#গল্পঃ মা থেকে বউ
#পর্বঃ ২
জমি কেনা আমার পক্ষে সম্ভব নয় জমি কিনলে চল্বো কি করে পরের কাজ আর কতদিন করব। নিজের একটা হলে আমি বাঁচতে পারবো। একদিন বিকেলে আমি বোট নোঙ্গর করে পারে আসতেই দেখি মা বসে আছে। সে বাচ্চা মেয়ে কোলে নিয়ে। আমাকে দেখেই কাছে এল। তখন বললাম,
- চল ওই ফাঁকা জায়গায় বসি।
বলে মাঠের মধ্যে বসলাম। তখন মা বলতে শুরু করলো,
- কি করবি আমাকে একটু সাহায্য কর। খাবারের টাকা পয়সা নেই, মেয়েটাকে খাওয়াতে পারছিনা, শুধু বুকের দু*ধ খায়। ঘরে এক মুঠো চাল নেই কোন আত্বীয় আমাদের সাহায্য করেনা। লোকটা ঘরে জ্বালা যন্ত্রণা নিয়ে মরে যাচ্ছে আর বাঁচবে না। তোর দুটো ছোট বোন ওদের নিয়ে আমি কোথায় যাবো। হাসপাতালে গেলেও কিছু টাকা লাগে গত কয়েকমাস কোন কাজ করতে পারেনা কোথা থেকে আসবে টাকা। এক টুকরো জমি ছিল সেটা বন্ধক রেখে ওর পিছনে খরচা করে ফেলেছি। এখন আমার আর কোন রাস্তা নেই, এক রকম নিরুপায় হয়ে তোর কাছে এসেছি, আমি জানি আমি খারাপ কিন্তু আমি কি করতে পারি আমার যে আর কোন রাস্তা নেই। একমাত্র ভরসা তুই। তুই আমাকে বাঁচা বাবা তুই আমার শেষ ভরসা আমাকে ফিরিয়ে দিস না একটু সাহজ্য কর। ও মরে গেলে আমি ও বাড়িতেও থাকতে পারবোনা কারন যা দেনা সব বেঁচে দিলেও শোধ হবেনা।
আমি তখন বললাম,
- মনে কর সেই দিনের কথা আমি কি করে ওই বয়সে কি করে বেঁচে আছি, সাথে ছিল না মা, আগেই বাবা মরে গেছে, মামারা বের করে দিল, আজ তুমি আমার কাছে এসেছ, নিজের সুখের জন্য আমাকে ফেলে চলে গেছ, দেখছ এখন সেই ছেলের কাছে তোমাকে আসতে হয়েছে। একটু কষ্ট সহ্য করে থাকলে তোমার এই দিন দেখতে হত না। আমি কিছু পারবো না। আমাকে মাপ করে দাও। যা কিছু আছে মালিক ব্যাংকে একাউন্ট করে দিয়েছে সেখানে জমা আছে কাছে কিছু নেই। ভাবছি যা কামিয়েছি নিয়ে এখান থেকে অন্য কোন জায়গায় চলে যাবো একটু জমি কিনে বাড়ি করে থাকবো এবং ব্যাবসা করব। এ টাকা আমি কাউকে দেব না। আমার সাফ কথা।
মা তখন বলল,
- দেখ সকাল থেকে আমার হাড়ি জলেনি কিছু কর বাবা। তোর পায়ে পরি।
বলে আমার পায়ের কাছে এল। আমি সরে গিয়ে বললাম,
- কি করছ তুমি আমি তোমার ছেলে না না সরে যাও।
মা তখন বলল,
- আমি না খেয়ে থাকতে পারবো কিন্তু এই মেয়েটাকে কি খাওয়াবো আমাকে ফিরিয়ে দিস না, একই কোকে তোদের জন্ম, তোর বোন হয়।
- ঠিক আছে দাড়াও
বলে বোটে গিয়ে কিছু টাকা নিয়ে এলাম। সব গুনে দেখলাম ১২০০ টাকা আছে তা মায়ের হাতে দিয়ে বললাম,
- এই নাও বলছ খেতে পারছ না কিন্তু তোমাকে দেখে তা মনে হয় না, তুমি তো আগের ডবল হয়ে গেছ দেখতে, না খেলে এমন হয় কি করে।
মা তখন চোখের জল ফেলে বলে,
- কি বলব তুই ছেলে। আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় আবার বাচ্চা লাগবে একটা ছেলে চাই, বয়স হয়ে যাচ্ছিল বলে হচ্ছিল না তাই ডাক্তার আমাকে নানান ওষুধ দেয়, আর কিছু খাবার খেতে বলে কিছুদিন যেতে না যেতেই আমি এমন মোটা হয়ে যাই আর ও পেটে আসে, তার পর আমি আর রোগা হই নাই।
আমি তখন বললাম,
- মা এমন অন্যায় আমার সাথে করেছ তার জন্য আজকে তোমার এই পরিস্থিতি, আমি ঠিক বেঁচে আছি। আমি বিপথে যাই নি কষ্ট হলেও কাজ করেছি সেই ছোট বেলা থেকে। নাও টাকা দিলাম তো যাও চাল নিয়ে গিয়ে রান্না করে খাও। তবে বার বার আসবে না আমি দিতে পারবো না।
