#গল্পঃ মা ছেলের চাহিদা
#পর্বঃ ৮
রোমানার অন্তরটা ছেলের জন্যে নরম হতে থাকলো। রুমেল মাকে ধরে ধরে কি করে কি ব্যবহার করতে হয় দেখিয়ে দিলো আর মোবাইলের মধ্যে মায়ের ফিঙ্গার লক সেট করে দিলো, দেখেন এভাবে আঙ্গুল ছোয়ালেই সব খুলে যাবে, এর ফাকেই রুমেল মায়ের সাথে ঘনিষ্ট হয়ে পেছন বরাবর দাড়িয়ে দুহাত মায়ের নাভির দিকে এনে পেছন থেকেই জড়িয়ে ধরলো,
- আম্মা আপনারে আমি ভালোবাসে ফেলেছি,
রোমানা তার পা ছার ফাকে রুমেলের বা ড়ার উপস্থিতি টের পেতে লাগলো,
- বাবা, এসব ঠিকনা তুইও জানিস,
- কি ঠিক না বলছেন? যদি ঠিক নায় হতো তাহলে আপনাকে দেখে আমার ধ ন দাড়াতো না, আর আপনিও আমাকে এতোক্ষণ আপনাকে জড়িয়ে রাখতে দিতেন না, আমি জানি আম্মা আপনিও ক্ষুধার্ত আব্বা যে রাতের পর রাত কাছারীর নাম করে আপনারে ঠকায় তা আমিও জানি, আপনার মনের মধ্যে আব্বার জন্যে যে আসনটা রাখা আছে সেটায় আমি বসবো, আপনি আমারে বসাবেন যেমনেই হোক বসাবেন এতে আপনারও লাভ আমারও লাভ।
- কিন্তু কেউ এসব জানলে! আমি তো সমাজে মুখ দেখাতে পারবো নারে বাপ,
রুমেল মাকে ঠেসে ধরে ঘাড়ে কাল রাতের কামড়ের জায়গা চেটে দিতে দিতে বললো,
- কিউই যানবে না আম্মা, আপনে আর আমি ছাড়া,
- তারপরেও, এসব ঠিক না, তুই আমার নিজের পেটের ছেলে,
- ঠিকাছে আম্মা আপনারে আমি জোর করবো না, আপনি ভেবে দেখেন,
রুমেল বুঝলো, মাকে সময় দেওয়া প্রয়োজন তাই সে নিজেকে সামলে নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যেতে যেতে বললো,
- শপিং বেগে ব্যাথার ঔষুধ আর পিল আছে খেয়ে নিয়েন।
রোমানা, তার প্রতি ছেলের কেয়ার দেখে কেমন যেনো দূর্বল হয়ে পড়ছেন।
অন্যদিকে রেজাউল চৌধুরীর বাড়ির ছাদের গোলঘরে গোপন মিটিং হচ্ছে,
- খরচ পাতি নিয়া তোমরা চিন্তাই করবে না,যা লাগে দিবো, কিন্তু আমার কিন্তু ভোট চাই ৷ গতবার প্রশাসনের সহায়তায় ভোট করছি তাই এবার তাদের উপর চাপ আছে, কিন্তু তোমাদের হাত কিন্তু খোলা থাকবে।
- চাচাজান, খোলা হাতে ঘোড়া থাকলে, শয়তানেও ভয় পায় আর এরা তো আমাদের এলাকার শান্তিপ্রিয় জনগণ!
