#গল্পঃ মা থেকে বউ
#পর্বঃ ৪
মাকে ভাবতে ভাবতে বাঁ*ড়া কিচে চলছি উ ফ কি সুখ লাগছে আমার, আমি তাই ভাবলাম মা আমি তোমাকে চু*দব, ওটা তো মরার পথে এবার কে চু*দবে তোমাকে আমিই চু*দব, আ হ আ হ মা তোমাকে আমি চু*দে সুখ দেব আ হ মা সোনা মা এস মা ভাবতে ভাবতে হঠাত আমার মা*ল বেড়িয়ে গেল। উ ফ কি সুখ পেলাম মাকে ভেবে।
এরপর ঘুমিয়ে পড়লাম, সকালে উঠে নিজের কাজে মন দিলাম, দু খেপ মেরে বিকেলে নোঙ্গর করে পারে গেলাম। বাজার করলাম রান্না করলাম, আজ কামাই ভালই হয়েছে। এ পারের সবাই জানে আমি অনাথ। কারন কোনদিন কেউ আমার সাথে দেখা করতে আসেনি আর আমি বলেছি আমার কেউ নেই। মামা বাড়ির এলাকা তাই আমাকে আগে কেউ চিন্ত না। মামা বাড়ির আশেপাশের দু চারজন ছাড়া। দু টিপে ভালো কামাই হয়েছে।
আমি একা বলে খাওয়া ছাড়া খরচা নেই। রান্না করে খেয়ে আবার সে ঘুমানো। পরের দিন আবার একই কাজ করছি। আজ বেশ গরম কষ্ট ও হয়েছে। মালিক ফোন করেছিল সে আসতে পারবেনা তার বউয়ের শরীর খারাপ পরের মাসে আসবে আমি যেন সময় মতন টাকা পাঠিয়ে দেই। যথা রীতি ভেবেছিলাম মা আজ আসবে কিন্তু আসেনি।
নিজের মতন করে চলতে লাগলাম, কিন্তু কালকে রাতে মায়ের কথা ভেবে মা*ল ফেলে যা সুখ পেয়েছি তাই ভাবছি যদি আসে দেখতে তো পাবো। কিন্তু আসেনি। রাতে রান্না করে খেয়ে নিলাম আবার ঘুমাতে গেলাম, আজও মাকে ভেবে মা*ল ফেললাম।
পরের দিন ঠিক বিকেলে মা এল আমার কাছে এসে কান্না করল লোকটা মরেই যাবে একটু মাংস খেতে চেয়েছে কি করব। আমি তখন বললাম,
- বললাম না আমার এখানে না আসতে আবার এসেছ।
মা তখন কান্না করতে করতে বলল,
- মনে হয় রাত পার হবেনা কি চিৎকার করে কি বলব তোকে।
মার কান্না দেখে আমার মন কিছুটা নরম হলো তাই বললাম,
- আচ্ছা বস
বলে বাজারে গিয়ে অল্প মাংস কিনে আনলাম এসে হাতেও দিলাম আর বললাম,
- টাকা পয়সা আছে।
মা বলল,
- না নেই
আমি মাকে ৫০০ টাকা দিলাম আর বললাম,
- দাড়াও যদি মরে সৎকার তো করতে হবে এই নাও ১০০০ টাকা দিলাম আর আসবে না কিন্তু বলে দিলাম। আর আমি একটানা তিনদিন ওপারে থাকবো আসলেও দেখা হবেনা।
মা মাথা নেড়ে হ্যা বলল কিন্তু তখনো বসা বাচ্চাটাকে বুকের দু*ধ দিচ্ছে, তখনো অন্ধকার হয় নাই, ভালই দেখতে পাচ্ছি মায়ে বড় বড় দু*ধ দুটো, দু*ধ দুটো দেখতে পেলাম বলেই সব কিনে দিলাম। আর টাকাও দিলাম। কিছুক্ষণ পরে মা আমার থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেল। আমিও মার পিছনে দাঁড়িয়ে যতক্ষণ দেখা যায় মার পা*ছার দোলা দেখলাম।
