Type Here to Get Search Results !

মা ছেলের চাহিদা ( পর্ব ১ )


 ছাত্র নেতা রুমেল, মাথায় তার একেক সময় একেক জিনিষ ভর করে আর একবার কোন কিছুর প্রতি যদি সে লেগে যায়, তা সে পেয়েই ছাড়ে। তার বাবা রমিজ মির্জা একজন মাদ্রাসা শিক্ষক হলেও সে লেখাপড়া করেছে পোড়াবাড়ি হাইস্কুল থেকে৷ আর এই ছেলে হাইস্কুল থেকেই রাজনীতি করে আসতেছে৷

বাবার হাতে কয়েকদফা মার খেয়েও রুমেল দমেনি ৷ রুমেলের মা রোমানা আক্তার আবার নরম মনের মানুষ এসব রাজনীতি মারামারি খুবি ভয় পান ৷ রুমেলের বাবা ধর্মীয় রাজনীতি করতেন আর রুমেল ছিলো তার এন্টি সরকারী দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা।

মেট্রিকের পর কলেজে উঠতেই রুমেল এর নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে লাগলো, এলাকার নির্বাচনে যে কোনো নির্বাচনে রুমেল বড় নেতাদের জন্যে কাজ করতে লাগলো। রমিজ মির্জা কখনো ভাবতেই পারেনি তার ঔরসে এমন সন্তান জন্মাবে! আজ থেকে ২০ বছর আগে রমিজ মির্জা যখন বিয়ে করেন তার বয়স ছিলো ৩৫ আর রোমানার হয়তো ১৪ হবে।

সকল হুজুরদের মতোই তিনিও কচি মেয়েই বিয়ে করেছিলেন, রোমানা একেবারে কুমারী ছিলো তখন ৷ এখন সেই রাতের কথা রমিজের মনে পড়ে সেদিন কিভাবে রক্তাক্ত করেছিলো রোমানার যৌ না ঙ্গ ৷ সেই মিলনের ফসলই হলো রুমেল ৷ কত বুঝিয়েছেন ছেলেকে কিন্তু কে শুনে কার কথা ৷

একেবারেই অবাধ্য ছেলে তার ৷ এর থেকে মেয়েরা ডের ভালো , ঠিকমতো নামাজ পড়ে আর পর্দা করে চলাফেরা করে একেবারে তাদের মায়ের মতোই ৷ রুমেলের দু বোন আসমা আর সোমা ৷ আসমা ১২ আর সোমার ৬ বছর চলছে ৷

রুমেল তার দু বোনকে অনেক ভালোবাসে ৷ রুমেল লুকিয়ে একবার তার মায়ের গোসল করা দেখতে গিয়ে আসমার হাতে ধরা খেয়ে যায় তারপরেও আসমা কাউকে বলেনি, এরপর থেকেই রুমেল আসমার জন্যে চকলেট, কানের দুল সহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জিনিস নিয়ে দিতো৷

রুমেল সারাদিন আড্ডা দিতো আর ঘরে এসে মাকে কল্পনা করে হাত মারতো ৷ এটা তার একটা পুরোনো অভ্যেস ৷ এর শুরু হাইস্কুল থেকে, একবার পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ভিজে শাড়ি লেপটে যাওয়া অবস্থায় মাকে দেখে, সে থেকেই রুমেল মাকে কল্পনা করতে লাগলো।

এমনিতে রোমানার চালচলন ছিলো খুবি সম্ভ্রান্ত তাকে দেখে খারপ কিছুই মনে আসবে না কিন্তু রুমেলের কল্পনায় তার মা ন গ্ন থাকে যার কারনে সে মাকে নিয়েই ম গ্ন থাকতো ৷ তার মনে মায়ের জায়গা কখনোই কেউ অতিক্রম করতে পারেনি।

মজনু মামার দোকানে বসে ছিলো রুমেল, এলাকায় নির্বাচন চলছে, শেষ হলেই এমপি থেকে টাকা পাবে, রুমেল। চিন্তা করতে লাগলো তা দিয়ে মায়ের জন্যে কিছু কিনবে। তার চিন্তার ছেদ ঘটিয়ে বজলু বলে উঠলো,

- রুমেল ভাই, ধর্মীয় দলের লোকেরা নির্বাচনে ঝামেলা করতে পারে।

রুমেল তখন বলল,

- তাদের এতো সাহস আছে নাকিরে বজলু?

- তোমার বাবাই তো তাদের লগে, সাহস করতেও কি!