- কিন্তু, খোলা মেলাভাবে এসব করলে মানুষের চোখে পড়বে ৷ কাজ করতে হবে আড়ালে আড়ালে,
- মোক্তার ভাই, হাইস্কুল থেকে রাজনীতি কইরা আসতেছি, এসব আমারে বুঝায়েন না, যার হাতে পাওয়ার, মানুষে তার কথায় শুনে ৷
- রুমেলের কথাটা ভুল না,
ইলিয়াস যোগ করলো।
- আমি সুধু ফলাফল চাই ,তোমাদের এসবে আমি জড়াবো না ৷ উপর মহলে আমার একটা ইমেজ আছে। রুমেল উত্তেজনা ছড়িয়ে ঠিক হবে না ৷ ঠান্ডা মাথায় কাজ করার পরিকল্পনায় কর৷
- মাথায় তো অনেক পরিকল্পনায় আছে কিন্তু চাচাজান, আমার পোলাপানের সংখ্যা তো আপনে জানেনই, খরচপাতি একটু বেশীই লাগে,
- তুমি আমার ছেলের মতো,রুমেল ৷ যখন যা লাগবে সরাসরি এসে নিয়ে যাবা।
রুমেল হেসে রেজাউল চৌধুরীর প্রতি অনুগত্য জানালো। এমপি সাহেবের বাসায় দুপুরের খাবারের আয়োজন হলো,
- চাচাজান আমার একটু কাজ আছে যেতে হবে,
- কি বলো, চৌধুরী বাড়ী থেকে দুপুরবেলা কেউ কখনো না খেয়ে যায় নি, তুমিতো জানোই, কাজ পরে।
রুমেল আটকে গেলো, ইচ্ছে ছিলো দুুপুরে মায়ের সাথে বসে খাবার। পিপলুকে একটা ফোন লাগালো,
- পিপলু, পার্টি অফিসে কিছু বাক্স রাখা আছে এগুলো নিয়ে বাড়িতে সামলে রাখ, আমার দুদিন পর লাগবে
- ok
পিপলু জিগাসাও করলো না কিসের বাক্স, রুমেল বলেছে এতেই হয়ে গিয়েছে। ছোট থেকেই ছেলেগুলো রুমেলের সাথে থাকে, আড্ডাদেয় তাদের বোঝাপড়া সম্পূর্ণ অন্য লেভেলের। চৌধুরী বাড়ি থেকে রুমেল সরাসরি পিপলুর সাথে কলেজের পেছনে আড্ডা দিবে বোলে মনস্থ করলো।
ছেলে চলে যেতেই রোমানা, শপিং ব্যাগ থেকে ঔষধের প্যাকেট টা খুললো, কিছু প্যারাসিটামলএর সাথে ইমকন এর একটা প্যাকেট, মনে মনে রোমানা কিছুটা লজ্জা পেলো ৷ সে ভাবতেই পারেনি ছেলের বিষয়টা মাথায় থাকবে ৷ অথছ মজিদকে তো বারবার কিছুর জন্যে বললেও সে ভুলে যায়।
হঠাতই রোমানা স্বামী আর ছেলের মধ্যে তুলনা করা শুরু করেছেন! রোমানা পাতা থেকে ট্যাবলেট টা খুলে খেয়ে নিলো, এতো কিছুর পরেও গতরাতের বিষয়টা তার কাছে একটা দূর্ঘটনার মতোই মনে হলো, নিজের পেটের ছেলের সাথে নিজেকে কল্পনা করতে তিনি চাচ্ছেন না। সোমা স্কুল থেকে ফিরেছে,
- আম্মি …
দৌড়ে এসে রোমানাকে জড়িয়ে ধরেছে, মেয়েটা বলল,
- আম্মি আমাদের স্কুলে কাল খোলাধুলার জন্যে বাছাই করবে, আমিও খেলায় নাম দিতে চাই আব্বাকে বলিয়েন।
- মা,তোর আব্বাজান তো এসব একদমই দেখতে পারেন না, স্কুলে মেয়েদের খেলাধুলা করাটা উনার পছন্দ না।
সোমার চেহারাটা মলিন হয়ে গেলো। দেখে রোমানার খুবি মায়া হলো, নিজের চঞ্চল মেয়েটার মলিন মুখ তার মোটেও ভালো লাগছে না।
- দেখো দেখি! লক্ষ্মী মেয়েটা আমার আচ্ছা, আমি তোর আব্বাকে বলবো।
সোমা মাকে জড়িয়ে ধরলো খুশিতে। রান্নার কাজ শেষে হয়েছে আপাতত, এবার মেয়েকে রোমানা গোসল করাতে নিয়ে গেলো ৷ সোমাকে গোসল করিয়ে তিনি নিজেও আরেকবার গোসল করে নিলেন, পানি ঢেলে নিজেকে পবিত্র করার চেষ্টা, ঝরনার পানি যখন তার গা স্পর্শ করে যাচ্ছিলো তার মধ্যে অন্যধরনের শিহরণ জেগে উঠলো,
