা খেতে পেড়ে খুশিতে আমার মনে লাড্ডু ফুটতে শুরু করলো। আন্টিও বার বার মুচকি মুচকি হাসছিল। ফুচকা খাওয়া শেষে, আন্টিকে নিয়ে আবার শপিং মলের দিকে রওনা দিলাম। মিনিট দুই এক পরেই শপিং মলে চলে আসলাম।
বাইক পার্কিং করে আন্টিকে নিয়ে ভিতরে ঢুকতে শুরু করলাম। আন্টি বার বার জিগ্যেস করছিল, এখানে কেনো নিয়ে আসলাম। আমি আন্টির কথা কোন উত্তর না দিয়ে চুপচাপ তাকে নিয়ে দ্বিতীয় তলায় একটা দোকানে ঢুকলাম আর বললাম,
- ম্যাক্সির কথা কি মনে আছে? তাই এখানে আনছি শপিং করে দিতে। আপনার যা যা মন চাই পছন্দ করে নেন।
আন্টি তখন বলল,
- না না আমাকে তোমার কিছু কিনে দিতে হবে না।
আমি তখন রাগ দেখিয়ে বললাম,
- আবার কি ব্লেড আনতাম?
আন্টি এবার আর কথা বাড়ালো না। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,
- আচ্ছা ঠিক আছে। তোমাকেও আমি ঈদ উপলক্ষে শপিং করিয়ে দিব।
বলেই আন্টি ঘুরে ঘুরে চারপাশ দেখতে লাগলো। হঠাৎ খেয়াল করে দেখলাম আন্টি একটা শাড়ি বার বার দেখছে আর যখনি প্রাইজ লেখা স্টিকার দেখলো সাথে সাথেই এটা রেখে দিল। আমি তখন কাছে গিয়ে দেখলাম শাড়ির দামটা একটু বেশি, তাতে কি হয়ছে আমার রাণীর তো পছন্দ হয়ছে। আমি শাড়িটা নিয়ে আন্টির হাতে দিতেই বলল,
- রাফি, এটা থাক। আমি অন্য শাড়ি দেখছি।
আমি তখন মুচকি হেসে বললাম,
- না এটাই নেন।
আন্টি তখন আর কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ শাড়ির সাথে মেচিং করে ব্লাউজ আর পেটিকোট নিয়ে নিল। আমি তখন ফিসফিস করে বললাম,
- ঐ দিকে কর্নারে ব্রা প্যান্টি আছে। যান কয়েক সেট নিয়ে নেন।
আন্টি আমার কথায় অনেক লজ্জা পেলেও চুপচাপ ব্রা প্যান্টির কাছে গেল। সেখানে অসংখ্য ব্রা প্যান্টি থেকে বেচে বেচে আন্টি দুই সেট ব্রা আর প্যান্টি নিল। আমি আন্টির হাতে থাকা ব্রায়ের সাইজ লুকিয়ে দেখে নিলাম আর আমার পছন্দ মতো পাতলা নেটের এক সেট ব্রা প্যান্টি আন্টির হাতে ধরিয়ে দিলাম। আন্টির লজ্জা মাখা মুখ তখন দেখার মতো ছিল।
তারপরে আন্টির সব কিছুর বিল পরিশোধ করে আন্টিকে নিয়ে বের হতেই। আন্টি আমাকে পেন্ট শার্ট কিনে দিতে জোর করতে লাগলো। আমি বার বার বারণ করছিলাম আর বলছিলাম, আমার অনেক পেন্ট শার্ট আছে। কিন্তু আন্টি মানতে নারাজ তাই বাধ্য হয়ে বললাম,
- আমার শুধু একটা জাঙ্গিয়া হলেই হবে বাকি সব নতুন কিনা আছে।
আমার কথা শুনে আন্টি আবার লজ্জা পেয়ে গেল আর বলল,
- আচ্ছা আসো কিনে দেই।
তারপরে আন্টি একটা দোকান থেকে পছন্দ করে সুন্দর একটা জাঙ্গিয়া কিনে দিল। জাঙ্গিয়াতে বা ড়া র জায়গায় সুন্দর একটা চেন লাগানো। চেন থাকাতে বা ড়া বাহির করতে সুবিধা হবে। আন্টিকে নিয়ে শপিং মল থেকে বের হতেই বলল,
- রাফি, ৩ টা বেজে গেছে। আমার এখনি বাসায় যেতে হবে।
আমি তখন বললাম,
- আচ্ছা বাইকে উঠেন।
আন্টি বাইকে উঠতেই আমি বললাম,
- এখন আপনাকে নিয়ে হোটেলে যাব।
বলেই বাইক চালাতে শুরু করলাম। তখন আমার কথা শুনে আন্টি ঘাবড়ে গেল আর বলল,
- নাহ, হোটেলে কেনো?
