Type Here to Get Search Results !

মা ছেলের চাহিদা ( পর্ব ১১ )


 #গল্পঃ মা ছেলের চাহিদা

#পর্বঃ ১১

মায়ের ঠোটগুলো হালকা ফুলে আছে আর গালটা কেমন লাল হয়ে রয়েছে, এটাই হিজাবের মধ্য থেকে সুধু মুখটায় দেখা যাচ্ছে তবে মায়ের ৫ ফুট ৫ ইঞ্চির শরীরটা কল্পনা করতে তার তেমন একটা বেগ পেতে হলো না। বাইকের শব্দ, ছোটমামা এসেছেন আসমাকে নিয়ে, সাথে আব্বাও আছেন, হয়তো বাজার থেকে এদিকে আসতে উঠেছেন। মামা,কে সালাম দিতেই মামা জিগাসা করলেন,

- কি খবর নেতা?

রমিজ তাচ্ছিল্য ভরা মুখে ওপাশে গিয়ে বসলেন।

- তা নির্বাচন তো ঘনিয়ে আসছে, তোদের প্রচারনা কেমন চলছে?

- মামা প্রচারনা তো আমদেরটায় চলছে তবে কথা হলো, যত গর্জে ততো বর্ষে না ৷ আমাদের থেকে ইসলামী যুক্তফ্রন্টের সমর্থন বেশী। এদেশের মানুষ এক সরকার কে দুবার ক্ষমতায় দেখতে অভ্যস্ত নয়, সে যতো ভালো কিংবা খারপ করুম।

ভাগ্নের রাজনৈতিক জ্ঞানে তিনি মোটেও বিষ্মিত নন, সবার মুখে মুখে ভাগ্নের নাম তো আর এমনি এমনি ছড়ায়নি। রোমানা ভাই আর স্বামীর জন্যেও নাস্তা লাগালেন, ছেলের কথা শুনে রমিজ মনে মনে খুশিই হলেন, যে তাদের অবস্থান যে শক্ত তা ছেলেও স্বীকার করলো, তবে আসলেই রুমেলের রাজনৈতিক জ্ঞান তাকে মুগ্ধ করলো।

রুমেল রাস্তা করে, পেন্ট শার্ট পরে চুল আছড়ে, পার্টি অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্য বাইক বের করতেই সোমা ছোট্ট ব্যাগটা কাধে ঝুলিয়ে তৈরী হয়ে দৌরে এসে বললো,

- ভাইজান আমাকে স্কুলে নামিয়ে দেওয়া লাগবে,

- আচ্ছা চল, মামা, দেখা হবে বাজারে, আম্মা আমি বাজারে গেলাম,

একটু শব্দ করেই রুমেল বলে রওনা দিলো, আগে কখনো রুমেল কোথাও যেতে মাকে এভাবে বলে যেতো না। রমিজ আর আমির নাস্তার ফাকে ফাকে কথা বলতে লাগলো,

- দেখেন ভাইজান (রমিজ আমিরের ছোট বোনের জামাই হলেও রমিজ আমিরের থেকেও বড় বিধায় আমির রিমিজকে ভাইজান বোলে সম্ভোধন করতো) রুমেলকে নিয়ে আপনি অযথাই চিন্তা করেন, একটা বিয়ে করিয়ে দেন দেখবেন এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে, যৌবনে ছেলে পেলেরা এমন একটু আদটু উগ্র থাকেই।

- কে মেয়ে দিবে এমন ছেলেকে? আর পড়ালেখাও তো শেষ হয়নি।

- কি যে বলেন না দুলা ভাই মেয়ে তে আমাদের নিজেদের মধ্যেই আছে, বড় ভাইজানের মেয়ে আরশি অথবা বড় আপার মেয়ে নিলুফাও কিন্তু অনেক লক্ষ্মী হয়েছে, আর তার অনার্স তো কয়েক মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। বিষয়টা ভাইবা দেখিয়েন,

- আচ্ছা দেখি নির্বাচনটা যাক আগে তারপর এসব নিয়ে বসবো।

শরীরটা অনেক হালকা লাগছিলো রুমেলের কাল রাতের মায়ের সাথে এমন একটা দীর্ঘ চো'দা চু'দির পর। রুমেল ভাবেনি মাকে এমন করে কখনো পাবে। কিন্তু বাবার কাচারীতে শোয়ার ব্যাপারটা তাকে নিজের মায়ের কাছে যেতে সুযোগ করে দিয়েছে, আর বাবার মা কে ঠকানোর যে কথাটা তা রুমেল আন্দাজ করেই বলে দিয়েছে,

