#গল্পঃ মা ছেলের চাহিদা
#পর্বঃ ৪
আমারও একটু কাজ আছে বাজারেই নামিয়ে দিয়েন, রুমেল বাজারে রাশেদ কে নামিয়ে দেওয়ার পর কিছুদূর এসে দেখলো তিনটা ছেলে রাশেদ কে ঘিরে কি যেনো কেচাল করছে, বাইক ঘুরিয়ে রুমেল রাশেদের কাছেই ফিরে গেলো আর বলল,
- কিরে কি সমস্যা তোদের?
- তুই আবার কে? আমাদের মধ্যে নাগ গলাতে আসিছ না হারমজাদা গিলে ফেলবো একেবারে।
রুমেলের মাথাটা গরম হয়ে গেলো , ততক্ষনাৎ রুমেল ছেলেটার গালে কষে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলো।
- মা*গীর পুত আমার লগে ই*ত্রামি চো*দাস? রুমেল মির্জার লগে ফাপড় লছ!
রাস্তাটা ছিলো জেসির মোড়। এটাও রেজাউল এমপির এলাকা। রুমেলের নাম শুনেই বাকি দুটো ছেলে তার পায়ে ধরে ফেললো,
- ভাই ভুল হয়ে গেছে ভাই ৷
- কাহীনি কি সেটা বল ৷
- ভাই রাশেদ আমাদের চাচাতো বোনরে ডিস্টার্ব করে তাই তারে বুঝাইতে আসছিলাম,
- আচ্ছা, বুঝেছি ৷ এখন শুন আমার মামাতো ভাইরে আমি ভালো করেই চিনি সে কোনো খারাপ পোলা না, তোরা রাশেদরে হ্যাল্প করবি, যেমনেই হোক আমার মামাতো ভাই যাতে কষ্ট না পায়৷
রুলেন তাদের মিলিয়ে দিয়ে চলে গেলো, পিপলুর সাথে দেখা করতে হবে আর্জেন্ট। অনেকদিন পর আজ বাবার বাড়িতে এসেছে রোমানা, যে কারনেই হোকনা কেনো এসছে ৷ এই উঠানেই ছোট বেলায় কানামাছি খেলেছিলো ৷ ঐযে বাড়ির সেই পুকুর কতো সাতার কেটেছে এই পুকুরে বাবা মোল্লা হারেস মুন্সী ছিলেন খুবি কড়া মানুষ তারপরেও রোমানাকে তিনি একটু ঝাড় দিতেন, বাবার আদরের মেয়ে ছিলেন, কৈশরেই বিয়ে হয়ে যায় তার ৷ মুসলমানদের মেয়ে কোরান পারলেই হয় তারপরেও সে মাদ্রাসা থেকে মেট্রিক পাশ করেছিলো। রমিজ মির্জার সাথে সংসার করে আজ সে চার দেয়ালের মাঝে বন্ধি। ছোট ভাবী তার ভাবনায় বাদ সাদলো,
- রোমানা তুমি আসলেই ভাগ্যবতী, রমিজ ভাইয়ের মতো জামাই পেয়েছো, তারপর রুমেলের মতো লক্ষী একটা ছেলে তোমার, সব কিছুতেই মা কে খুঁজে, নাহলে ডাঙ্গর হওয়ার পর বাজারে যেতে কোন ছেলে তার মায়ের অনুমতি নেয় বলো?
রোমানা মিষ্টি হাসলো,
- হাইসো না, এই যে দেখো আমার রাশেদটা যে কই গেলো আমিও জানি না। তা ভাই কেনো আসলো না?