মা তখন আবারো বলে,
- তুই ছাড়া আমার কে আছে। তুই না দেখলে আমাকে কে দেখবে। আমাকে ফেলে দিতে পারবি তুই।
আমি তখন রেগে গিয়ে বললাম,
- নতুন ভাতার পেয়ে তো আমাকে ছেড়ে চলে গেছ এখন কেন এসেছ। আবার একটা খুঁজে নাও। ভালই চেহারা আছে তোমার নতুন একজন পেতে কোন অসুবিধা হবেনা।
আমার কথা শুনে মা কাঁদতে কাঁদতে বলল,
- আজ তুই বললি আমাকে এই কথা।
আমি তখন বললাম,
- কি বলব তোমাকে তুমি একটা খারাপ মেয়ে ছেলে, তোমার পেটে জন্মেছি বলে আর কিছু বললাম না।
মা তখন বলে,
- বলতে কি বাকী রেখেছিস যা বলার বল বলে মন হাল্কা কর আমি সত্যিই খারাপ নিজের যৌ*ন সুখের জন্য তোর কথা ভাবি নাই।
আমি তখন বললাম,
- শালা হারামী আবার ছেলে চাই হয়েছে না ছেলে ভালো হয়েছে মেয়ে হয়েছে।
মা তখন বলল,
- আমি বলে ছিলাম ওকে এইসব কিছুই শোনেনি, যা ইচ্ছে তাই করেছে আর একটু হলেই বলত চলে যা তোর দরকার নেই। তুই আর কি বলবি আমি সব শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে, এখন আর গায়ে লাগেনা, নিজের ভাইয়েরা কম বলেছে ওদের কাছে গিয়েছিলাম। ওরাও এমন নোং*রা কথা বলেছে।
আমি বললাম,
- আমাকে বলতে বাধ্য করেছ তুমি, আমি তখন মরে গেলে এখন কার কাছে আসতে। আমাকে তো মরার জন্য ফেলে রেখে চলে গেছ, এক দিনের জন্য খোঁজ নিয়েছ তুমি। আমি খাই না খাই বেঁচে আছি না মরে গেছি। কোন খোঁজ নাওনি, নতুন স্বামী পেয়ে ছেলের কথা একদম ভুলে গেছ আবার দুটো জন্ম দিয়েছ, আমি এখন বড় হয়েছি সব বুঝি সে সময়ে না বুঝলেও এখন বুঝি সব আমার বয়স ২৫ বছর। আমাকে ফেলে নতুন সংসার করে দুটো বাচ্চার জন্ম দিয়েছ।
আমার কথা শুনে মা হাউ হাউ করে কাঁদছে আর কিছু বলছে না। তখন আমি কোলের বাচ্চার দিকে তাকিয়ে বললাম,
- ও বাইরের কিছু খেতে পারে এনে দেব।
মা বলল,
- না বয়স এই ৮ মাস মাত্র। ওর শরীর ভালো না, ওকে কিছু দিতে হবেনা।
- বস এখানে আমি আসছি।
বলে উঠে বাজারে গেলাম। গিয়ে সিঙ্গারা আর মিষ্টি নিয়ে একটা ফিডার কিনে চায়ের দোকান থেকে দু*ধ ভরে নিয়ে এলাম। এসে দেখি মা ওকে বুকের দু*ধ দিচ্ছে। আমি হঠাত এসে পরায় বাচ্চাকে দু*ধ বের করে দু*ধ দিচ্ছে একটা দু*ধ আমি দেখতে পেলাম, ব্লাউজ থেকে বের করে খাওয়াচ্ছে, এক নজর দেখলাম বিশাল বড় দু*ধ আমার মায়ের, কালো বো*টা ওর মুখে ঢোকানো। আমাকে দেখে আঁচল দিয়ে ঢেকে দিল। এই নাও বলে মায়ের হাতে দিলাম। মা তখন বলল,
- কি এসব।
দেখ বলে নিজেই বের করে দিলাম দাও ওকে খাইয়ে দাও আর তুমি আমি এই মিষ্টি আর সিঙ্গারা খাই এক বোতল দুই লিটারের জল এনেছি। মায়ের মুখে কি হাসি বের করে আমাকে দিয়ে নিজেও খেল। মায়ের খাওয়া দেখে বুঝলাম সত্যি সারাদিন পেটে কিছু পরেনি। দু*ধের ফিডার হাতে নিয়ে হঠাৎ মা বলল,
- থাক এখন লাগবেনা বুকের দু*ধ খেয়েছে পড়ে না হয় বাড়ি গিয়ে খাওয়াবো।
আমি তখন বললাম,
- আচ্ছা না হয় আরেকটু বুকের দু*ধ দাও, আমি চাল ডাল কিনে দেব কি।
মা খুশি হয়ে বলল,
- হ্যা
আমি বললাম,
- আচ্ছা নিয়ে আসছি।
বলে আবার বাজারে গিয়ে চাল ডাল লবন লঙ্কা আর একটু মাছ কিনে নিয়ে এলাম এসে দেখি বাচ্ছাকে কোলের উপর শুয়ে দু*ধ দিচ্ছে এবার দুটোই বের করা, বুকের উপর লাউয়ের মতন রয়েছে। খুব বড় বড় আর ফোলা ফোলা, দু*ধে ভর্তি বোঝা যায়। বাচ্চা খেয়ে পারেনা।
চলবে...