এর সাথে রোমানা পরিচিত নন, তার সামান্য নত স্ত ন যুগলের বোটা দুটো অকারনে শক্ত হয়ে উঠছে! তার ফোলা গু দের চেরায় পানি লাগতেই আবার শিরশির করে উঠলো, এই শিরশিরানি যেনো ছেলের কাছে দুরন্ত গতিতে ভোগ হওয়ার সাক্ষী দিচ্ছে ৷ রোমানা কিছুক্ষনের জন্যে ছেলেকে নিজের স্বামী বলে কল্পনা করে নিলো, জোর পূর্বক হলেও যে অনাকাংখিত সুখ সে গতরাতে পেয়েছে,তার অনুভূতি সহজে ভোলার নয়। কানে যেনো ভেসে আসলো ছেলের কন্ঠটা,
“আম্মা আপানার মনের মধ্যে আব্বার জন্যে যে আসনটা রাখা আছে সেটায় আমি বসবো"
রোমানা দুচোখ খুলে এসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেরে ফেলতে চাইলো, এসব আমি কি চিন্তা করছি, “যৌবনের আগুন জ্বলে দ্বিগুণ, আর নিষিদ্ধ যৌনতার আগুনে আরো ভয়াবহ ”
সন্ধ্যে প্রায় ঘনিয়ে এসেছে, রমিজ মির্জা অনেক আগেই বাড়ি ফিরেছে মাদ্রাসা থেকে, রোমানা তাকে ভাত বেড়ে দিলো, পান খেয়ে খেয়ে রমিজের জিহ্বা পুরোটাই গেছে, কোনো কিছুতেই স্বাদ পান না। খাওয়া শেষে, রমিজ নিজেদের রুমে গিয়ে খাটে বসতেই, মোবাইলসেট দেখে অবাক, কার এটা? টেবিল থেকে সব কিছু গুজগাছ করে, রোমানা রুমে আসতেই, রমিজ তাকে জিগাসা করে বসলো,
- এই শয়তানী জিনিসটা কার!
- আপনার ছেলে, কিনছে আমার জন্যে। সে নাকি বাজারে একটা লাইব্রেরী দিছে ঐখান থেকেই লাভের টাকায় আমার জন্যে, মোবাইলটা নিলো।
- দেইখ, আবার এসব শয়তানী জিনিস পত্র, আর তোমার ছেলে কোন হারামের টাকায় এসব কিনছে কে জানে, তারে তো আর বিশ্বাস করা যায় না।
রোমানা জোর দিয়ে বললো,
- আমারে কখনোই রুমেল মিথ্যা বলেনা।
রমিজ রাগে গজগজ করতে থাকলো, এসবের পর রমিজকে সোমার স্কুলের খেলার কথা আর বলার ইচ্ছে হয়নি রোমামার। রমিজের ধারনা, তার ছেলে রুমেল বখে গিয়েছে ৷ যাকে আর ফেরানোও সম্ভব নয়, সে চেয়েছিলো ছেলে হাফেজ হবে নামাজ পড়াবে। ছেলের হাত ধরে সে বেহেস্তে যাবে,
কিন্তু মাদ্রাসায় ছেলে সুবিধা করতে পারলো না, তারপর তার ভাইয়ের কথা ধরে হাইস্কুলে ভর্তি করেছিলো, রমিজের ভাই এর মতে স্কুলে পড়েও ভালো মানুষ হওয়া যায়, যেহেতু তিনিও স্কুলেই পড়েছেন ৷ কিন্তু ছেলে সুধু মারামারি করতো, একসময় এই ছেলের উপর থেকে তিনি আশা হারিয়ে ফেলেন, সুধু মাত্র তার ঔরসে জন্ম বলেই পিতার দ্বায়িত্ব পালন করতে লেখাপড়ার খরচ দিয়ে গেছেন ৷
রমিজ মির্জা চেষ্টা কম করেনি, তিনি তার বৌয়ের কেনো জন্মনিয়ন্ত্রণ করান নি এমন কি বড়িও খেতে দেননি, আরেকটা ছেলের আশায় আশায় তার দুটো মেয়ে হয়েছে কিন্তু ছেলে আর হয়নি, এখনো রমিজ আশা হারায়নি, কিন্তু নিজের দূর্বলতা সম্পর্কে সে ভালো করেই জানে, তারপরেও অনিয়মিত ভাবে বৌয়ের সাথে সহবাস করছেন, যদি খোদা কখনো মুখতুলে তার দিকে চান! সন্ধ্যায় রমিজ ওযু করে মসজিদের দিকে যেতে যেতে রোমানা বললেন,
- বৌ, তোমার ঔষুধ আনতে ভুলে গিয়েছিলাম, নামাজ পরে বাজারের দিকে যাবো আসার সময় ঠিক নিয়ে আসবো ৷
রোমানা ধারনা করলো, রাতেও রমিজ ভুলে যাবে!
