Type Here to Get Search Results !

মা ছেলের চাহিদা ( পর্ব ২ )


 #গল্পঃ মা ছেলের চাহিদা

#পর্বঃ ২

মহিলা যেনো আঁকাশ থেকে পড়লো, নিজেই ধোকা খেয়ে গেলেন, তারপর তিনিও হাসতে লাগলেন ৷ রোমানা এসব খুবই উপভোগ করে যখন কেউ তার সৌন্দর্যের তারিফ করে। ইদানিং রোমানা আক্তার খুব-ই যৌ ন কাতর হয়ে পড়েছেন।

স্বামীকে কখনও মুখফুটে কিছু বলতেও পারেন না, কারন তার সংসার এবং শরীর এমন যে স্বামী ইচ্ছে হলে ভোগ করবে না হলে ফেলে রাখবে। গোসলের সময় হালকা ডলাডলি করেলে তার কামনার আগুন যেনো আরো বেড়ে যেতো, এসব ভুলে থাকার জন্যে রোমানা ইবাদাত বন্দেগী বাড়িয়ে দিয়েছে, হয়তো এসব শয়তানের কারসাজি।

রমিজ বাজারে আসতেই দেখলো, তার স্বাদের পার্টি অফিস জলে যাচ্ছে আগুনে। কেউই বলতে পারেনা কে এই কাজ করেছে ৷ এমপির লোকদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার জন্যে রমিজ মির্জা লোকজন নিয়ে থানায় গেলেন, ডিউটি অফিসার ছিলো মুস্তফা দারোগা, পুরোই এমপির চামচা,বেটা টাকা খেয়ে খেয়ে ভুরি ফুলিয়েছে।

মুস্তফা কোনো প্রত্যক্ষদর্শী ছাড়া মামলা নিবে না ৷ অনেক বলে কয়ে তখন অভিযোগ দায়ের করে রমিজ মির্জা বাজারে ফিরলো। বাজারে রমিজ মির্জার অনেক গুলো ভিটি ছিলো, কিছু তিনি দিয়েছেন আড়তদার দের আর একটা ভিটি নিজের জন্যে রেখেছেন, মাঝে মাঝে বসেন দলীয় লোকদের নিয়ে।

সেখানে বসে ছিলেন মাওলানা সাদেক সাহেবের সাথে, এদিকে উড়োউড়ো খবর পাচ্ছে রুমেলও নাকি এই কাজে জড়িত। যদিও কেউই সামনে এসে বলছেনা ৷ দলের কিছু কর্মীকে মারধর করেছে, তারাও বলছে ভয়ে এবং আত্মরক্ষার তাগিদে তারা কিছুই খেয়াল করেনি।

তবে কিছু নেকাবধারী এসে তাদের স্টিক দিয়ে প্রথমে মারধর করে বের করার পর নাকি আগুন জ্বালিয়ে দেয় অফিসে! কি সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার। রমিজ মির্জা আর সাধারণ সম্পাদক মোওলানা হাজী সাদেক সাহেব বিষয়টা নিয়ে চিন্তামগ্ন হয়ে পড়লেন ৷ এলাকাটা সহিংস হয়ে পড়ছে ৷

- রমিজ ভাই, বিষয়টা ঠিক হয়নি, এভাবে তারা আমাদের অফিসে আগুন জ্বালিয়ে দিলো ৷ মানুষদের মারধর করলো, শেষ জামানার আলামত দেখতে পাচ্ছি ৷ মানুষ হানাহানিতে মেতে উঠছে ৷ নামাজ কালাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে ৷

- কিন্তু দেখেন শুক্র বারে ঠিকই মসজিদে জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না ৷ মালিক এদের হেদায়াত দান করুক ৷

একথা বলতে বলতে একখিলি পান মুখে পুরে দিলো রমিজ মির্জা। দুপুরের কান্ডের পর থেকে এমপির বাড়িতেই ছিলো রুমেল সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এমপি রেজাউল চৌধুরী রুমেলের কাজে খুবই সন্তুষ্ট, এবং তার নেকাবের ব্যাপারটা শুনে তাকে খুবই বাহাবা দিলেন ৷ খাওয়া দাওয়ার পর এমপি রুমেলকে ডাকলেন,