- তাহলে চল ৷ এ রন্টু, পিপলু কই তোরা স্টিকগুলো নে আর কিছু পেট্রোল নিছ কাউসার মামার দোকানতে ৷

ধর্মীয় দলের অফিসের সামনে এসেই রুমেল স্টিক হাতে ভেতরে ঢুকলো, তারপর আর্তনাদের আওয়াজ আসলো ভেতর থেকে, অফিসের লোকজন দৌড়ে যে যেখানদিয়ে পারে পালালো, তারপর রন্টু পেট্রোল ছুড়তে লাগলো আর পিপলু লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলো।

দুপুরে খেতে বসেছিলো রমিজ মির্জা , এমন সময়েই বাজার থেকে হেলাল এসে বাড়িব সামনে বিলাপের মতো করতে লাগলো ৷

- রমিজ ভাই সব তো শেষ হয়ে গেলো, আমাদের অফিস জালিয়ে দিয়েছে , এমপির লোকেরা।

রমিজ মির্জা দ্রুত খাওয়া শেষ করলেন।

রোমানা - আরে কই যান

রমিজ - হেলালের কথা শুনো নাই? অফিস নাকি জালিয়ে দিছে ৷

রোমানা - আপনে এসবে না গেলেও তো পারেন ৷

রমিজ - বললেই তো পারা যায় না রোমা, এতো বছরের গড়েতুলা সংগঠন! কইরে হেলাল ,চল।

রোমানা দরজা দিয়ে স্বামীর চলে যাওয়া দেখতে লাগলেন। আসমা আর সোমা এমনিতে শান্ত মেয়ে হলেও বাবা না থাকলে নিজেদের মধ্যে দুষ্টামি করতে থাকে, যেমনটা এখন করছে। রোমানা তাদের নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়লেন ৷

রোমানা - তোরা একটু ঘুমাতে পারিস না?

আসমা - সোমা , ঘুমাচ্ছেনা!

রোমানা - তুই বুঝি ঘুমে ?

সোমা হাসতে লাগলো। রোমানা তার মেয়ে দুটার মাঝে শুয়ে পড়লেন। সোমা খুব আবদার করে তার মা কে বললো,

- আম্মা একটা গল্প শুনান না ,

রোমানা একজন সাহাবির গল্প শুনাতে লাগলেন ৷ মায়ের গল্প শুনানোর মাঝেই গল্পের অনুরোধকরী নিজেই ঘুমিয়ে পড়লো। গল্প শেষ করেতেই রোমানা উঠে নিজের রুমে চলে গেলো ৷ আর আসমাকে কড়া গলাায় নির্দেশ দিয়ে গেলো শোমাকে যেনো না জাগায়।

রুমেল দের বাড়িটা সেমি পাকা, মাঝখানে গলি দেওয়া, রুমেলের রুমটা সবার সমনে বারান্দার পরেই, তার পাশেরটা তার মা বাবার, আর রুমেলের অপজিটে আসমা আর সোমার রুম, আসমা আর সোমার পাশেরটা রান্নাঘর, আর গলির মাথায় বড় করে একটা বাথরুম ৷ ঘরের লোকদের জন্যে, আর বাহিরেও একটা আছে যেটা কাচারী ঘরে কেউ আসলে তার জন্যে ৷

রোমানা তার ঘরে এসে বিছানায় শুয়ে পড়লেন, দুপুরে খাওয়ার পর তিনি একটু ঘুমান ৷ সকালে যেমন হিজাব পরে তিনি উঠানে হালকা হাটেন তেমনি এটাও তার ডেলি কাজের মধ্যেই পড়ে, রোমানা খুবি পর্দাশীল ৷ এ ঘর করার আগে বাড়ির পুকুরে গোসল করতে যেতেন কিন্তু ঘর করার পর গোসলখানাতেই গোসল করেন ৷ ঘরেও তার চালচলন শালীন ৷ মির্জাবাড়ির বৌদের মধ্যে তারমতো রুচিশীল আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অন্য কেউ নেই। সেদিন রমিজের চাচাতো ভাইয়ের শ্বাশুড়ী ঘরে এসে রোমানাকে দেখে বললো,

- এই মেয়ে তোমার মা কে ডেকে দাও ৷

তখন রোমানা মিষ্টি হাসিদিয়ে বললেন,

-  আপনি কাকে খুজছেন,

- রমিজ মির্জার বৌটাকে একটু দেখতাম ৷ মেয়ের বিয়ের সময় এসেছিলাম কিন্তু তখন ভালো করে খোজ নেওয়া হয়নি ৷

তখন মুখে হাসি রেখেই রোমানা বললেন,

- আমিই ওনার স্ত্রী

মহিলা যেনো আঁকাশ থেকে পড়লো, নিজেই ধোকা খেয়ে গেলেন, তারপর তিনিও হাসতে লাগলেন ৷ রোমানা এসব খুবই উপভোগ করে যখন কেউ তার সৌন্দর্যের তারিফ করে। ইদানিং রোমানা আক্তার খুব-ই যৌ ন কাতর হয়ে পড়েছেন, স্বামীকে কখনও মুখফুটে কিছু বলতেও পারেন না, কারন তার সংসার এবং শরীর এমন যে স্বামী ইচ্ছে হলে ভোগ করবে না হলে ফেলে রাখবে।


চলবে...


#গল্পঃ মা ছেলের চাহিদা

#পর্বঃ ১

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area