#গল্পঃ মা তাহলে কার
#পর্বঃ ৮
স্যার আরও মিনিট খানেক ঠা পি য়ে আ হ ও করতে করতে মাকে জড়িয়ে ধরলো। তাহলে কি স্যার মার সো না র ভিতরে তার ঘন ঘন মা ল ঢালতেছে? মাকে দেখলাম স্যারকে জড়িয়ে ধরে তার গালে একটা চু মু দিয়ে জিজ্ঞেস করতে,
- হইছে, এখন তো খুশি?
স্যার মার কপালে একটা চু মু দিয়ে বলল,
- হুম
বলেই মাকে জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষণ শুয়ে রইলো। মিনিট তিন এক পরে মা বলল,
- উডেন এলা, আমি বাথরুমে যাব।
স্যার বলল,
- আর একটু থাকি না এভাবে।
মা স্যারকে ঠেলে উঠিয়ে দিতে দিতে বলল,
- বাহিরে আলো ফুটে গেছে আর না।
স্যার মার উপর থেকে কম্বল সরিয়ে উঠে বসতেই, মা তার বা হাত দিয়ে সো না চেপে ধরে বাথরুমে চলে গেল। স্যার কে দেখলাম তাদের দুজনের কাপড় খোঁজে খোঁজে নিয়ে বাথরুমে গেল। বাথরুম থেকে পানি পড়ার শব্দ আসতে লাগলো। কিছুক্ষণ পরে স্যারকে দেখলাম লুঙ্গি পরে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতে।
স্যার রুমে এসে আমার পাশে চুপচাপ শুয়ে পড়ো। স্যার পাশে শুয়ে থাকাতে বাধ্য হয়ে চোখ বন্ধ করে রাখলাম। কিছুক্ষণ পরে বাথরুমের দরজা বন্ধ করার শব্দ পেলাম। চোখ একটু খুলে দেখলাম মা তার সব জামা কাপড় পড়ে বাথরুম থেকে বের হয়েছে। মাও দেখলাম চুপচাপ নিজের বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লো।
আমি আবারও চোখ বন্ধ করে মাকে আর স্যারকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে যখন ঘুম ভাঙ্গে ঘড়িতে তখন দশটা বাজে। আমি বিছানা থেকে নেমে মায়ের দিকে খেয়াল করলাম, অনেক নিশ্চিন্ত ঘুমাচ্ছে। স্যারও তখন নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল। দুজনেই রাতে অনেক পরিশ্রম করছে তাই হয়তো এত নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে।
আমি চুপচাপ বাথরুমে চলে গেলাম। ফ্রেশ ট্রেশ হয়ে মিনিট দশেক পড়ে বের হলাম। মাকে দেখলাম এবার উঠে বিছানায় বসে আছে। খেয়াল করলাম আমার দিকে তাকাতে মার অনেক লজ্জা লাগছে। মার লজ্জা কাটানোে জন্য বলল,
- রাতে অনেক ভালো ঘুম আছে। বাসের যাতায়াতের ক্লান্তি দূর হয়ছে।
মা তখনও কিছুটা লজ্জা পাচ্ছিল তার পরেও আমাকে বলল,
- হুম, আমার ও অনেক ভালো ঘুম হয়ছে।
আমাদের কথা শুনে স্যারের ঘুম ভেঙে গেল। স্যার কে ঘুম থেকে উঠতে দেখে, মা তার নতুন শাড়ি ব্লাউজ পেটিকোট নিয়ে বাথরুমে চলে গেলো গোসল করতে। স্যার আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে জিজ্ঞেস করলো,
- মায়ের সাথে কি কথা হচ্ছিল?