আমি তখন মুচকি হেসে বললাম,
- মেয়ে নিয়ে হোটেলে মানুষ কি করে?
আন্টি তখন বলতে শুরু করলো,
- নাহ রাফি, আমি তোমার সাথে ওসব করতে পারবো না। আমি আমার ছেলে আর স্বামীকে ঠকাতে পারবো না।
আন্টির কথা শুনে এবার আমি হেসে দিলাম আর বললাম,
- আরে মজা করছি, বাসায় এই নিয়ে যাব।
আমার কথা শুনে এবার আন্টিও হেসে দিল। তারপরে আন্টির সাথে আরও টুকটাক কথা বলতে বলতে শান্তদের এলাকায় চলে এলাম। তখন আন্টি বলল,
- রাফি, আমাকে এখানেই নামিয়ে দাও। বাসার কাছে গেলে সমস্যা হতে পারে।
আমি এবার আন্টির কথায় রাখলাম। আন্টি বাইক থেকে শপিং ব্যাগ নিয়ে নামতেই তাকে একটা রিকশা ঢেকে তুলে দিলাম। আন্টি বাসার দিকে যেতে লাগলো, আমিও খুশি মনে বাসায় যেতে লাগলাম। বাসায় যেতেই মা আমাকে নানু বাড়িতে যেতে বলল, নানা নানুর জন্য ঈদের জামা দিয়ে আসতে।
বাধ্য হয়ে আম্মুর কথায় নানু বাড়িতে গেলাম। সেখান থেকে বাইকে করে ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গেল। বাসায় এসেই আন্টিকে একটা মেসেজ দিলাম।
- কাল থেকে তো ক্লিনিক বন্ধ, তা বাসায় আসলে কি আপনার দেখা পাওয়া যাবে মহারাণী?
তারপর ঘুমানোর আগ পর্যন্ত আন্টির রিপ্লাই এর অপেক্ষা করলাম। আজকেও ধরে নিলাম আন্টি কোন রিপ্লাই দিবে না। মন খারাপ করে একরাশ অভিমান নিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। সেই ঘুম ভাঙল আম্মুর ডাকে। সেহরীর সময়। সেহরী খেতে যাওয়ার আগে মোবাইল চেক করলাম কোন ম্যাসেজ আছে কিনা। অবশেষে মেসেজ আসলো তাই পড়তে শুরু করলাম,
- তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ো। আমার কথা ভাবলে ঘুস আসতে অনেক দেড়ি হবে।
এটাই লেখা। আচ্ছা, তাও তো রিপ্লাই দিল। আমি সেহরী খেয়ে নিলাম৷ আজকের রোজাটা রাখা উচিত। পর পর তিনটা রোজা ভেঙে গেছে। আর রোজা ভাঙা ঠিক হবেনা। তাই সেহরী খেয়ে আবার শুয়ে পড়লাম। চেষ্টা করছি আন্টির কথা না ভাবতে। কিন্তু বারবার আন্টির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। আন্টির কথা ভাবতে ভাবতে কোন এক ফাকে ঘুমিয়ে পড়লাম৷
ঘুম থেকে উঠলাম সকাল দশটায়। হাত মুখ ধুতে ধুতে আন্টির কথা মনে পড়ে গেল। আজকে আন্টির সাথে দেখা করবো না। আন্টিকে দেখলেই তো রোজা রাখা কষ্ট। কি মনে করে যেন আমি শান্তকে ফোন করলাম। আর জিজ্ঞেস করলাম,
- কোথায় রে?
শান্ত বলল,
- বাজারে।
- এই সময় কার সাথে বাজার করিস?
শান্ত বলল,
- কাচা বাজার করি, বাবার সাথে। ঈদ এ খাব কি? বাজার তো তখন বন্ধ থাকবে।
তার মানে আন্টি এখন বাসায় একা! তাই খুশি হয়ে জানতে চাইলাম,
- ও, কতক্ষণ লাগবে ফ্রি হতে?
শান্ত বলল,
- এইতো আর আধা ঘন্টার মত। মাছ মাংস গুলো কাটাচ্ছি।
- ও আচ্ছা, তুই তাহলে বাজার করে নে।
বলেই আমি ফোন রেখে দিলাম। আরো আধা ঘন্টা। বাইকে শান্তদের বাসায় যেতে লাগে পাঁচ মিনিট এর মত। আর সময় নষ্ট করা যাবেনা। পঁচিশ মিনিট অনেক লম্বা সময়। আন্টির প্রতি অবাধ্য আকর্ষণ এ আমি দ্রুত রেডি হয়ে গেলাম। আর বাইক নিয়ে পাঁচ মিনিটেই আমি আন্টিদের এলাকায় চলে গেলাম। আন্টির বাসা থেকে বেশ খানিকটা দূরে বাইক রেখে দিলাম। তার পাঁচ মিনিট পর আমি আন্টির বাসার দরজার সামনে।
চলবে...