রমিজকে দেখলে কিন্তু বুঝা যায়না সে যৌ'ন দূর্বল পুরুষ। তবুও এমন সুন্দরী মায়ের সান্নিধ্য যে মিস করে সে হয় বোকা নাহয় যৌ'নক্ষম। মায়ের মনের মাঝে রুমেলের আসনটি আরো পাকাপোক্ত করতে হবে, রুমেল বাজারে পৌছেই ইলিয়াস মিয়াভাইর সাথে সরাসরি দেখা করলো,

- সালাম, মিয়াভাই,

- আরে রুমেল,বসো বসো। তোমারে দেখলেও ভাল্লাগে। কি একটা ভাষনেইনা দিলা ,প্রান জুড়ায়া গেছে।

- মিয়া ভাই, বসার জন্যে অন্যসময় আসবো, তোমার কাছে দরকারে আসছি,

এবার ইলিয়াস সিরিয়াস মুডে চলে আসলো,

- মিয়া ভাই, দুইটা আপেলের কার্টন লাগবে!

ইলিয়াসের চোখ কপালে! (রুমেল বো মার কথা বলছে)

- দুই বাক্সো? শহর টহর উড়াইবা নাকি, ইলিয়াস মুচকি হেসে বললো, প্রথমে ঘোড়া এখন আপেলের বাক্সো! মতলব কি তোমার?

- মিয়াভাই, মতলব তো আছেই, রুমেল বেমতলবে কিছুই করেনা। তবে আপতত এইটাই বুঝে নেন, যা হবে তাতে আমাদের সবারেই ফায়দায় হবে।

- রুমেল, সুধু তুমি বলতেছো বলেই হয়তো আমি এনে দিবো তবে এর পরে যা হবে তার রেসপনসিবিলিটি কিন্তু আমি নিবো না।  এটা মনে রাইখো।

- মিয়াভাই, এরপর যা হবে তার রেসপনসিবিলিটি আমার আপনি সুধু ব্যবস্থাটা করে দেন,

- ঠিকাছে হবে যাবে,

- আমার এ সাপ্তাহের মধ্যেই লাগবে,

- তাহলে কারবারটা নির্বাচন কেন্দ্রিক!

রুমেল, হেসে জানান দিলো ইলিয়াসের ধারনা সঠিক।

- যাই মিয়াভাই, আমার পার্সেল আসা মাত্রই খবর দিবেন, দেরি করা যাবেনা একদম,

রুমেল টেবিল থেকে বাইকের চাবি হাতে নিয়ে উঠে দাড়ালো, কি করতে চায় ছেলেটা, রাজনীতির মাঠে আমি তার একযুগ আগে আসলেও ছেলেটার কাছ থেকেই যেনো অনেক কিছু শিখতে হচ্ছে আমাকে, রুমেলের বয়সের থাকাকালীন এসব কিছু হাতে নিতেও হাত কাপতো ইলিয়াসের কিন্তু এ ছেলে যেনো, এসব নিয়ে খেলছে!

তবে রুমেল ইলিয়াসের খুবই খাস, তার সাথে যখন পুরানো কমিটির ভেজাল হয়েছিলো সেখানে রুমেলই প্রথম তাকে সাপোর্ট করে ইমপির মাধ্যমে ব্যাপারটার মিমাংসা করেছিলো,

- পিপলু কোথায় আছিস?

- মনজু মামার দোকানে……

- কলেজের পেছন দিকটায় এসে মিট কর

- আসতেছি দাড়া তুই।

কলেজের পেছনে রুমেল বাইকের উপর বসেছিলো, কিছু ছেলে পেলে সেখানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো, কিন্তু রুমেল কে দেখেই বুঝতে পারলো, এখানেই তাদের আড্ডার সমাপ্তি! রুমেলের সিগারেটের ধোয়া উড়ে যাবার আগেই সেখানের ছেলেপেলেরা হাওয়া হয়ে গেলো, পিপলুও তার পালসার নিয়ে সেখানে পৌছে গেলো,

- পিপলু, কিছু মাদ্রাসার ষ্টুডেন্ট লাগবে, বা এমন বলতে পারিস যে কিছু নিজস্ব লোক লাগবে যারা মাদ্রাসার ছাত্রের ভুমিকায় অভিনয় করবে!

রুমেল হাসতে লাগলো, পিপলুও বুঝে গেলো তার বন্ধুর মনের ভাব, সে কিছু জানতে না চেয়েই বলেদিলো, চট্রগ্রাম থেকে কিছু ছেলে ছোকরা,ভাড়া করে আনবো চিন্তা করিস না। তবে নাটকের নেইমার কাহীনিই তো বললি না।

- পিপলু এটা হবে খন্ড নাটক যার এক ঘন্ড সম্পর্কে অন্য খন্ডের অভিনেতারা কিছুই জানবেনা, তুইও তোর খন্ডের অংশ শীঘ্রই জেনে যাবি, হা হা হা ৷

পিপলুও একটা সিগারেট ধরালো,

- রুমেল, বিষয় গুলো খুবই জটিল হয়ে যাচ্ছেরে বন্ধু ৷

- চাপ নিস না সময় হলে সব কিছুই চোখের সামনে চলে আসবে, তখন আর জটিল মনে হবে না। আমার বাক্সটা কই রাখেছিস?

