#গল্পঃ দিদির ভালোবাসা
#পর্বঃ ৩
তোর তো স্পার্ম কাউন্ট খুব ভালো। তুই আমায় স্পার্ম ডোনেট করবি? যার তার স্পার্ম আমি নিতে চাইনা, কিন্তু তুই তো যে সে নয়। তোকে আমি ভরসা করতে পারি।
আমি- কি সব বলছিস! আমি তোকে স্পার্ম ডোনেট করব?তোর কি মাথা খারাপ? আমি না তোর ভাই!
দিদি- তুই ই আমার শেষ আশা রে! আমি এটা নিয়ে অনেক ভেবেছি বিশ্বাস কর! এটা ছাড়া আর আমার কোনো রাস্তা নেই মা হওয়ার!
আমি- আচ্ছা তর্কের খাতিরে ধর আমি রাজি হয়েও গেলাম। কিন্তু তারপর? তোর বর তো এটা একদম চায়না! ও এটা মেনে নেবে? তোর বাচ্চা বড় হলে আমি যখন তার সাথে কথা বলব, খেলবো , তোর বর সেটা দেখে রাগে জ্বলে যাবে না!?
দিদি- জানি রে ও কিছুতেই রাজি হবে না। তাই আমি ঠিক করেছি ওকে কিছু জানাবোই না । শুধু আমি জানবো আর তুই।
আমি- দিদি তুই এত ভাবলি আর এটা ভাবলি না যে এটা এক ঘণ্টায় ডাক্তার দেখানো নয় যে তোর বর কে লুকিয়ে করা যাবে। অনেক নিয়ম আছে। নিশ্চয়ই স্বামী স্ত্রী দুজনের সই ও লাগবে, তখন কি করবি?
দিদি – শোন, আমি সব ভেবেই তোকে বলছি। তোকে যেটা বলব তুই প্লিজ খারাপ ভাবে নিবি না! আমি জানি ওভাবে করতে গেলে হবে না। তাই আমরা কাজ টা করব যে ভাবে নরমাল কাপলরা করে সেভাবেই!
আমি- মানে?
দিদি- মানে তুই যা বুঝছিস তাই!
আমি- মানে তুই বলছিস…তুই আর আমি…সেক্স…না না আমি পারবো না এটা তুই প্লিজ আমায় এই অনুরোধ টা করিস না!
দিদি- ভাই আমি জানি তোকে আমি এমন একটা জিনিস বলছি যেটা তুই হয়ত কোনদিন কল্পনাও করিস নি যে আমি বলব। বিশ্বাস কর আমিও ভাবিনি যে তোকে এটা বলার মত পরিস্থিতি তৈরি হবে। কিন্তু এখন আমি যা করতে হয় করব মা হওয়ার জন্য। তোর সাতে সেক্স করতে হয় তাও করব আমি! প্লিজ তুই আমার উপর রাগ না করে একটু ভেবে দ্যাখ কথাটা। আমি বলছিনা যে তোকে এখনি সিদ্ধান্ত নিতে। সময় নিয়ে ভাব। তুই না বললে আমি তোকে আর কোনদিন এটা নিয়ে জোর করব না।কিন্তু আমি চাই তুই হ্যাঁ বলিস
আমি – আমার মাথা কাজ করছে না! আমায় এখন যেতে দে আমি পরে ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখব!
দিদি- ঠিক আছে রে। প্লিজ আর যাই কর আমার উপর রাগ করে চলে যাস না ।প্লিজ…
কোনো রকমে ওই পরিস্থিতির থেকে বেরিয়ে এলাম। টিউসান ছিল কিন্তু পড়ানোয় মন ছিল না। দিদির কথা গুলো মাথায় ঘুরছিল শুধু। শরীর খারাপ এর আজুহাত দিয়ে একটা পড়ানো কামাই করে বাড়ি ফিরে এলাম। জামাইবাবু ফিরে এসছে ততক্ষণে। ওর সামনে আমরা দুজনেই নরমাল থাকার প্রানপণ চেষ্টা করছিলাম। দুজনের চোখাচোখি হলেই দুপুরের কথা গুলো মনে পড়ে যাচ্ছিল। কোনও রকমে খাওয়া শেষ করে নিজের রুম এ ফিরে এলাম। হাজার রকম চিন্তা ঘুরছিল মনে। ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেছি জানিনা। ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখলাম , একটা বিছিনায় আমি আর দিদি সেক্স করছি আর পাশে একটা বাচ্চা শুয়ে দোলনায় দোল খাচ্ছে!
পরদিন আমি দিদির প্রতি আলাদা একটা শারীরিক আকর্ষণ অনুভব করলাম! দিদি কাজ করছিল আমি লুকিয়ে ওর শরীরটা দেখলাম ভালো ভাবে! আমি রাজি হলেই এই শরীরটা পেয়ে যাব আমি !দিদি কে দেখে পুরুসাঙ্গ শক্ত লোহার মত হয়ে যাচ্ছিল বারবার! দিদির পুরনো ছবি মোবাইল এ দেখে মৈথুন করলাম দুবার!