- আমার ওলিপুরের সবগুলো ভোট চাই যেভাবেই হোক, আমি জানি তুই পারবি রুমেল। এটা রাখ তোরা চা নাস্তা করিস।

রেজাউল চৌধুরী ৫শের একটা বান্ডেল রুমেলের হাতে দিলেন।

- রুমেল থাকতে ওলিপুরের কেন্দ্র নিয়ে কোনো চিন্তাই করতে হবে না চাচা।

রুমেল রেজাউল করিমকে চাচা বোলে সম্বোধন করতো, অনেক কাছের লোকছিলো তাই। রুমেল তার পোলাপান নিয়ে বের হয়ে আসলো এমপির বাসা থেকে। সবগুলো বাইক নিয়ে আবার কলেজের দিকে রওনা দিলো, ওলিপুর কলেজে অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ছে রুমেল, পড়া লেখা তো সুধু বাহানামাত্র ছাত্র রাজনীতির জন্যে।

রুমেল সহ পিপলু, জনি, রন্টু সবগুলো ক্যাম্পাসের পেছনে গিয়ে গাজা টানলো কিছুক্ষণ, মাথাটা কেমন পরিষ্কার হয়ে গেলো! চোখ বন্ধ করতেই তার মা রোমানা আক্তারকে তার সামনে দেখতে পেলো, ভেজা শাড়িতে দাড়িয়ে,লম্বা কালো চুল ভিজে কোমরের নিচ অব্ধি ঝুলে রয়েছে, পিপলুর কথায় সে সজাগ হলো,

- তা এমপি আমগোর জন্যে কত হাদিয়া দিলো রুমেল ভাই?

- ৫০ দিছেরে পিপলু।

পিপলুর চোখবড় হয়ে গেলো!

- হ ঠিকি ধরেছিস, আইচ্চা হুন আমারে বাড়িতে যাইতে হবে। ২০ দিয়া গেলাম তোরা ভাগ কইরা নিছ, গাঞ্জাটা ঠিক নেশা জমাতে পারছেনা আজকাল অন্য নেশা ধরতে হবেরে পিপলু।

রুমেল তার বাইকনিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলো। রুমেলের বাইকটাও এমপির দেওয়া। রুমেলেই এমপির জনসভায় অর্ধেক লোক জোগার করেদেয় , যার কারনে এমপি সাহেব খুশী হয়ে তাকে FZ টা গিফট করছে। বাড়ির দরজা পেরিয়ে রুমেল বাড়িতে ডুকে গেলো।

বেশিনা রাত ৮টা বাজে সবে, আজ তাড়াতারিই চলে আসলো বাড়িতে, বাইকের আওয়াজ পেতেই সোমা বুঝতে পারলো তার ভাইজান এসেছে, ছোট্ট সোমা পড়ার টেবিল থেকে উঠে গেটের বাহিরে চলে আসলো, রুমেল ছোট বোনটাকে কোলে তুলে নিলো, তারপর পকেট থেকে দুটো ক্যাটবেরি তাকে দিয়ে বলল, একটা যাতে আসমা কে দেয়। আসমা পরার টেবিলেই ছিলো, আম্মা রুমেলকে দেখেই রাগ দেখিয়ে বলতে লাগলেন,

- দুপুরে কোথায় ছিলিরে তুই?

রুমেল ঠান্ডা মাথায় বললো,

- কাজ ছিলো,আম্মা। সামনে নির্বাচন বুঝই তো।

- আমি বাপু অতোকিছু বুঝিনা। তোদের বাপ বেটাকে এতবারন করেও এসব থেকে সরাতে পারলাম না।

রুমেল তার মাকে দেখতে লাগলো রাগ করলে তার মাকে আরো বেশী মিষ্টি লাগে, দুগাল কেমন লাল হয়ে আছে মায়ের মাথায় হিজাব করা, আর সেলোয়ার পরা, তার আম্মাকে দেখতে অলিপুর কলেজ ছাত্রীর মতো লাগছে! রোমানা দেখতে পেলো তার ছেলে উজবুকের মতো হা করে তাকিয়ে আছে,

- কিরে একভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো? কিছু বল!