রোমানা তখন বলে,
- উনার একটা সভায় বয়ান আছে।
- চলো,নাস্তা রেডি হয়ে গেছে ৷
- আরে ভাবী মাত্রই না নাস্তা করলাম, আপনারাও পারেন এসব ঝামেলা বাড়াতে,
- কিসের ঝামেলা, পোড়া কপাল আমাদের ননদরা একটু এসে খোজ নেয়না আমাদের ৷
ছোট ভাবী তার হাত ধরে নাস্তার টেবিলে বসিয়ে দিলেন, সোমা বলতে লাগলো আম্মি আমি একটুও খাই নি আপনের জন্যে বসেছিলাম, রোমানা তার ছোট মেয়েটাকে কোলে তুলে নিলেন, একেবারেই ডঙ্গী মেয়েটা তার। বড় আপাও সাথে বসেছে তাই দেখে রোমানা বলল,
- আপা দুলাভাই আসলো না?
- ব্যাস্ত তো রাতে হয়তো আসবে , চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে তার আর ব্যস্ততার শেষ নেই৷
বড় আপার মেয়ে নিলুফাও নাস্তার টেবিলে বলেছিলো, হাসিমুখে মেয়েটাকে মিষ্টি লাগছে ভিষন। রোমানা মনে মনে ভাবলো, আমার রুমেল টা পড়া শেষ করলে তার জন্যে এমন একটা মিষ্টি বৌ আনবো। মেহমানদের নাস্তা শেষে তাদের কে রুম দেখিয়ে দেয়া হলো৷ রোমানা তার ভাবীদের সাথে গল্পগুজব করতে লাগলো, পুরনো দিনের মতো।
আসমা আর সোমা তার মামাতো আর খালাতো বোনদের সাথেই আছে, সোমার কথাগুলো খুবই মিষ্টি এটুখানি মেয়ে এমন আবেগমাখা সব কথা বলে যে অবাকেই হতে হয়, নিলুফাকে বলছিলো, আপুমনি তোমাকে আমাদের সাথে নিয়ে যাবো, তোমাকে আমার ভালো লেগেছে ৷ নিলুফা আলতো করে তার গাল টিপে দিলো। রমিজ মির্জা সভার প্রধান বক্তা,
তিনি তার বয়ান শুরু করলেন, যে করেই হোক সমাজ থেকে এসব প্রতিহিংসা দুরে ঠেলতে হবে, শেষ জমানায় এসেও নিজেদের ঈমান টিকিয়ে রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ ৷ আর আমাদের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জন্যে আমাদের চাই ইসলামী সরকার ৷ সভার সবাই হ্যা বোধক শব্দ করতে লাগলো,
সভা শেষে রমিজ মির্জার সাথে তার ছেলে দেখা করতে এসেছিলো যদিও রুমেল তার বাবার সাথে এতোটা কথা বলেনা তবুও মায়ের কারনে আসা, সে জানিয়ে দিলো আম্মা আজ সে বাড়িতে বেড়াবে,
- আমরাও আজ সারারাত মাশোয়ারা করবো, ইসলামের ভবিষৎ নিয়ে, তুই যাওয়ার সময় বাড়ি হয়ে যাস দেখিস সব আর কাচারীতে তালা দেওয়া আছে কিনা।
রুমেল বুঝতে পারলোনা কাচারীটা কেনো রমিজের কাছে এতো গুরুত্বপূর্ণ! সে বাড়ি হয়েই পিপলুর সাথে দেখা করলো, পিপলুর সাথে বসে অনেক্ষন আলাপ করলো তারপর দুটো বড়ি খেয়ে নানা বাড়িতে রওনা দিলো, নানুবাড়িতেও সামনেই একটা কাচারী ঘর রয়েছে,
আগেকার সময় সব বাড়িতেই কাছারিঘর থাকতো যদিও এখন সব বাড়িতে সে রেওয়াজ নেই তবে কিছু পুরোনো বাড়ি এখন ঐতিহ্য ধরে রেখেছে ৷ সন্ধ্যের পর রুমেল নানুবাড়িতে পৌছালো, রাশেদ আর রুমেল কাচারী ঘরে শুবে বোলে ঠিক হলো,
রুমেল রাশেদকে ফোন করে বললো তোর যদি কোনো লুঙ্গি থাকে ভাইর জন্যে একটা নিয়ে আসিস, কাচারী ঘরে সোডিয়াম বাতি লাগানো হলুদ আলো, রুমেল তার বাইকটা ঘরে ঢুকালো, তার কিছুক্ষণ পরেই রাশেদ রুমেল ভাইর জন্যে নতুন একটা লুঙ্গি নিয়ে এসেছে, তাদের কাপড়ের দোকান থেকে আর বললো,
- ভাইয়া আমাকে যেতে হবে, রাতটা একটু ম্যনেজ করতে হবে।
- কি হলো রে আবার?