দিদির সাতে সেক্স করার জন্য ভিতর ভিতর পাগল হয়ে গেলাম! মনে হচ্ছিল দিদিকে আমার সারা জীবনের মত করে চাই নিয়মিত ভাবে! এক নতুন চিন্তা পেয়ে বসলো! দিদি হয়ত ৩-৪ বার সেক্স করবে আমার সাথে কিন্তু তারপর যদি ও প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়ে তাহলে আর কোনোদিন ওর সাথে সেক্স করা হবে না! ঠিক করলাম আমার টার্গেট শুধু দিদিকে প্রেগন্যান্ট করাই নয় , সঙ্গমের সময় ওকে এতটা সুখে পাগল করে তোলা যাতে ও আমার সাথে শোয়ার জন্য তার পরেও ছটফট করে!
পরদিন জামাইবাবু চলে যাওয়ার সাথে সাথে দিদিকে বললাম “ শোন তোর সাথে জরুরি কথা আছে।“
দিদি- বল ভাই। তুই কাল আর কিছু বললি না। আমি চিন্তায় আছি তুই কি ভাবলি! চিন্তায় ঘুমতে পারিনি দুদিন।
আমি – আমিও সারাক্ষণ তোর কথাই ভেবেছি রে দিদি! তোর কষ্ট সত্যি আর দেখতে পারবো না আমি। তাই আমি ঠিক করেছি যে আমি তোর প্রস্তাবে রাজি আছি। এবার তুই বল রে কিভাবে কি করবি!
দিদি- ভাই তুই সত্যি করবি আমার সাথে? আমি সত্যি মা হব?
আমি- মা হবি কিনা সেটা পুরো তো আমার হাতে নেই, আমার হাতে যা আছে সেটা আমি করব
দিদি- তোকে থ্যাংক ইউ বলে ছোট করব না। সত্যি বলতে কি আমি ভাবি নি তুই রাজি হবি। এখন যখন তুই রাজি হয়ে গেছিস তখন আমার ভয় করছে, যদি ধরা পড়ে যাই!
আমি- কিচ্ছু হবে না রে। ভয় পাস না।সব ঠিক হয়ে যাবে।
দিদি- আচ্ছা রে। শোন , আমার কিন্তু কিছু শর্ত আছে সেগুলো তোকে মানতে হবে
আমি- বল শুনি কি কি
দিদি- ১/ আমরা কিন্তু ভুলে যাব না যে আমরা ভাই বোন। আমরা শুধু প্রেগ্নেন্সির জন্য সেক্স করব। শারীরিক সুখের জন্য নয়।
২/ কোনোরকম ভিডিও করবি না তুই, যাতে পড়ে কোনও সমস্যা না হয়
৩/ একবার প্রেগন্যান্ট হয়ে গেলে আর কিন্তু আমরা কোনোদিন এসব করব না। তুই ও করতে বলবি না আমাকে আর আমিও বলবনা তোকে
৪/ সেক্স বলতে তুই শুধুমাত্র আমার ভিতরে তোর ওটা ধুকিয়ে তাড়াতাড়ি রস দিয়ে দিবি আমার ভিতর।তার বাইরে কিন্তু কিছু না। মানে আমার বুকে কিছু করবি না , আমরা কিস করব না সেক্স এর সময় কনভাবেই আর ওরাল সেক্স এর তো কোনও প্রশ্নই আসেনা
৫/ বাচ্চা হলে কিন্তু সেটা আমার আর তোর জামাইবাবুর। পড়ে কিন্তু তুই এ নিয়ে কোনও ঝামেলা করবি না।
আমি- ওরে তুই থামবি? তুই ভাবিস কি আমায় বলত? তুই যেগুলো বলছিস সেগুলো আমি এমনিতেই কিছু করব না!
দিদি- জানি তুই করবি না, তাও বলে রাখলাম, পড়ে যদি তোর মন বদলে যায়…
আমি- আর তোর মন যদি বদলে যায়?
দিদি- বদলাবে না, চিন্তা করিস না। তোর জামাইবাবু আমায় বাচ্চা দিতে পারেনি ঠিক ই কিন্তু বিছানায় যথেষ্ট সুখ দেয় আমায়। আমি কখনও মন থেকে আর কারও সাথে সেক্স করতে পারবো না। তোর সাথে করব সেটা প্রয়োজনে কিন্তু মনের ইচ্ছায় নয়।
আমি- সে সব তো বুঝলাম। করবি কবে, কখন?
দিদি- আমার পিরিয়ড শেষ হয়েছে আজ ৮ দিন । আর এক দুদিন পর থেকে ভালো সময় প্রেগন্যান্ট হওয়ার জন্য। পরশু থেকে শুরু করব ওকে? আগে থেকে তোকে সময় বলে দেব। তোর স্কুল আর পড়ানোর সময় গুলো আমায় বলিস আমি সেই মত তোকে বলে দেব রোজ।
আমি- শেষ প্রশ্ন। কদিন করব আমরা এরম?
দিদি- ৭ দিন ধরে নে। তোর সাথে পরপর ৭ দিন সেক্স করলে আশা করি হয়ে যাবে । না হলে তারপর ভাবা যাবে তখন। আর এখন বেশি ভাবিস না। আর হ্যাঁ, এই কদিনে নিজে নিজে কিন্তু একদম বের করবি না একবারও। যা বের করবি দিনে একবার আমার সাথে, মনে থাকে যেন!
চলবে...