- আম্মা আপনারে কতবার বললাম, রাজনীতি হলো মানুষের সেবার করার একটা সুজোগ, আমি সেই সুজোগ টা নিছি এতে খারাপ কি।

- হইছে আমারে আর বুঝাতে হবে না, হাতমুখ ধুয়ে এসে খেতে বস।

- হ ,খিদা লাগছে ভাত বাড়েন ৷

রোমানা চলে যাবার সময় রুমেল তার পিছনের দিকটা দেখতে লাগলো, আ হ্ হেব্বী গতর আম্মার, লম্বাতে সাড়ে পাঁচ ফিটের নিচে হবে না ৷ হিজাবের উপর দিয়েও উনার স্ত ন দুটোর অস্তিত্ব হালকা টের পাওয়া যায় ৷ রুমেলের বার মু'ডার ভেতরে একটা অজগর সাপ নিজের অস্তিত জানান দিতে লাগলো।

রুমেল ফ্রেশ হয়ে এসে খাওয়ার টেবিলে বসলো, সাথে তার বোনেরাও খেতে বসেছে, আজ মা বিরিয়ানী রান্না করেছে। রুমেল খেতে লাগলো ,আসলেই অনেক ক্ষুধার্ত ছিলো রুমেল, কারন এমপির বাড়ির কোন কিছুই ভালো হয়নি, সালারা কে যে রান্না করেছে!

মায়ের হাতের রান্নার তুলনায় হয়না, জননী তার ছেলেকে এমন করে খেতে দেখে রুমেলের সামনাসামনি একটা চেয়ারে বসলো, রোমানার ভালো লাগে যখন নিজহাতে রান্না করা কিছু তার ছেলে বা স্বামী তৃপ্তি সহকারে খায়। টেবিলের নিচ দিয়ে রুমেল তার পা হালকা ছড়িয়ে বসতেই হঠাতই কোমল কিছুতে যেতো তার পা ঠেকলো, রুমেল আরো ভালো করে স্পর্শ করতেই জননী তার পা সরিয়ে ফেললো, রোমানা মনে মনে ভাবতে লাগলো,

- এটা কি ছিলো? রুমেল কি ইচ্ছে করেই করলো? না ভুল বসত! হয়তো ভুলেই হবে।

সোমা খেতে বসে লেবুর বায়না ধরলো, সে লেবু ছাড়া বিরিয়ানি খাবেনা, তাই রোমানা চেয়ার থেকে উঠে রান্নাঘরে চলে গেলো। রুমেল বুঝতে চাইছে মায়ের হাবভাব, তার খাওয়া শেষ করে বেসিনে হাত ধুতে চলে গেলো, বেসিনটা ছিলো গলিতে।

রোমানা আবার আসার সময় রুমেলের সাথে তার একটা ধাক্কা লাগলো, জননীকে নিজের বাহুডোরে সামলে নিলো রুমেল, জননীর খাড়া স্ত ন রুমেলের বুকে এসে ধাক্কা খেলো, এমন কোমলতা আগে কখনো অনুভব করেনি।

তার লুঙ্গির ভেতর থেকে ঠাটানো সাপটা জননীর তলপেটে ছোবল দিতে লাগলো, রোমানা কিছুক্ষণের জন্যে যেনো কোথায় হারিয়ে গেলেন। এমন শক্তভাবে আকড়ে কেউ কখনো তাকে ধরেনি, তার থেকেও তার ছেলে অনেকটা লম্বা ৷ ছেলের পেশী বহুল হাত দিয়ে তাকে আকড়ে ধরেছে, ছেলে যেনো জননীকে নিজের করে পেতে চাইছে। তলপেটের উপর সাবলের মতো কিছুর অনুভূতি পেতেই রোমানা নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে সামলে দাড়ালো, রুমেল তখন বলল,

- আম্মা একটু দেখে শুনে চলবেন না, দুদিন হইলো লাইট আইনা রাখছি কেউ বুঝি লাইটটা গলিতে লাগাতে পারে নাই?

রুমেল তার আব্বাকে ইঙ্গিত করলো। রুমেল সেই লাইটের খোজে অন্য রুমে চলে গেলো, রোমানাও সরে গেলো। একি হলো, নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলো না রোমানা। সোমার কথায় তার চিন্তা ভঙ্গ হলো,

- কই আম্মা লেবু আনছেন?


চলবে...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area