- লাগবে না, এখন একটু ভালো লাগছে।
- আচ্ছা গেলাম ৷
ছেলেটা সেই যে সকালে গেলো, আর খোজ নেই, ফোন নাম্বার তো সেইভ করে দিয়েছে, কল কি করবে! না, থাক। ফোনটা হাতে নিয়েও জননী রেখে গেলো বিছানায়। তারপর নিজেও ওজু করতে গেলেন। ওদিকে রুমেলের কাছে, রেজাউল চৌধুরী ৩ লাখ টাকা পাঠালেন,তার হাতখরচের জন্যে।
রুমেল সেখান থেকে দু লাখ, জাবেদের কাছে দিয়ে দিলো, তার লাইব্রেরীতে নতুন মাল তোলার জন্যে। আর লাখখানেক টাকা সংগঠনের ফান্ডে জমা রাখলো, তারপর, ৫০ জনের মতো ছেলেপেলে নিয়ে রুমেল গেলো কাশিপুর বাজারে এমপির নির্বাচনী সমাবেশে, কয়েক জনের পর সেও ছাত্রসংগঠনের সভাপতি হিসাবে বক্তিতা রাখলো,
- আপনারা জানেন এলাকায় গত পাঁচ বছরে কি কি উন্নয়ন হয়েছে, আমি বাড়িয়ে রংচং মেখে কিছু বলতে চাইনা। আপনাদের ভোট আপনারাই দিবেন ,অবশ্যই যাকে ইচ্ছে দিবেন ,তবে মনে রাখবেন ভুল জায়গায় যদি ক্ষমতা তুলে দেন এর মাসুল কিন্তু আপনাদেরকেই দিতে হবে...
রুমেলের নিজের ছেলেপেলেরা চিতকার দিয়ে তাকে সমর্থন দিতে লাগলো। রুমেল ভাই ,রুমেল ভাই। রেজাউলের থেকেও মনেহতে লাগলো রুমেলের সমর্থন বেশি। চৌধুরী সাহেবের অবশ্য এনিয়ে তেমন একটা আক্ষেপ নেই ,উনার নিজের দু মেয়ে , বড় মেয়ে আমেরিকায় বিয়ে করে সেখানেই স্যাটেল ৷ ছোটটা, ডিএমসিতে এমবিবিএস করছে ৷
রুমেলকে দেখলে রেজাউলের কাছে মনে হয় তার যদি কোনো ছেলে থাকতো, সে রুমেলের মতনই হতো, রুমেলকে তিনি সেই ছোট থেকেই চিনেন, যদিও হার্ডকোর রাজনীতিতে গত তিন/চার বছর ধরে একসাথেই আছেন ৷ তার মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার এক অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে,
একবার যখন কলেজের প্রিন্সিপালের সাথে ঝামেলা বেধে তাকে রেস্ট্রিগেট করে দেওয়া হয়, তখন কলেজের প্রায় হাজার খানের ছেলেপেলে তারজন্যে ততক্ষনাৎ মাঠে নেমে আসে, বাধ্য হয়েই পরে তার রেস্ট্রিগেট নোটিশ বাতিল করা হয়।
চলবে...