#গল্পঃ মা থেকে বউ
#পর্বঃ ৫
ভেবে দেখ আমি যা চাইব তাই করবে তো, বাঁধা দেবে নাতো কোন সময়। মনে রেখো আমি তোমার ছেলে হলেও আমি কিন্তু একটা পুরুষ মানুষ।
মা তখন বলল,
- হুম, সে তুই যা করাবি আমি করব কথা দিলাম এই মেয়ের মাথায় হাত রেখে।
আমি তখন খুশি হয়ে বললাম,
- দাড়াও তবে কিছু জিনিস নিয়ে আসি, তুমি দাড়াও কারো সাথে কথা বলবে না, কেউ আসলে আমাদের পরিচয় দেবে না। তোমার নাম্বার কত বল আমি বাজারে গিয়ে তোমাকে ফোন করলে ধরবে।
মা তখন বলল,
- আমার জানানেই তুই দেখে নে, তবে শেষে চৌদ্দ নাম্বার।
আমি মার মোবাইল দিয়ে একটা মিস কল করে নিলাম আর বললাম,
- আমার শেষে বারো নাম্বার। তোমার চৌদ্দ আমার বারো।
বলে একটু হাসলাম আর চলে গেলাম। বাজারে গিয়ে সব কিনলাম পরে মাকে ফোন করলাম,
- তোমার সাইজ কত বল।
মা অবাক হয়ে বলল,
- কিসের সাইজ।
আমি তখন বললাম,
- ব্লাউজের সাইজ কত কিনতে হবে না।
মা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,
- আগে তো ৩৪ ছিল এখন অনেক বেড়েছে ৩/৪ সাইজ বড় এনো। শেষে এইটা কিনেছিলাম নিজে কাজ করে এটা ৩৮ মাপের এতেও টাইট হয়।
ঘন্টা খানেক পরে বাজার থেকে নিয়ে এলাম অনেক কিছু মায়ের জন্য ৩৮ সাইজের দুটো লাল ব্লাউজ ছায়া নাইটি, বাচ্চার জন্য ৬ টা হাগিস নিলাম ভালো ফল নিলাম যদি ৩/৪ দিনে না ফিরতে পারি তো। ভেতরে কম্বল আছে। জতদুর মনে পড়ে নিয়ে এলাম, ডিজেল আগেই নিয়ে রেখেছি, সাথে কেরসিন নিয়েছি। চাল ডাল আগেই ছিল। সবজি নিলাম আর এক ট্রে ডিম নিলাম। গুরো দুধ নিলাম। ঠাণ্ডা জরের ওষুধ নিলাম একদম শেষে এক কেজি জিলাপি নিলাম। সব নিয়ে বোটে উঠতে যাবো তাই আবার মাকে জিজ্ঞেস করলাম,
- মনে আছে তো কথা? পড়ে কিছুতেই না বলতে পারবেনা। তোমার জন্য এতকিছু করছি কিন্তু।
এই বলে সব জিনিস বোটের পেছনে নিয়ে এলাম। তখন মা বলল,
- না আমি আবার মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে বলছি তুই যা বলবি আমি তাই শুনবো।
আমি তখন বললাম,
- আবার ভেবে দেখ আমি তোমার ছেলে কিন্তু পড়ে ছেলে হয়ে তুই এই বললি বলতে পারবে না।
মা তখন বলল,
- না বলব না তুই আমাকে কাছে রাখিস তারিয়ে দিস না যেন।
আমি তখন খুশি হয়ে বললাম,
- তুমি আমার কথা শুনলে তোমাকে দাসী না রানী করে রাখবো। তোমার আদর সোহাগের কোনো অভাব হবে না। আর না শুনলে বুঝতেই পারছ কি হবে।
মা তখন মুচকি হেসে বলল,
- ঠিক আছে চল আকাশ মেঘলা কোথায় যাবি চল না হলে ঝর উঠলে আর যেতে পারবিনা। পাওনাদার আবার খুজতে খুজতে চলে আসতে পারে চল বোট ছেড়ে দে।
আমি চল বলে দুজনে বোটে উঠে বোট ছেড়ে দিলাম আর বললাম এইদিকে পেছনে আস। আমি এখনো বোটের ভেতরের দরজা খুলি নাই উপর দিয়ে চলে এসেছি মাও আমার সাথে চলে এসেছে। আমি সত্যি আকাশের অবস্থা একদম ভালো নয় তাড়াতাড়ি যেতে হবে। মা হঠাৎ করে বলল,