এই ভাবে প্রায় ১২ দিন চলে গেছে আমার মা আর আসছেনা। একটু ভাবতেও লাগলাম কি হল পড়ের ১৫০০ টাকায় কতদিন চলে। তবে খোঁজ নেইনি একবারের জন্য আমার সময় কই। পার থেকে বাজার করে নিয়ে ফিরছি দেখি সাদা কাপড় পরা এক মহিলা দাঁড়ানো, দুর থেকে বুঝতে পারছিনা। কাছে আসতে দেখি আমার মা দাঁড়ানো। মাকে দেখেই আমি বললাম,
- কি হল আবার তোমার, শোন এখানে সবাই জানে আমার কেউ নেই তাই পরিচয় দেবে না একদম। সাদা কাপড় কেন।
মা তখন কান্না করতে করতে বলল,
- আমার সব শেষ বাবা ও চলে গেছে আজ ১১ দিন পার করে তোর কাছে এলাম। সব পাওয়ান্দার বাড়ি এসেছে কি করব তাই আমি এই মেয়ে নিয়ে চলে এসেছি তোর কাছে। আমি এখন কি করব।
আমি তখন বললাম,
- আমাকে ফেলে বিয়ে করার আগে জিজ্ঞেস করেছিলে কি করবে, তখন তো জিজ্ঞেস করনি, তখন নিজের ভালো ভেবে আমাকে ফেলে চলে গেছ আমি তো তবু কিছু দিয়েছি, তুমি কিছু আমাকে দিয়েছিলে বল। একবারের জন্য কিছু বলনি চলে গেছ আমাকে মামাদের কাছে ফেলে। আমাকে শুধু জন্ম দিয়েছ যখন আমার মায়ের দরকার ছিল তখন তুমি আমার না হয়ে অন্যের সংসার করতে চলে গেছ দু দুটো বাচ্চা পয়দা করেছ।
এখন ভাব তুমি কি করবে। উনি চলে গেছে তুমি থাকবে কি করে, তোমার তো পুরুষ দরকার। খুঁজে নাও আরেকটা, পেয়েও যাবে গতর ভালই আছে, আগের থেকে সুন্দর হয়েছ দেখতে, তোমার আবার কিসের সমস্যা। টস টসে যৌ*বন তোমার, নাগরের অভাব হবেনা। আমি কিছু পারবো না মরলে মরুক আমাকে ডাকবেনা আর এখানে আসবে না। আমার দরজা তোমার জন্য বন্ধ।
আমার ভবিষ্যৎ আছে বিয়ে তো করব, তোমাকে রেখে আমি কি করে পালবো সাথে আবার মেয়ে একটা। এত খরচ আমি কোথায় পাবো কামাই করি পরের বোট চালাই। থাকার জায়গা নেই আমি একা বোটে থাকি তোমাকে কোথায় রাখবো।
আমার কথা শুনে মা আরও জোরে কান্না করতে করতে বলল,
- বাবা আমি যে ভুল করেছি তার ক্ষমা হয় না নিজের সুখের জন্য তোকে ছেড়ে চলে গেছি, কিন্তু আমি কি করে বাঁচব তুই বল। কে আমাকে বিয়ে করবে এই বাচ্চা নিয়ে? কেউ না, আর আমি চাইও না বিয়ে করতে। তুই আমাকে দাসী করে রাখিস। তুই যা বলবি আমি তাই শুনবো। কথা দিচ্ছি বাবা, একবারের জন্য তোকে বিরক্ত করব না। যেভাবে রাখবি আমি সেভাবেই থাকবো, যদি বলিস বোটে থাকতে তাই থাকবো।