- ভাইয়া, ঐযে আমি যে মেয়েটাকে পছন্দ করি আজ তাদের বাড়িতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হবে তার বড়বোনের আমি সেখানে থাকবো বলে ঠিক করেছি, আম্মাকে বলেদিছি, যে বন্ধুর বোনের বিয়ে কিন্তু আব্বা জানে না যদি জিগাস করে, আপনে একটু ম্যানেজ করিয়েন।
রুমেল অন্য করম ভাবে হাসতে লাগলো, রাশেদ একটু ঘাবড়ে গেলো,
- আচ্ছা যা,,
নতুন লুঙ্গিটা কচকচ করছে, কেমন ফুলা ফুলার লাগছে। এশার নামাজ পড়া শেষে, রোমানা কাচারিতে ছেলের কাছে এসেছে স্বামীর কথা জানতে আর ছেলেকে খেতে ডাকার জন্যে, রোমানা কাচারীতে ডুকে খাটের কিনারায় দাড়িয়ে রুমেলকে জিগাস করতে লাগলো,
- রুমেল তোর আব্বা কি বললোরে?
রুমেল উঠে দরজার কাছে গিয়ে বাইকটাকে ঠিক করে লক করতে করতে বললো,
- বলেছে সমস্যা নেই।
রোমানা আনমনা হয়ে খাটে বসলেন রুমেল তার বাইকটা লক করেই দরজাটার সিটকিনি আটকে দিলো! দরজা টানার শব্দে জননী তার দিকে চাইতেই রুমেল আম্মার দিকে ফিরে বললো,
- ঠান্ডা বাতাস আসছিলো তাই আটকে দিলাম, আর জানালাগুলো ও আটকানো, কেউ কিছু দেখবে না কেউই কিছু জানবেওনা আম্মা।
রুমেলের কন্ঠে কেমন যেনো একটা শয়তানি সুর!
- রুমেল কিসের কথা বলছিস তুই?
- আপনে বুঝতে পারতেছেন আম্মা নাহলে এভাবে আমারে জিগাইতেন না, রুমেল ধির লয়ে মায়ের কাছে এসে দাড়ালো,
রোমানার শরীর যেনো জমে গিয়েছে , অতি কষ্টে সাহস নিয়ে রোমানাও উঠে দাড়ালো তার চোখে মুখে ভয় রাজ্যের ভয় বিরাজ করছে, রুমেল তার দুহাত জননীর কাধে রাখলো, জননীর চোখে চোখ রেখে তাকে কোন ঠাসা করার চেষ্টা,
- ভালো হবেনা রুমেল, এসব ঠিকনা।
- কি ঠিক কি ভুল তা বিচার করার আমরা কেউ নয় ৷
রুমেল মায়ের হিজাবটা খুলতে লাগলো, ছোট ছোট কয়েকটা আলপিন খুলতেই হিজাবটাও খুলে গেলো, তাতেই মায়ের খোপা করা চুল গুলো দৃষ্টিগোচর হলো! রুমেল তার দুহাতে মায়ের মাথাটা ধরে নিজের দিকে নিয়ে এসে তার ঠোট দুটো দিয়ে জননীর ঠোটদুটো স্পর্ষ করলো।
চলবে...