- বাঁচালি আমাকে না হলে আজ যে আমার কি হত কে জানে। এই মেয়েটা ঘুমিয়ে পড়েছে কি করব।
আমি তখন মাকে চাবি দিয়ে বললাম,
- এই নাও চাবি নিচে দেখ একটা দরজা আছে খুলে ভেতরে যাও ওকে ঘুম পারিয়ে দিয়ে এস, ভালো বিছানা তিনজন আরামে ঘুমাতে পারা যাবে বৃষ্টি হলেও সমস্যা হবেনা।
- তাই
বলে মা ওকে নিয়ে গেল আমি আলো জেলে দিলাম, ইঞ্জিন চললে সব জায়গায় আলো থাকে। মা কিছুখন পর ফিরে এসে বলল,
- বাহ ভালই তো ভেতরে বাড়ির থেকেও ভালো, এখানে তুই থাকিস বুঝি।
আমি বললাম,
- হুম, এটাই আমার ঘর সংসার গত দুই বছর এখানেই থাকি আমি।
মা তখন বলল,
- পাশ বালিশ আছে তাই ওকে শুয়ে দিয়েছি পরার ভয় নেই, এদিকে তিনজন আর এদিকে একজন ঘুমাতে পারবে বেশ বড় ঘর বাইরে থেকে বোঝা যায়না।
আমি তখন বললাম,
- হ্যা, আমাদের বোট খুব জোরে চলছে, আকাশের অবস্থা একদম ভালনা যেতে পারবো তো আগে ঝর উঠলে বিপদ।
মা তখন চিন্তিত হয়ে বলল,
- জোরে চালা।
- না পৌছে যাবো
বলে মোবাইল দেখি ৯ টা বেজে গেছে, আর বেশী রাস্তা নেই, সামনে গিয়ে খালে ঢুকতে পারলে আর সমস্যা হবেনা। একটু ভেতরে গিয়ে নোঙ্গর ফেলবো, দুদিকে গাছ সরু খাল ভয় নেই। আমাদের আর ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। ভয় নেই এখনো হাওয়া ছারেনি পৌঁছে গেছি এইত এবার ঢুকবো বলে ঘুরিয়ে দিলাম খালের ভেতর। এর আগে একবার এসেছিলাম এখানে ঝরের সময় তিনদিন পড়ে বের হয়েছি জল কমার পড়ে। এবার আস্তে আস্তে চলছে সরু খাল তাই ভেতরে ঢুকে গেছি। তখন মাকে বললাম,
- এক কাজ কর ওই প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে দেখ জিলাপি আছে নিয়ে এস।
মা ব্যাগের ভিতরে দেখে বলল,
- এতগুল এনেছিস কে খাবে এত।
আমি তখন বললাম,
- ঝরের পড়ে ঠান্ডা লাগবে তখন খেলে গা গরম হবে। কিছু বের করে আমাকে দাও তুমিও খাও।
মা জিলাপি হাতে নিয়ে বলল,
- এই নে হা কর
বলে আমার মুখে পুরে দিল। আমি খেতে খেতে বললাম,
- তুমিও খাও দেখি
বলে আমি হাতে নিয়ে এই নাও হা কর বলে মায়ের মুখে ঢুকিয়ে দিতে গেলাম মা অমনি সরে যাচ্ছিল আমি কি করছ বলে কোমর জড়িয়ে ধরলাম এবং আমার কাছে টেনে নিলাম একদম বুকের সাথে চেপে ধরে বললাম,
- পড়ে যাবে তো ওদিকে ফাঁকা সে হুশ নেই?
মায়ের দু*ধ দুটো তখন এসে আমার বুকে লাগল আ হ কি নরম আর বড় মুহূর্তের মধ্যে আমার বাঁ*ড়া দাড়িয়ে গেল মাকে আমি চেপে রেখেছি আমার বাঁ*ড়া মায়ের দুপায়ের খাঁজে খোঁচা দিতে লাগল আমি ভেতরে জা*ঙ্গিয়া পরি নাই। তখন আবার মাকে বললাম,
- একদম পাশে যাবেনা ডিলিক দিয়ে পড়ে গেলে কুমির আছে আর তোমাকে খুঁজে পাবো না।
চলবে...