Type Here to Get Search Results !

বন্ধুর মা যখন বউ ( পর্ব ১১ )


 #গল্পঃ বন্ধুর মা যখন বউ

#পর্বঃ ১১

আংকেল কোথায় থাকবে! উনি আবার কাবাব এর মধ্যে হাড্ডি হয়ে বাসায় বসে থাকবে না তো! কিন্তু আন্টি যেহেতু বলেছে বিকালে বাসায় যেতে তার মানে হল আংকেল থাকবে না।

আমি শান্তর বাসার দিকে রওনা দিলাম। বাইকে এখান থেকে পাঁচ মিনিট এর পথ। কিন্তু পৌছতে আড়াইটা বেজে গেল। কারণ রোজা শেষের দিকে, রাস্তায় প্রচুর মানুষ। সবাই মার্কেটিং বা ইফতার কিনতে ব্যস্ত। ই শ, আমার দুইটা রোজা বরবাদ হয়ে গেল! মনে একটু পাপবোধ হল। রোজা তো সংযম এর জন্য। সেখানে কিনা আমি বন্ধুর মা কে চু দে দিতে যাচ্ছি!

ধুর! এত চিন্তা করে লাভ নেই। তওবা করে নিব পরে। শান্তর বাসার গলির কাছে চলে এলাম। আর পরিচিত এক ভাইয়ের দোকানের সামনে বাই রেখে শান্তর বাসার দিকে গেলাম। তবে একটু দূরত্ব বজায় রাখলাম। বলা যায়না, শান্ত যদি আবার এখন বের হয়। ওষুধ গুলো খেয়ে ফেলব নাকি এখন!

এক ঘন্টা আগে খেতে বলা হয় সর্বোচ্চ মজার জন্য। কিন্তু আমাকে যে গিয়েই অ্যাকশন এ নামতে হবে। সময় খুবই অল্প। সাড়ে চারটার আগেই বের হয়ে যেতে হবে। চারটার আগে হলে আরো ভাল। প্রাইভেট বন্ধের আগে স্যাররা পড়ানোর সময় একদম কমিয়ে দেয়। শান্তর বাসায় কেউ যে নেই এটা বোঝার উপায় কি? আন্টির নাম্বারটা তো নেয়া হলনা। তাই শান্তকে একটা মেসেজ দিলাম।

- দোস্ত, আমি আজকে যেতে পারিনি। ক্লাস নোট ভালমত নিস। পরে ছবি তুলে whatsapp এ দিয়ে দিস।

এরপর অপেক্ষা করতে লাগলাম শান্তর রিপ্লাই এর জন্য। পাঁচ মিনিট চলে গেল কোন খবর নেই। এরপরই শান্ত ফোন দিল। আমি একটু অবাক হলাম। ক্লাস এর মাঝে ফোন দিচ্ছে কিভাবে! তাই রিসিভ করেই বললাম,

- কি রে, ক্লাস এর মাঝে ফোন কেমনে দিচ্ছিস?

- আমি যাইনি আজকে।

আমার কয়েক সেকেন্ড সময় লাগল যে শান্ত কি বলল এটা বুঝতে। সে যায়নি মানে! সে কি বাসায় এখন নাকি? তাই বললাম,

- কাজ আছে নাকি?

শান্ত তখন বলল,

- আরে নাহ, মা বলল আজকে না যেতে। উনার নাকি শরীর খারাপ লাগছে খুব।

আশ্চর্য! আমাকে আসতে বলে এখন শান্তকে বাসা থেকে বের হতে দিলনা! আমি বুঝলাম না উনার কি প্ল্যান। আমি মাথা ঠান্ডা রেখে শান্তর কাছে জানতে চাইলাম,

- খারাপ বলতে? সিরিয়াস কিছু?