- ইলিয়াস ভাই থেকে নেওয়া ঐটা?

- হুম,

- আমাদের ঘরের সানসিটে আছে,

- আরো কয়দিন পর আমি নিয়া যামু, আসলে, বাড়িতে আব্বায় ঝামেলা করবে, কয়দিন পর আব্বা তাবলীগে গেলে মিয়া যামু , ততদিন সামলে রাখ।

- সমস্যা নাই যখন ইচ্ছা নিস।

বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় রুমেল ভাবলো সোমাকে নিয়ে যাওয়া যাক, সে তার স্কুলের দিকে গেলো, স্কুলের মঠে ঢুকতেই দেখলো ক্রীড়া প্রতিযোগীতার জন্যে বাছাই চলছে, দোলন মাষ্টার রুমেল কে দেখেই বললো,

-  আরে নেতা সাহেব যে,ভোট চাইতে নাকি?

রুমেল মুচকি হেসে বাইক থেকে নামলো,

- আরে মাষ্টার সাহেব, ভোট চাওয়া তো সারাদিনের হয়, এসেছি আপনাদের একটু খোঁজখবর নিতে, ছোট বোনটাকে আপনাদের এখানে দিয়েছি, কি করছে না করছে অভিভাবক হিসেবেই আজ আসা।

- তোমার বোনকে দেখলাম, গোমড়া মুখু হয়ে ক্লাসে বসে আছে, তার সহপাঠীদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন খেলায় নাম দিয়েছে কিন্তু সে নাকি অংশ নিবে না, এতো করে বললাম, বলে তোমার বাবা নাকি নিষেধ করেছে,

- কে বললো দিবে না, সেও অংশগ্রহণ করবে আপনি নাম লিখে রাখেন আমি তার ক্লাস থেকে আসছি।

রুমেল সোমার ক্লাসে ঢুকতেই দেখে প্রথম বেঞ্চিতে তার বোন বসে আছে। ভাইকে দেখেই সোমা খুশি হয়ে উঠলো,

- কিরে সোমু তুই নাকি অংশ নিবি না? কেনো!

- আম্মিকে বলেছিলাম কিন্তু আম্মি বলেছেন, আব্বুজানের নিষেধ আছে।

- কোনো নিষেধ নেই, তুই অংশনে ভাইজান সবকিছু ম্যানেজ করবো।

- সত্যি বলছো ভাইজান

- আলবৎ সত্যি

সোমা তার ভাইকে জড়িয়ে ধরলো। ক্রীড়া প্রতিযোগীতার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক দোলন চন্দ্র মজুমদার সোমাদের বাছাই করলো, ২টা অব্ধি রুমেল তার বোনের সাথেই ছিলো তারপর বাছাই পর্ব শেষ করে সোমাকে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলো। বাড়িতে পৌছাতেই সোমা বাইক থেকে নেমে, আম্মিইই বলে চিতকার দিতে দিতে রোমানাকে খুঁজতে ঘরের দিকে গেলো, রুমেল আস্তে করে বাইক থেকে নেমে, ধীরে সুস্থে ঘর ঢুকলো, রোমানা, রান্নাঘরেই ছিলো। সোমা গিয়ে তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো,

- আম্মি আম্মি ভাইজান দৌড় খেলার আমার নাম দিয়েছে, জানো আম্মি, কেউ আমার আগে পৌছতেই পারেনি, আমি বাছাইয়ে প্রথম হয়েছি।

রোমানা, মেয়ের মাথায় হাতবুলিয়ে দিলেন,

- যা ড্রেস খুলে গোসল করেনে, খেতে বসবি,

ওদিকে রুমেল অনেকটাই রমিজের মতো জোরে বলে উঠলো,

- কই গো ক্ষুধা লেগেছে তো!

এমন ভাবে বলছে, আমি যেনো উনার বৌ!

- হাত মুখ ধুয়ে বস আমি বাড়ছি,

রুমেলের যেনো দেরী সহ্য হলোনা, সোজা রান্না ঘরে ঢুকে গেলো,

- কি হলো তোমায় ডাকছি না।

- বলে ছিতো হাতমুখ ধুয়ে নিতে,

রুমেল পেছন থেকে মায়ের বগলের নিচ দিয়ে হাত গলিয়ে স্ত ন দুটো মুঠো করে ধর,, নিজের বা ড়াটা মায়ের পা ছায় চেপে দিতে দিতে বললো,

- এখুধা তো তোমাকে দেওয়া ছাড়া মিটবে না আম্মা।



চলবে..

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area