আমি বললাম,
- তেমন কিছু না, রাতে ঘুম ভালো হয়ছে এই আরকি।
স্যার বিছানা থেকে নামতে নামতে বলল,
- দশটা বেজে গেছে তুমি রেডি হয়ে নাও, তোমার মাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাব।
আমি মাথার চুল ঠিক করতে করতে বললাম,
- আমি রেডি, আপনি আর মা রেডি হলেই হবে।
- আচ্ছা তাহলে আমি নাস্তার ব্যবস্তা করি।
বলেই স্যার ফোন হাতে নিয়ে বারান্দায় চলে গেল। হোটেলে নাস্তা অর্ডার দিয়ে স্যার রুমে আসতেই মা বাথরুম থেকে বের হয়ে আসলো। মার চেহারায় একটা খুশির চাপ ছিল, যা আমার নজর এরালো না। স্যারকে দেখলাম মার দিকে হা করে এক পলকে তাকিয়ে থাকতে।
মার রুপের সৌন্দর্য স্যার এই ভাবে হা করে দেখছে দেখে মা লজ্জা পেয়ে গেল, আর একটা গলা জারা দিয়ে স্যারকে বুঝিয়ে দিল রুমে আমি আছি। সাথে সাথেই স্যারের হুশ ফিলে এল আর স্যার বাথরুমে চলে গেল লুঙ্গি নিয়ে।
মা রুমে এসেই আমাদের সব কিছু ঘুছিয়ে নিতে লাগলো কারণ আজকেই আমরা বাড়িতে চলে যাব। কিছুক্ষণ পরেই স্যার বের হয়ে আসলেন। স্যারও তার সব কিছু ঘুছিয়ে নিল। তখনি কলিং বেলের আওয়াজ, স্যার গিয়ে দরজা খুলে নাস্তা নিয়ে রুমে আসলো।
মার তার হাতের কাজ সব শেষ করে তিন প্লেটে আমাদের জন্য ভুনাখিচুড়ি দিল। আমরা তিন জনেই একসাথে খেতে বসলাম। স্যারের প্লেটে খিচুড়ি বেশি থাকায় মার উদ্দেশ্যে বলল,
- আমি এতো খিচুড়ি খাব না, পেট একদম ভরা।
মা বলল,
- কালকে কোন সময় খাইছেন, এইডি আপনের লাগবো খান।
স্যার মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলল,
- রাতে একদম পেট ভরে খাইছি, এখন না খাইলেও চলবো।
স্যারের কথা শুনে মা অনেক লজ্জা পেতে লাগলো। আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম স্যার রাতের খাওয়া বলতে মাকে চো দা র কথা বলতাছে। মাও মুচকি হেসে বলল,
- এক রাতে এতবেশী কেউ খা?
স্যার খিচুড়ি খেতে খেতে বলল,
- খাবার ভালো আর মজার হলে তো সবাই বেশি করেই খাবে।
মা বলল,
- আপনার খাইতে অনেক সময় লাগে। এত সময় ধরে কেউ খা?
স্যারও মার কথার জবাবে বলল,
- ভালো জিনিস একটু সময় নিয়ে চেটে পুটেই মানুষ খা।
খাওয়াতে বসে আরও টোক টাক অনেক কথা বলে মা ও স্যার নাস্তা খাওয়া শেষ করলো। মা গিয়ে তার বোরকা, হিজাব পরে রেডি হতে লাগলো। স্যারও মার সাথে তার প্যান্ট আর শার্ট পড়ে নিল। রুমে তালা মেরে আমরা নিচে নামলাম।
স্যার হোটেলের বিল পরিশোধ করে, একটা সিএনজি নিয়ে ডাক্তারে কাছে গেলাম। আমি ওয়েটিং রুমে বসে রইলাম আর মা স্যারকে সাথে করে নিয়ে ডাক্তারের কাছে৷ দুপুর ১ টার দিকে মাকে ডাক্তার দেখিয়ে স্যার আর মা আমার কাছে আসলো। মা আর স্যার কাছে আসতেই আমি বললাম,
- এত সময় লাগে ডাক্তার দেখালে?
মা আমার গাল টেনে ধরে বলল,
- বসে বসে ক্লান্ত হয়ে গেছো বুঝি?
আমি তখন মাথা নেরে হ্যা বুঝালাম। তখন মা মুচকি হেসে স্যারের দিকে তাকিয়ে বলল,
- আমিও অনেক ক্লান্ত আজকে, চলো আমরা আবার হোটেলে যায়। রাত থেকে, কালকে আরামে বাড়িতে যাওয়া যাবে।
আমি আর কিছু বললাম না, চুপচাপ মা আর স্যারের সাথে সিএনজি নিয়ে হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। রাস্তায় স্যার সিএনজি ধার করিয়ে একটা ঔষদের ফার্মেসীতে চলে গেল। কিছুক্ষণ পরে স্যার হাতে একটা পেকেট নিয়ে আবার ফিরে আসলো।
হোটেলে ফিরে গিয়ে স্যার আবার আগের রুম টাই নিল। সবাই একসাথে রুমে গিয়ে দেখি ২ টা বেজে গেছে। মা রুসে গিয়েই বাথরুমে চলে গেল ফ্রেশ হতে। স্যার ও বারান্দায় চলে গেলো খাবারের অর্ডার করতে। খেয়ার করে দেখলাম স্যার ফার্মেসী থেকে আনা পেকেট টা বিছানায় রেখে গেছে।
আমি অনেক আগ্রহ নিয়ে লুকিয়ে পেকেট টা খুলে দেখলাম, ভিতরে একটা ky জেলি আর নো রি ক্স ইমার্জেন্সি পি ল রাখা।
#চলবে