শান্ত বলল,

- না, এমনিই নাকি শরীর খারাপ। আমাকে যেতে মানা করল বারবার।

আমার মাথা আর কাজ করছিল না। তাও কোন রকমে বললাম,

- আচ্ছা থাক তাহলে। আন্টির খেয়াল রাখিস।

বলে ফোন রেখে দিলাম। আমি এখনো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। আন্টির হলটা কি! নাকি আবার সেই ন্যাকা মার্কা সতীত্ব জেগে উঠেছে! তাই হবে। নইলে শান্তকে বারবার থেকে যেতে বলার অন্য কোন কারণ নাই। আমার মেজাজ নিয়ন্ত্রণ হারাতে লাগল। এভাবে বাঁশ দিল শা লী! নাহ, আমাকে তো এভাবে হারানো যাবেনা।

আমি শান্তর বাসায় যাব স্থির করলাম। তোমাকে আমি ছাড়ছি না আন্টি। তবে তার আগে মাথা ঠান্ডা করা জরুরি। রাগের মাথায় কখনো কিছু করা উচিত নয়। আবার এখনই শান্ত এর বাসায় যাওয়া যাবেনা। সেক্ষেত্রে শান্ত সন্দেহ করলেও করতে পারে। ইফতার এর পরে যেতে হবে। আপাতত মাথা ঠান্ডা করা যাক। আমি তাদের বাসার গলি থেকে বের হলাম।

এখন আবার ইফতার পর্যন্ত ওয়েট করতে হবে! আল্লাহ এ কেমন পরীক্ষা নিচ্ছে তো বুঝলাম না। আমার মাথা আবার খারাপ হতে শুরু করল। এরই মধ্যে আমি মূল সড়কে চলে এলাম। বেশ ভীড়। ভীড় এড়িয়ে চলতে হচ্ছে। আমি উদ্দেশ্যহীন হাটতে থাকলাম। এমন সময় মোবাইলে একটা মেসেজ আসল।

বা ল! মোবাইল কোম্পানি গুলোর প্রমোশন মেসেজ এর জ্বালায় টেকা দায় হয়ে যাচ্ছে। মেসেজটা ডিলিট করার জন্য মোবাইল বের করলাম। নাহ! একটা unknown নাম্বার থেকে মেসেজ এসেছে। কে হতে পারে এটা। মেসেজটা দেখলাম।

- কি ভেবেছিলে? বন্ধু মাকে এতো তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবে! এতো সহজে আর যাই হোক এই তমা সাহাকে পাওয়া যায় না। দেখি তুমি আরও কি করতে পারো আমাকে পাওয়ার জন্য।

এটা বুঝতে অসুবিধা হয়না যে এই মেসেজটা স্বয়ং আমার স্বপ্নকন্যার দেয়া। সে আরো বাজিয়ে নিতে চাচ্ছে আমাকে। মনটা হঠাৎ একদম হালকা হয়ে গেল আবার। তাহলে উনি চাচ্ছেন আমি আরো কিছু সাহসের প্রদর্শনী দেখাই, ঠিক আছে। আমি রিপ্লাই দিলাম,

- আজকেও ইফতারের পরে তৈরি থেকো, তোমার বাসায় ক ন ড ম নিয়ে আসছি। আজ কোন বারণ শুনবো না।

যতই সময় গড়াচ্ছে ততই অবাক হচ্ছি আন্টির সহ্য ক্ষমতা দেখে। মাথায় সে ক্স উঠে যাওয়ার পরও উনি যে পরিমাণ কন্ট্রোল দেখাচ্ছেন তা আসলেই প্রশংসার দাবীদার। আমি বেশ মুগ্ধ হলাম। হিন্দু মহিলারা সাধারণত একটু কামুকী হয়। নিজের কাম পূরণের জন্য তারা যত নীচে নামা যায় নামতে পারে। বুঝিনা এদের মানসিকতা এমন কেন!

অন্য কোন মহিলা হলে ক্লিনিকেই গু দ কেলিয়ে দিত চো দা খাওয়ার জন্য। কিন্তু আন্টি একটু বেশি সুন্দরী হওয়ার কারণেই বোধহয় এত সহজে ধরা দিতে তার আত্মসম্মান এ বাধছে। হাজার হলেও এই জীবনে নিশ্চয়ই তিনি অনেককে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাই আমার কাছে এত সহজে নিজের সতীত্ব বিসর্জন দিতে উনার সংকোচ অস্বাভাবিক না।

আমার মন এ তখন আর কোন ভার নেই। তাই তরতরিয়ে সময় কোন দিকে চলে গেল বুঝতে পারিনি। ইফতার এর সময় রেস্তোরাতে ইফতার খেতে খেতে প্ল্যান করতে থাকলাম শান্তর বাসায় গিয়ে কি করতে হবে। তবে এভাবে চিন্তা করে বেশিদূর এগোতে পারলাম না।

কারণ সে সময় ঘরে কে থাকে না থাকে আমার কিছুই জানা নাই। আন্টিকেও কত সময়ের জন্য পাব, কোন ড্রেসে পাব সেটাও অজ্ঞাত। তাই আপাতত ওয়েট এন্ড সী। ইফতার, নামাজ শেষ করে আমি শান্তর বাসার দিকে হাঁটা দিলাম। গলির কাছে গিয়ে শান্তকে কল দিলাম,

- দোস্ত, তুই কি বাসায়?