আমি কোথায় যাবো। এক কাপড়ে চলে এসেছি দেখ কিছু আনতে পারিনাই, শুধু বাচ্চাটার দু একটা পোশাক এনেছি আর আমার নেইও কিছু যে আনবো। ঘরে যা ছিল বের করতে পারবো না, কাপড় চোপর কিছু ছিল, যে গুলো তোর আব্বার দেওয়া সেও আনতে পারি নাই আনার মধ্যে এনেছি মোবাইলটা।
আর নিজের মায়ের সম্বন্ধে কি বাজে বলছিস, আমি কি ওইরকম মেয়েছেলে স্বামী মারা গেছে তাই পড়ে আবার বিয়ে করেছি, আমি কি খারাপ কাজ করি, আর উনি যা দেনা করে গেছেন আমি সারাজীবনেও সধ করতে পারব না। জুয়া খেলত, আইপিএলে জুয়া খেলে সব হেরেছে। সেই টেনশনে বাংলা খেয়ে আজ এই অবস্থা হয়েছিল, প্রতিদিন পাওয়াদার আসে আমি কোথায় পাবো টাকা শোধ করার জন্য।
আমি তখন বললাম,
- আমি তোমাকে রাখতে পারবো না। ঝরের খবর এসেছে তাই ভাবছি বোট নিয়ে সুন্দর বনের ভেতর চলে যাবো না হলে ঝরে উড়িয়ে নিয়ে গেলে আমি কোথায় পাবো বোট তাই ১ সপ্তাহের বাজার করেছি। আমি এখন বনের ভেতরে যাবো ঝর উঠবে শুনেছি। সে যেতে প্রায় ১ঘণ্টা লাগবে। তোমাকে কোথায় রাখবো।
মা তখন কিছুটা শান্ত হয়ে বলল,
- আমি তোর সাথে থাকবো।
আমি তখন বললাম,
- আবার সুযোগ পেলেই আমাকে ছোবল মারবে, না তোমাকে আমি নেব না, তোমাকে নিয়ে আমার কি লাভ?
মা তখন বলল,
- আমি তোর মা কথা দিচ্ছি তোর অবাধ্য হব না তুই যা বলবি তাই শুনবো, যেভাবে রাখবি সেভাবে থাকবো, আমাকে দাসী করে রাখিস বাবা, তুই ছাড়া আমার যে কেউ নেই বাবা, তোর কাছে আমাকে আশ্রয় দে। তুই যা বলবি আমি তাই শুনবো, আমি তোর সব কাজ করে দেব রান্না বান্না তোর সাথে কাজো করব। আমাকে ফেলেদিস না বাবা আমার যে তুই ছাড়া কেউ নেই।
আমি তখনো বলি,
- না হবেনা আমি পারবো না তোমাকে আমার ভয় করে আগের কথা মনে পড়লে আমার কান্না আসে। আমি একটু ভালো আছি তুমি সেটা থাকতে দেবে না।
মা তখন আমার হাত ধরে বলল,
- সত্যি বলছি বাবা তুই আমাকে যেমন করে রাখবি তেমন করে থাকবো, তুই যা বলবি তাই করব বাবা আমার যে তুই ছাড়া বাচার পথ নেই, না হলে এই মেয়ে নিয়ে এই নদীতে ঝাপ দিতে হবে আমাকে। আমি মরে যাই তাই তুই চাস তবে তোর সামনে ঝাপ দেব এখন। আমি তোর দাসি হয়ে থাকবো কিছুই চাইব না।
মার কথা শুনে আমার মন এবার গলে গেল। তাই মুচকি হেসে বললাম,
- ভেবে দেখ আমি যা চাইব তাই করবে তো, বাঁধা দেবে নাতো কোন সময়। মনে রেখো আমি তোমার ছেলে হলেও আমি কিন্তু একটা পুরুষ মানুষ।
মা তখন বলল,
- হুম, সে তুই যা করাবি আমি করব কথা দিলাম এই মেয়ের মাথায় হাত রেখে।
চলবে...