- হ্যা, কেন?

- নীচে নামবি নাকি। আমি তোদের বাসার কাছেই এখন।

- কোন জায়গায়?

- তোদের গলির সামনেই মেইন রোডে, জাভেরী প্লাজায় ছিলাম এতক্ষণ এক ফ্রেন্ডের সাথে।

- ওহ ভাবীর সাথে নাকি? তা ভাবীর সাথে কি কি করলি? যুদ্ধ কেমন হয়ছে?

আমি শান্তর কথা শুনে কিছুটা রাগ দেখিয়ে বললাম,

- আরে, এটা স্কুলের ফ্রেন্ড। তোর ভাবীর সাথে কিছুই হলো না, ওর বাসায় মানুষ ছিল তাই।

শান্ত আমার কষ্টে আফসোস করতে করতে বলল,

- আহারে.. তা নীচে নামব? নাকি তুই বাসায় আসবি?

আমি ঠিক এই কথারই অপেক্ষায় ছিলাম। সাথে সাথেই বললাম,

- বাসায় গেলে প্রবলেম হবে না তো?

শান্ত তখন বলল,

- আরে, কিসের প্রবলেম?

আমি বললাম,

- আন্টি আবার ব্যস্ত হয়ে যাবে আমাকে দেখলে। এমনিতেও শরীর খারাপ বলতেছিস।

শান্ত তখন বলে,

- আরে না, এরকম কিছুই না। মা ভাল আছে এখন। তুই চলে আয়।

- আচ্ছা, আসতেসি। পাঁচ মিনিট।

ফোনালাপ শেষ। আর আমি মনে মনে আবার বললাম 'ও ইয়েস! কিন্তু সকালের মত ভাগ্য কি এখন হবে? আমি রওনা দিলাম কাম দেবীর মন্দির তথা বাসার দিকে। গলির প্রতিটা স্ট্রাকচার খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে লাগলাম। প্রতিটা ইনফর্মেশন মাথায় টুকে রাখলাম। কোনদিন একা আসতে হলে কাজে দিবে।

আমি আন্টির বিল্ডিং এ আসলাম। গেইট খুললাম। গেইটে কোন দারোয়ান নেই। কোন সিসি ক্যামেরাও নেই। সম্ভবত এই এলাকায় চুরি ডাকাতি কম। অবশ্য এই পাড়া বেশ সরগরম। বেশ ভালই দোকান আছে গলির ভিতর। রাত দশটা এগারটা পর্যন্ত কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

আমি সিড়ি বেয়ে উঠতে লাগলাম। আন্টির বাসা তিনতলায়। সিড়ি দিয়ে উঠে দুইটা বাসা। ডানদিকেরটা শান্ত দের। বাম দিকের বাসাটা সম্ভবত কোন মুসলিম পরিবারের। কারণ তিনতলা পর্যন্ত যত হিন্দুর বাসা আছে সবার দরজার উপর একটা ফুলের মালা টাইপের কিছু আছে। হিন্দুরা পহেলা বৈশাখে এটা লাগায়। এই বাসায় এরকম কিছু নেই।

যাই হোক আমি কলিংবেল দিলাম৷ একটু পরেই শান্ত দরজা খুলল। আমি ভিতরে ঢুকলাম। ২৪ ঘন্টা আগে এই খানেই যার মায়ের দু ধ, পেট, নাভী ইচ্ছামত খেয়ে শাড়িতে মা ল ঢেলে গিয়েছিলাম, সেই এখন আবার দরজা খুলে আমাকে ভিতরে ঢোকাল। আমি ঢুকলাম পৃথিবীর বুকে এই একখন্ড জান্নাতে, যেখানের হুর আমার বন্ধুর মা তমা আন্টি।


চলবে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area